সিআরসেভেনের হাসিমুখ আবার দেখেছে বিশ্ব, যদিও জিতেছে পিএসজি
দুই তারকা-লিওনেল মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো লড়াই আবারও দেখলো বিশ্ব। প্রীতি ম্যাচ হলেও এই লড়াই ঘিরে দর্শক উম্মাদনা ছিল আকাশচুম্বী। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বুড়িয়ে গেছেন, ফুরিয়ে গেছেন। আসলে তা নয়, নিজের ওপর আস্থা তার সবসময় ছিল। আস্থার জোরে ডিঙিয়েছেন বহু বাধা। কাঁদতে কাঁদতে বিশ্বকাপের মঞ্চ ছাড়া সিআরসেভেনের হাসিমুখ আবার দেখেছে বিশ্ব।
এই ম্যাচকে ঘিরে উন্মাদনা থাকবেই না বা কেন? দুই মহাতারকার হয়তো ক্যারিয়ারে এটাই শেষবারের মতো মুখোমুখি খেলতে নামা। গতককাল বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে রিয়াদের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে সৌদি আরবের প্রো লিগের ফুটবলারদের নিয়ে গড়া অল-স্টার একাদশের বিপক্ষে ৫-৪ ব্যবধানে জিতেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)।
ফ্রান্সের পিএসজি বনাম সৌদি আরবের দুই ক্লাব আল নাসর এবং আল হিলালের খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া রিয়াদ একাদশের ম্যাচটি তাই প্রীতি ম্যাচ ছাপিয়ে হয়ে উঠে মেসি-রোনালদোর ম্যাচ। বহুল প্রতীক্ষিত এই লড়াইটি হতাশ করেনি ফুটবলপ্রেমীদের। পয়সা উসুল এক ম্যাচ উপভোগ করেছেন তারা।
সৌদির আল-হিলাল ও আল-নাসের ক্লাবের খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গড়া দলের অধিনায়ক ছিলেন রোনালদো। সৌদিতে পাড়ি জমানোর পর এটিই তার প্রথম ম্যাচে। সেখানে প্রতিপক্ষ লিওনেল মেসির পিএসজি। শুধু তাই নয়, ছিলেন নেইমার, এমবাপ্পে, নাভাস, রামোস, হাকিমিরাও।
ম্যাচটিকে ঘিরে উত্তেজনার কমতি ছিল না। দর্শক চাহিদার তুঙ্গে থাকা ম্যাচে রিয়াদের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফুটবলপিপাসুদের নিরাশ করেনি দুই দল। অল্পদিনে সৌদি ফুটবলের ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা রোনালদো করেন জোড়া গোল। শেষ পর্যন্ত তার দল জয় না পেলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে সিআরসেভেনের হাতেই।
এই ম্যাচে জয় পরাজয় মুখ্য ছিল না। সেদিকে নজর দেয়নি কেউ। ম্যাচ শেষে নিজের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে রোনালদোর দেওয়া পোস্টেও জয় ছাপিয়ে প্রাধান্য পেয়েছে দীর্ঘদিন পর মাঠে নামা ও গোল পাওয়া। তিনি লিখেছেন, ‘অনেকদিন পর মাঠে ফিরতে পেরে ও স্কোরশিটে নাম তুলতে পেরে আনন্দিত। পাশাপাশি বেশ কজন পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে ভালো লাগলো।’