নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আকাশে উড়লো ফানুস, ফুটলো আতশবাজি
২০২২ সালকে বিদায় এবং নতুন প্রত্যাশা নিয়ে ২০২৩ সালকে বরণ করে নিয়েছে নগরবাসী। এই উপলক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে রাজধানীর আকাশে উড়ানো হয়েছে ফানুস ও ফুটেছে আতশবাজি।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় ফানুস উড়তে দেখা যায়। তবে রাত ১২টা বাজার সাথে সাথে আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় ঢাকাবাসী। পটকার শব্দে প্রকম্পিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। প্রায় প্রতিটি বাসার ছাদেই ভবনের বাসিন্দারা ভিড় করেন ফানুস ও আতশবাজি উড়িয়ে ইংরেজি নববর্ষকে বরণ করতে।
জানা গেছে, ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আগারগাঁও, মিরপুর, হাতিরঝিল এলাকা, মগবাজার, রামপুরা, বাড্ডা, পুরান ঢাকার চকবাজার, তাঁতী বাজার, রায়সাহেব বাজার, চানখারপুল এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আতশবাজি ফুটানো ও ফানুস উড়াতে দেখা গেছে।
এইসব এলাকার চারপাশ থেকে আগুনের ফুলের মতো আতশবাজি ফুটেছে। তীব্র শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠেছে চারদিক। আকাশে ড্রোনের মতো অসংখ্য ফানুস উড়েছে।
নতুন বছরের প্রথম প্রহরে শেরেবাংলা নগর, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অলি-গলিতে থেমে থেমে আতশবাজি ও পটকা ফুটতে দেখা গেছে।
এরআগে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে উম্মুক্তভাবে কোথাও কোনো আয়োজন করা যাবে না। ফানুস উড়ানো যাবে না। আতশবাজি ও পটকা ফুটানো যাবে না। এরপরও যদি কেউ ফানুস উড়ায় তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফানুস উড়ানোর কারণে সারা দেশে মোট ২০০ স্পটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। এর মধ্যে ঢাকাতেই ঘটেছিল ১০টি অগ্নিকাণ্ড।
সারাদিন/০১ জানুয়ারি/এমবি