শরীরের কোলেস্টেরল কমানোর সহজ উপায়

সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরে রোগ বাসা বাঁধে। তাছাড়া দেশে ক্যানসারের পাশাপাশি কোলেস্টেরল আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া ও বিভিন্ন কারণে রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়ে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে সমস্যা। কারণ এই রোগের হাত ধরেই আরও অনেক সমস্যার জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

ওষুধ খেয়েও অনেক সময়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো সম্ভব হয় না। তবে কয়েকটি সবজি আছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই কমবে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে ওই সবজি গুলোর বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। এবার আসুন জেনে নেই, নিয়মিত যেসব সবজি খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই কমবে।

পালং শাক: পটাশিয়াম, ফাইবার, ফোলেট, ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ পালং শাক কোলেস্টেরল কমাতে দারুণ উপকারী। খারাপ কোলেস্টেরল নামে পরিচিত এলডিএল। পালং শাক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন, লুটেইনের মতো উপাদান, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

ব্রকলি: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো- ব্রকলি সবেতেই এগিয়ে। ফাইবার, সালফারে সমৃদ্ধ ব্রকলিতে রয়েছে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা। কোলেস্টেরলের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের প্রতিদিন খাবারে ব্রকলি রাখতে হবে।

গাজর: শীতকালে শরীরের যত্ন নিতে গাজরের মতো উপকারী সবজি খুব কম রয়েছে। কোলেস্টেরলের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে যারা ভুগছেন, তাদের সাহায্য করতে পারে গাজর।

ফুলকপি: অ্যান্থোসায়ানিনে সমৃদ্ধ উৎস হলো ফুলকপি। এই অ্যান্থোসায়ানিন খারাপ কোলেস্টরল এলডিএলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে কোলেস্টেরল যদি সহজে পিছু না ছাড়ে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিদিন খাবারে রাখুন ফুলকপি।

মুলো: ফুলকপির মতো মুলোতেও রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন। ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে অবশ্যই মুলো খাওয়া জরুরি। অনেকেই মুলো খেতে চান না। কিন্তু কোলেস্টেরল থাকলে ইচ্ছা না করলেও মুলো খেতে পারেন।

সারাদিন/০৮ ফেব্রুয়ারি/এমবি