একুশে ফেব্রুয়ারিতে কোনো জঙ্গি হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবসে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, জঙ্গি হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই।’

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার গোলাম ফারুক এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানী জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন স্থানে বসানো হবে চেকপোস্ট। চালানো হবে তল্লাশি। এছাড়াও পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করবেন। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে জানিয়ে কমিশনার বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ডিএমপি’র পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সুদৃঢ়, নিশ্ছিদ্র ও সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহীদ মিনার ও তার আশপাশে স্থাপন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে। সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। শহীদ মিনার এলাকায় প্রবেশের পূর্বে প্রত্যেক দর্শনার্থীকে একাধিক আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং কূটনীতিকরা শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সাধারণ জনগণ পলাশী দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং দোয়েল চত্বর হয়ে চলে যাবেন। অর্থাৎ একদিক দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং অন্যদিক দিয়ে বের হয়ে যাবেন।

খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, ‘করোনা পরবর্তীসময়ে উন্মুক্ত পরিবেশে এবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে আসবেন। রাজধানীর সর্বস্তরের মানুষ শহীদ মিনারে আসবেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও আমাদের সহযোগিতা করছে।’

Nagad

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘তিন ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে‌। ২০ তারিখ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা, ২১ তারিখ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কাজ করবে নিরাপত্তা বাহিনী।’