আজ সরকার বিরোধীদের গণঅবস্থান কর্মসূচি, মাঠে আছে আ. লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২৩

সরকার পতনসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে বিএনপি। একই সাথে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে মাঠে সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট।

ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে আজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) একযোগে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে সমমনা দলগুলো। তবে এসব কর্মসূচির নামে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীজুড়ে সতর্ক অবস্থানে থাকার পাশাপাশি সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

বিএনপির ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ঢাকায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে এবং শেষ হবে বিকেল ৩টায়। এতে নেতৃত্ব দেবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই গণঅবস্থান থেকে সরকার পতনের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে বিএনপি ঢাকাসহ ১০টি বিভাগীয় শহরে (সাংগঠনিক বিভাগ) যে গণঅবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে, প্রতিটিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন। গণঅবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে জ্যেষ্ঠ নেতারা বিভিন্ন বিভাগে পৌঁছে গেছেন। এর মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সিলেটে, আবদুল মঈন খান রাজশাহীতে, নজরুল ইসলাম খান ময়মনসিংহে, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে, সেলিমা রহমান বরিশালে, ইকবাল হাসান মাহমুদ রংপুরে।

এ ছাড়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ কুমিল্লায়, শামসুজ্জামান খুলনায় ও আহমেদ আজম খান ফরিদপুরের বিভাগীয় গণ-অবস্থানে অংশ নেবেন।

বিএনপির পাশাপাশি সরকারবিরোধী অন্তত চারটি জোট রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব, বিজয়নগর ও পুরানা পল্টন এলাকায় গণ-অবস্থান করবে। এর মধ্যে সাতদলীয় জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ বেলা ১১টা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যজোট কাছাকাছি জায়গায় গণ-অবস্থান করবে।

Nagad

১২-দলীয় জোট বিজয়নগরে পানির ট্যাংকের পাশে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট পুরানা পল্টন মোড়-সংলগ্ন এলাকায়, অলি আহমেদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এফডিসি-সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম আরামবাগে ইডেন কমপ্লেক্স-সংলগ্ন সড়কে পৃথক গণ-অবস্থান করবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

তবে যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি ‘গণমিছিল’ এক জোটে করলেও আজকের গণঅবস্থান কর্মসূচিতে নেই জামায়াতে ইসলামী। দলটি এবার ১১ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস হিসেবে বিভাগীয় পর্যায়ে দলীয়ভাবে আলোচনা সভা করবে।

মাঠে আছে আ. লীগ

বিএনপিসহ সরকারবিরোধী আন্দোলনের এসব কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে সতর্ক অবস্থানে থাকছে আওয়ামী লীগ। এ দিন সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এতে উপস্থিত থাকবেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এ ছাড়া বিকেল ৩টায় রাজধানীর চিড়িয়াখানা রোডের ঈদগাঁও মাঠে শান্তি সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। এখানেও প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে দুটি সমাবেশ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগ এবং বেলা ১১টায় ফার্মগেটে সমাবেশ আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর আওয়ামী যুবলীগ। এসব সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, অগ্নিসন্ত্রাসের প্রচেষ্টা ও সংবিধানবিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বুধবার রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

এদিকে রাজধানীতে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক লীগ। এতে নেতৃত্ব দেবেন সংগঠনের সভাপতি সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

তবে আজকে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না করলেও কড়া পাহারায় মাঠে থাকবেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, মৎস্যজীবী লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।