‘আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাসী, জনগণ যাকে চাইবে তাকে ভোট দেবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৯:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০২৩

আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাসী। জনগণ যাকে চাইবে তাকে ভোট দেবে-বলে মন্তব্য করেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন । তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন হবে নির্বাচনের নিয়মে। নির্বাচন নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে নির্বাচন কেন্দ্রিক আলোচনা মাস দুয়েক আগে হলেও বাংলাদেশে এক বছর আগ থেকেই হইচই শুরু হয়েছে। আর একে ঢং হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সংশ্লিষ্ট কিছু মন্ত্রণালয়কে নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এ কমিটি গঠন কিনা জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, নির্বাচনের বহুদিন বাকি। দুনিয়ার অন্যান্য দেশে নির্বাচন নিয়ে দুই মাস আগে আলোচনা হয়। আর বাংলাদেশে কি ঢং। সবাই এক বছর আগেই হইচই শুরু করে। এটা খুবই দুঃখজনক।

ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, যারা বিদেশে বসে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের তাগিদ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সরকার চিন্তিত নয়। সময়মতো এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের নিয়মেই নির্বাচন হবে। এখানে সব দল আসলে ভালো, কেউ না আসতে চাইলে না আসবে।

তিনি বলেন, একবার ১ কোটি ২৩ লাখ লোক ভুয়া ভোট দিয়েছে। এখন ওটা বন্ধ। দেশে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যাতে এরা ভালোভাবে নির্বাচন করতে পারে। সুতরাং সেখানে সব দল আসলে ভালো আর যারা আসবে না, আসবে না।

Nagad

নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ পদ্ধতি বন্ধ করার পক্ষে মত দেন মোমেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে বলেন, আমেরিকায় চাইলে যে কেউ নির্বাচন করতে পারে না। যে দলের সমর্থন কম তারা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে পারে না। আমাদের দেশে চাইলে যে কেউ নির্বাচন করতে পারে।

তিনি বলেন, দেশে আগে ফ্রড ভোট হতো। একবার ১ কোটি ২৩ লাখ লোক ভুয়া ভোট দিয়েছে। এখন এটা বন্ধ। ফ্রডগিরি করতে পারবেন না। দেশে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যাতে এরা ভালোভাবে নির্বাচন করতে পারে। সুতরাং, সেখানে সব দল আসলে ভালো। আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাসী। জনগণ যাকে চাইবে তাকে ভোট দেবে।