অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে: সিইসি

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩

ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল-বলেছেন, সবার অংশগ্রহণে আমরা একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু সব বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে নয়, কিছু দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বের। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায় শীর্ষক কর্মশালা শেষে সাংবাদিবদের এসব কথা বলেন সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা স্বস্তিদায়ক হিসেবে এবং সহজভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। সেজন্য আমরা প্রত্যাশা করি, দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাদের মধ্যে মোটাদাগে বোঝাপড়া থাকে তাহলে ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারবো। আমরা সেই আস্থা এখনও রেখে যাচ্ছি। রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে যদি কোনো বোঝাপড়ার গ্যাপ থাকে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন। সবার সহযোগিতায় সব রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে জনগণের কাছে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চেষ্টা করবো।

এর আগে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘সকলের সহযোগিতা নিয়ে বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং নির্বাচনী প্রশাসন ছাড়া নিবার্চন সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘ইভিএমের ভালো দিক হলো নিরাপত্তা। ভোটের নিরাপত্তা যেমন, আমার ভোট আমি দেব অন্য কেউ যাতে কেড়ে নিয়ে সিল মেরে দিতে না পারে। কারণ— ভোটাররা না গেলে বা ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে ডিজিটাল ব্যালট ওপেন হবে না। কিন্তু আমাদের বড় একটা অংশ দাঁড়িয়ে গেলেন ইভিএমের বিপক্ষে। তারা বলতে লাগলেন, যে এটা ভোট চুরির মেশিন।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছি ভোট কারচুপির কোন ধরনের সুযোগ নেই। অনেকেই বলেন, সারাদিন ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হলেও শেষের ১০ মিনিটে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়া যায়। আমরা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারি এমন কোনো বিশেষজ্ঞ নেই যে, এ কাজটি করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যাশা করি বড় রাজনৈতিক দলগুলো যেন নির্বাচনে অংশ নেয়। প্রশাসন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব। নির্বাচনের মতো বৃহৎ কর্মযষ্ণ কেবল একক কোনো সংস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে হবে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বজায় রাখতে এবং ভোট কেন্দ্রে সব ধরনের অনিয়ম রোধ করতে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে।

Nagad

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফর উল্লাহর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল বাতেন, পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলা ও উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।