প্রেমিকা হিসেবে নোরাকেই নাকি চান সুকেশ, পাবেন গাড়ি-বাড়ি

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩

২০০ কোটির রুপির আর্থিক প্রতারণার মামলায় সম্প্রতি দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। জ্যাকুলিনের পর সুকেশের বিরুদ্ধে সরব হলেন আরেক অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। তার অভিযোগ, গার্লফ্রেন্ড হওয়ার শর্ত দিয়ে তাকে বিলাসবহুল জীবনযাপন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখর।

সম্প্রতি নিজের জবানবন্দিতে জানান এই বলিউড সুন্দরী।

সুকেশকে তিনি চিনতেন না, সামনাসামনি কখনও আলাপও হয়নি তাদের। প্রথমবার সুকেশকে সরাসরি দেখেন প্রতারণা মামলার তদন্ত চলাকালীন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এর দফতরে। মধ্যস্থতাকারী পিঙ্কি ইরানির মাধ্যমে নোরার এক ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুকেশ। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এমনটাই দাবি করেন ‘দিলবার’ কন্যা। ২০০ কোটি টাকার যে আর্থিক জালিয়াতির মামলায় সুকেশ অভিযুক্ত, সেই মামলায় প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি নিজেও— দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে জানান নোরা।

পিঙ্কি ইরানি তাকে বলেছিল, সুকেশের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। কিন্তু প্রেমিকা হিসেবে নোরাকেই নাকি চান সুকেশ। এদিন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেন নোরা। তার দাবি, ‘বলিউডে এমন অনেক নায়িকা আছেন, যারা সুকেশের সঙ্গ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছেন।’

যদি সুকেশের সঙ্গে পরিচয়ই না থাকে তবে কেন তার কাছ থেকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার নিয়েছিলেন? ইডির এমন প্রশ্নে নোরা জানান, সুকেশ নন, পিঙ্কি ইরানি চেন্নাইয়ের এক অনুষ্ঠানের পারিশ্রমিক হিসেবে তাকে বিএমডব্লিউ উপহার দিয়েছিলেন। সুকেশ যে একজন ঠগবাজ এবং ২০০ কোটি টাকা জালিয়াতির মামলায় জড়িত তা ইডির গ্রেপ্তারির পরেই জানতে পেরেছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, নোরা ফাতেহির সাম্প্রতিক বিবৃতিটি দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজির হওয়ার কয়েক দিন পরে প্রকাশ্যে আসে। চাঁদাবাজির মামলার বিষয়ে তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। তার বক্তব্য সাক্ষ্য এখন মামলার সাক্ষী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ২১৫ কোটি টাকার অর্থ আত্মসাৎ মামলায় এখন কারাগারে রয়েছেন অভিযুক্ত আসামি কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর।

Nagad

একই মামলায় বুধবার (১৮ জানুয়ারি) পাতিয়ালা হাউস কোর্টে নিজের বয়ান রেকর্ড করেছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। তার অভিযোগ, সুকেশ তার ইমোশন নিয়ে খেলেছেন। তাকে ভুল পথে চালিত করে তার ক্যারিয়ার, জীবন বিপর্যস্ত করেছেন। জ্যাকুলিনের দাবি, সুকেশ নিজেকে সরকারি অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। তাকে বলা হয়েছিল সুকেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।

সারাদিন. ১৯ জানুয়ারি