আরও ৭১১ বাসে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত, চালু মঙ্গলবার

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:৪১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৩

রাজধানীতে অতিরিক্ত বাসভাড়া রোধে আরও ১৫টি পরিবহনের ৭১১ বাসে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিক সমিতি। সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে থেকে এ কথা জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) থেকে ই-টিকিটিং চালু হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, শতভাগ ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করতে পেরেছি বলবো না, এখনো কিছু অনিয়ম রয়েছে। তারপরও মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) থেকে মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে ১৫ কোম্পানির ৭১১টি বাসে ই-টিকিটিং চালু হবে। এর ফলে ঢাকার মোট ৪৫টি কোম্পানি ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসবে।

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে জানিয়ে এনায়েত উল্যাহ বলেন, বিভিন্ন সময় মোট ২১টি সার্কুলার দিয়েছি। ৯টি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করে রাস্তায় মাসের পর মাস ডিউটি করিয়েছি এবং আমি নিজেও মাঠে ছিলাম। বিশেষ করে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি আমরা বিগত দিনে সমাধান করতে পারিনি। দীর্ঘ সময় পর গেটলক সার্ভিস, সিটিং সার্ভিস এগুলো বন্ধ করতে পেরেছি। তারপরও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে আমাদের কাছে বারবার অভিযোগ আসছিলো।

ই-টিকিট চালু হলে গাড়ির সংখ্যা কমে যায়, এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই অভিযোগ সঠিক। শুরুর দিকে যখন আমরা ই-টিকিট দেওয়া শুরু করেছি, তখন মালিকরা ইনকাম ঠিকমতো পেতো না। ফলে মালিকরা গাড়ি চালাতে উৎসাহী ছিলেন না। পরবর্তী পর্যায়ে আমরা সাধারণ মালিকদের নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাসের ভেতর ই-টিকিটিং মেশিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

এর আগে গত বছরের ১৩ নভেম্বর মিরপুর রুটে চলাচল করা ৩০টি কোম্পানির বাসকে ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আনা হয়। এ সময় এনায়েত উল্যাহ জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রামের শহরতলীসহ মোট ৯৭টি কোম্পানির গাড়ি ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসবে। এটি করা সম্ভব হলে পরিবহন খাতে অসম প্রতিযোগিতা থাকবে না। চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চলাচল বন্ধ হবে। একইসাথে পরিবহন শ্রমিকরা বেতন সিস্টেমের আওতায় চলে আসবেন।

Nagad