চাকরি দেওয়ার কথা বলে জিম্মি, অত:পর হত্যা, গ্রেপ্তার ৪
সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় চাকরি দেয়ার নামে আরিফ হোসেন (১৯)নামে এক যুবককে জিম্মি করে টাকা দাবী ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মুল হোতা সেন্টুসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাবের একটি দল। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং এই চক্রটি বিগত কয়েক বছরে ৬০ টি অপরাধের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে র্যাব।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-৪ এর আশুলিয়ার নবীনগরে ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানায় র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন।
এর আগে ভোর রাতে আসামীদের গাজীপুর ও আশুলিয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন-রাজশাহীর বাগমারা থানার শ্রীপতিয়াপাড়া গ্রামের সেন্টু সরদার, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার নৌপাড়া গ্রামের জমির উদ্দিন, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানার রাব্বি আহম্মদ ও টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার কামদেববাড়ী গ্রামের জহিরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২১ জানুয়ারি গাজীপুর জেলার আরিফ নামের ১৯ বছর বয়সী এক যুবককে আশুলিয়ার শিমুলিয়ার কলতাসুতি এলাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন সেন্টু নামের এক পূর্ব পরিচিত যুবক।
পরে তার কাছে কয়েক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলে সে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে কয়েকজন মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ কলতাসুতি এলাকায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাত আসামীদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করেন। আজ ভোড়ে তাদের আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-৪ সিপিসি-২ এর অধিনায়ক লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন বলেন, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারী সেন্টু সরদার, জমির উদ্দিন, রাব্বি আহমেদ ও জহিরুল ইসলামকে আশুলিয়ার জামগড়া ও গাজীপুরের সাতাইশ চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। তাদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়। পরে তাদের দুপুরে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই চক্রটি চাকরিপ্রার্থী পোশাক শ্রমিকদের টার্গেট করে চাকরি প্রলোভন দেয়। কারখানার ভুয়া জিএম সেজে দেখা করার নামে কৌশলে নির্জন স্থানে নিয়ে জিম্মী করে মুক্তিপণ দাবী করে। তারা গত ৩ থেকে ৪ বছরে অন্তত ৬০ টি এমন অপরাধের সাথে জড়িত। সবশেষ আশুলিয়ায় আরিফ নামে এক তরুণকে চাকরি নামে তাকে ডেকে নিয়ে জিম্মি করার চেষ্টা করে। বাঁধা দিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা। প্রাথমিকভাবে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।
সারাদিন.২৯ জানুয়ারি
