প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:১২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংগৃহীত ছবি

আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-২) প্রকল্পের আওতায় প্রথম পাতাল রেলের নির্মাণকাজ উদ্বোধন হবে। এদিন বেলা ১১টায় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় এই কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি মূলত দ্বিতীয় মেট্রোরেল ও প্রথম পাতাল রেল।

এর মধ্য দিয়েই রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ ডিপো নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হচ্ছে। পূর্বাচল চার নম্বর সেক্টরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পূর্বাচল শহর উন্নয়ন প্রকল্পের সাইট অফিসের কাছে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত বাণিজ্যিক প্লটের খোলা জায়গায় পাতাল রেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ বেলা ১১টায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

জানা গেছে,পাতাল ও উড়াল মিলে মেট্রোরেল লাইন-১ এর মোট দৈর্ঘ্য ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পাতাল অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। অন্যদিকে নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত নির্মাণ হবে উড়ালপথ, যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার। পাতাল পথে স্টেশন হবে ১২টি এবং উড়ালপথে থাকবে ৭টি। উভয় পথে মোট ১৯টি স্টেশন হবে।

পুরো প্রকল্পটির কাজ ১২টি প্যাকেজের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে। এর মধ্যে প্যাকেজে সিপি-১ এর আওতায় ডিপো এলাকায় ভূমি উন্নয়ন করার কাজটি শুরু হলো। যেখানে ডিপো নির্মাণ করা হবে সেখানে অনেক উঁচু-নিচু জায়গা আছে। সেগুলো ভরাট করার কাজটি শুরু হলো। তারপর সেখানেই ডিপো নির্মাণ করা হবে। জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জয়েন্ট ভেঞ্চার রাজধানীর এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নের কাজ করবে।

পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এবং বাকিটা বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে।

প্রকল্পের বিবরণে জানা গেছে, এমআরটি লাইন-১ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ এলাকায় প্রথম রেল ডিপো নির্মাণ করা হবে এবং নির্মাণকাজের উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

Nagad

এমআরটি লাইন ১-এর প্রথম অংশ হলো : বিমানবন্দর রুট (বিমানবন্দর-কমলাপুর), যাতে ১২টি স্টেশনসহ ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটারের পাতাল রেল হবে। আর দ্বিতীয় অংশ হলো পূর্বাচল রুট (নতুন বাজার থেকে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ ডিপো), যাতে ৯টি স্টেশনসহ ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার উড়াল হবে। এই স্টেশনগুলোর মধ্যে সাতটি স্টেশন উড়ালে হবে এবং বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে নতুন বাজার ও নর্দ্দা স্টেশন পাতাল অংশে থাকবে।

প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণে বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যেতে ২৪ মিনিট সময় নেবে। ১২টি পাতাল স্টেশনে বিরতি ও সাতটি উড়াল স্টেশনে বিরতিসহ নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল যেতে ২০ মিনিট সময় লাগবে।

এতে আরও বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ চালু হওয়ার পর এই রুটে ৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। এমআরটি লাইন-১ পাতাল স্টেশন চার তলাবিশিষ্ট হবে। টিকিট কাউন্টার এবং অন্যান্য সুবিধাদি প্রথম বেসমেন্ট লেভেলে থাকবে। প্ল্যাটফর্মটি হবে দ্বিতীয় তালায়। উড়াল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার ও প্ল্যাটফর্ম হবে চতুর্থ তলায়। উড়াল ও পাতাল উভয় স্টেশনেই লিফট, সিঁড়ি এবং এসকেলেটর থাকবে।