‘বিশ্ব ক্যান্সার দিবস’ আজ, প্রতিরোধে কী করণীয়

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩

আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিভূক্ত সংস্থা গ্লোবোক্যানের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৫৬ হা্জার মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। বছরে ক্যান্সারে মারা যায় ১ লাখ ৯ হাজার মানুষ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে দেশে যত মানুষ মারা যান তার ৬৭ শতাংশ মানুষ ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে। চিকিৎসকদের মতে জনসচেতনতার অভাবেই ক্যান্সার প্রকোপ বাড়ছে।

ক্যান্সার একটি মারাত্মক ও ভীতিকর রোগ। শরীরের যে কোনো অঙ্গেই এ রোগ হতে পারে। সারা বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ ক্যান্সার।

যেসব কারণে ক্যানসার হয় তার ঝুঁকিগুলোর মধ্যে ধূমপান, পান-জর্দা-তামাকপাতা খাওয়া, সবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, শারীরিক ব্যায়াম না করা, শারীরিক স্থূলতা বা বেশি ওজন, আলট্রাভায়োলেট রশ্মি, এক্স-রে রেডিয়েশন, কিছু রাসায়নিক পদার্থ, কিছু ভাইরাস বা অন্যান্য জীবাণু অন্যতম।

‘আই এম অ্যান্ড আই উইল’ অর্থাৎ আমি আছি, আমি থাকব’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। ২০০৮ সালে প্রথম এ দিবস পালন শুরু করে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন এগেইনেস্ট ক্যান্সার কন্ট্রোল (ইউআইসিসি)।

দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, বাংলাদেশ ক্যান্সার ফাউন্ডেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালন করবে।

এর মধ্যে শোভাযাত্রা, ক্যান্সারবিষয়ক পোস্টার ও ফেস্টুন প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, ক্যান্সার রোগী ও সারভাইবারদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অন্যতম।

Nagad

ক্যানসার প্রতিরোধে কী করণীয়

আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি বছর বিশ্বে এক কোটির বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। প্রতি পাঁচজনের মধ্যে তিনজন প্রাথমিক উপসর্গগুলো উপেক্ষা করছেন, যা না করলে তাদের সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। যতই চিকিৎসাসুবিধা থাকুক, ক্যানসার একবার হলে এর অনেক কষ্ট। এ জন্য প্রতিরোধই হলো সর্বোত্তম।

সাধারণ খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। চর্বি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার কম খাবেন। ফলমূল ও সবজির পরিমাণ বাড়ান। ধূমপান সম্পূর্ণ ত্যাগ করুন। মদপান পরিহার করুন। মাত্রাতিরিক্ত পরিবেশ দূষণ পরিহার করুন। পান-তামাক বর্জন করুন। যৌনজীবন হতে হবে পরিশীলিত।