হেরে গেলেন হিরো আলম
বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। নন্দীগ্রাম-কাহালু উপজেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া-৪ এবং সদর উপজেলা তথা বগুড়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে অংশ নেন তিনি।
ওই আসনে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল) প্রতীকে ১৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম হিরো আলম ১৭ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপনির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভোটযুদ্ধে জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক (লাঙল) ৬ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়েছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল (কুড়াল) পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৪২ ভোট।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই সংসদীয় শূন্য আসনের উপনির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বগুড়া-৪ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯। এর মধ্যে কাহালুতে ৯০ হাজার ৯৬৩ জন নারী এবং ৮৯ হাজার ৮৮০ জন পুরুষ ভোটার। নন্দীগ্রামে ৭৪ হাজার ৪৭১জন নারী এবং ৭৩ হাজার ১৫৫ জন পুরুষ ভোটার।
এদিকে এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম সকাল সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার নিজ কেন্দ্র এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দেন।
ভোট দেওয়ার পর হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুন্দর আছে। কাহালু-নন্দীগ্রামে খোঁজ নিয়েছি, আমার অবস্থান ভালো আছে। বগুড়া-৬ আসনে গোলমালের আশঙ্কা করেছিলাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফজরের নামাজের পর বিজয়ী হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি।
বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। বগুড়া সদর ও নন্দীগ্রাম-কাহালু আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচিত ব্যক্তি আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।