‘জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এসেছি, ছিনিমিনি খেলতে আসিনি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। এ সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। আমরা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এসেছি। জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আসিনি।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে রূপগঞ্জের পূর্বাচল সেক্টর-৪ এ প্রকল্প এলাকায় নির্মাণকাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করে সুধী সমাবেশে ভাষণ এসব কথা বলেন।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এ সেতুর অর্থায়ন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হয়েছিল। আমরা জনগণের সহায়তা নিয়ে নিজেদের অর্থে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। এগুলো শেষ হলে ঢাকায় কোনো যানজট থাকবে না। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করেছি। দেশকে আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গিয়েছি। মানুষের জীবনযাপনের মান উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে আমরা কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা। এখানে অনেকগুলো প্রকল্প কাজ চলমান। পূর্বাচল স্মার্ট সিটি হবে। নারায়ণগঞ্জকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

তিনি বলেন, এ দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। গত ১৪ বছরে এই বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এবার বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করা হবে।

Nagad

সরকার প্রধান বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছি। এই কাজ যখন শুরু করতে যাই তখন জঙ্গির উত্থান হলো। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করা হয়। সাতজন জাপানি নাগরিককে হত্যা করা হয়। যারা মেট্রোরেলের কাজে যুক্ত ছিলেন। আমি তাদের স্মরণ করি। এই ঘটনার পরও জাপান সরকার তাদের সহযোগিতার হাত গুটিয়ে নেননি। তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

এর আগে সকালে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রো রেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প, নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের রাজউক কমার্শিয়াল প্লট মাঠে পাতাল মেট্রো লাইন নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণা ও ফলক উন্মোচন করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, করোনার সময় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছি। কোনো ধনী দেশ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে পারেনি। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা করেছে বাংলাদেশ। আমাদের কেউ থামাতে পারবে না।

কৃষি নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সাশ্রয়ী হোন। কোনো জায়গা খালি রাখবেন না। যেখানে যা পারেন তা চাষাবাদ করেন। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেন।

প্রসঙ্গত, জানা গেছে, সরকার প্রথমবারের মতো বিমানবন্দর-কমলাপুর এবং পূর্বাচল-নতুন বাজার-রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ রুটের মধ্যে ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটারের পাতাল ও উড়াল এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করবে। ডিএমটিসিএল এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণে বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যেতে ২৪ মিনিট সময় নেবে। ১২টি পাতাল স্টেশনে বিরতি ও সাতটি উড়াল স্টেশনে বিরতিসহ নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল যেতে ২০ মিনিট সময় লাগবে।এতে আরও বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ চালু হওয়ার পর এই রুটে ৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। এমআরটি লাইন-১ পাতাল স্টেশন চার তলাবিশিষ্ট হবে। টিকিট কাউন্টার এবং অন্যান্য সুবিধাদি প্রথম বেসমেন্ট লেভেলে থাকবে। প্ল্যাটফর্মটি হবে দ্বিতীয় তালায়। উড়াল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার ও প্ল্যাটফর্ম হবে চতুর্থ তলায়। উড়াল ও পাতাল উভয় স্টেশনেই লিফট, সিঁড়ি এবং এসকেলেটর থাকবে।

সারাদিন/২ জানুয়ারি