‘বাংলাকে জাতিসংঘের ভাষা করতে বছরে দরকার ৮০০ কোটি টাকা’
বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে হলে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে। প্রতি বছর ৮০০ কোটি টাকা খরচ করতে হবে-বলে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, আমাদের বিবেচনা করতে হবে এত টাকা খরচ করা যুক্তিসঙ্গত হবে কি না।’
আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশ, কেনিয়া, রাশিয়া, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া ও মালদ্বীপের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে হলে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে। এই সক্ষমতা একদিন বাংলাদেশেরও তৈরি হবে। তবে এই মুহূর্তে এটার পক্ষে বেশি মতামত আসবে না। যদিও আমাদের শ্রদ্ধা আছে, ভালোবাসা আছে, সবই আছে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভাষা আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে শক্তি যুগিয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা জাতিসংঘে বাংলায় বক্তব্য দিয়েছেন। এখন বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের দাবি ওঠে। পরে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোতে প্রস্তাব তোলার পর এর স্বীকৃতি দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা সব ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এমনকি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষার প্রতিও আমরা সমানভাবে শ্রদ্ধাশীল।’
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস ও ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইসহ অন্যরা এ আলোচনা সভায় অংশ নেন। আলোচনা সভার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, নেপাল, কেনিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সারাদিন. ২১ ফেব্রুয়ারি