জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

জবি সংবাদদাতাজবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মান রক্ষা ও স্বকীয়তা ফিরিয়ে আনতে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে এসে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা ফিরিয়ে আনার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও এই আল্টিমেটাম দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় খুব অল্প সময়ে সব ক্ষেত্রে অনেক সফলতা অর্জন করেছে, যা অনেকের কাছেই ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সর্বপ্রথম লিখিত প্রশ্ন যুক্ত করে এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে পুরোপুরি লিখিত প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এরপর থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়। কিন্তু গুচ্ছ পদ্ধতিতে গিয়ে আমরা আমাদের স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছি।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, গত কয়েক বছরে এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারতো। কিন্তু গুচ্ছ পদ্ধতিতে এখন গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হচ্ছে। যা আমাদের জন্য লজ্জার। জগন্নাথ যখন ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এক সেমিস্টার শেষ করে ফেলছে। এতে একই সেশনের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে এবং সেশনজট তৈরি হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশসনকে নিতে হবে। নয়তো পরবর্তীতে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।

এ সময় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী একেএম রাকিব বলেন, ঢাকার মধ্যে অপর দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে এক সেমিস্টার শেষ, সেখানে কেবল আমাদের ক্লাস শুরু। দীর্ঘ এই ভর্তি প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কমাচ্ছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৫ দিনের আলটিমেটাম দিচ্ছি, যেন প্রশাসন গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসে।

Nagad

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: ইমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, “শিক্ষার্থীদের কথায়তো কিছু হবে না, এটা একাডেমিক কাউন্সিলের বিষয়। সবকিছু সিদ্ধান্ত হবে একাডেমিক কাউন্সিলে।”

সারাদিন/২২ ফেব্রুয়ারি/এমবি