বিপিএল ফাইনাল: শিরোপা জিততে সিলেটের শক্ত পুঁজি

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩

এবারের বিপিএলে দুরন্ত ছন্দে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট জ্বলে উঠলো ফাইনালেও। তার সঙ্গে হার না মানা এক হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেন মুশফিকুর রহিম। এই যুগলের ব্যাটে চড়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেলো মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৭ উইকেটে তারা দাঁড় করিয়েছে ১৭৫ রানের সংগ্রহ। অর্থাৎ শিরোপা জিততে হলে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে করতে হবে ১৭৬। আগের কোনো আসরে ফাইনালে ওঠা হয়নি। এবার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্বে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। এবং শক্ত অবস্থান নিলো।

মিরপুর শেরেবাংলায় ফাইনালকে ঘিরে নানা আয়োজন রাখে ক্রিকেট বোর্ড। শিরোপা নির্ধারিত ম্যাচের আগে গানে গানে মঞ্চ মাতান শিল্পীরা। এরপর মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

এদিন ফিল্ডিংয়ে নেমে প্রথম ওভার থেকেই স্নায়ুচাপে ভুগতে থাকে কুমিল্লার ক্রিকেটাররা। আন্দ্রে রাসেলের করা প্রথম ওভার থেকেই ১৭ রান আদায় করে নেয় সিলেট। যারমধ্যে ৮ রান এসেছে ওভারথ্রোর কল্যাণে। সিলেটের ইনিংসের প্রথম বলে মুকিদুল ইসলামের বাজে থ্রোতে ৪ রান পায় শান্ত।

একই ওভারের শেষ বলে এবার ওভার থ্রোতে ৪ রান দেন তানভীর ইসলাম। প্রথম ওভারে ৪টি বাড়তি রান দেওয়া তানভীর বল হাতে নিয়েই সিলেটের উইকেট তুলে নেন। দারুণ ফর্মে থাকা তৌহিদ হৃদয়কে শূন্য রানে ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। এদিনও প্রতিপক্ষকে চমকে দিয়ে তিনে নামেন সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।

তবে এদিন আর দলের পক্ষে কার্যকরী ইনিংস খেলতে পারেননি এই ক্রিকেটার। বরং ১ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে আউট হয়ে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। দলের বিপর্যয় ঠেকাতে এদিন মুশফিকুর রহিমকে পাঠানো হয় চারে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুশফিক এবং শান্ত ৭৯ রানের দারুণ জুটি গড়ে সিলেটকে খেলায় ফেরান।

যদিও মাঝে কুমিল্লার ক্যাচ মিস সুযোগ করে দিয়েছে সিলেটকে। এক ইনিংসে কুমিল্লা মিস করে পাঁচটি ক্যাচ। লিটন দাস ও মঈন আলিদের ক্যাচ মিসের কারণে সিলেট পায় বড় সংগ্রহ।

Nagad

বল হাতে কুমিল্লার হয়ে ৩১ রানে দুই উইকেট নেন মুস্তাফিজ। একটি করে নেন রাসেল, মঈন আলি, তানভির ও নারিন।


সংক্ষিপ্ত স্কোর

সিলেট স্ট্রাইকার্স : ২০ ওভারে ১৭৫/৭ (শান্ত ৬৪, তৌহিদ হৃদয় ০, মাশরাফী ১, মুশফিক ৭৪, পেরেরা ০, বার্ল ১৩, জর্জ ৯, জাকির ১, সাকিব ০; মঈন ৪-০-৩১-১, রাসেল ৩-০-৩১-১, মুস্তাফিজ ৪-০-৩১-২, তানভির ৩-০-২১-১, নারিন ৪-০-৩৩-১)।