বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
হাওর অধ্যুষিত মিঠামইনে নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর একটি আম গাছের চারা রোপণ করেন। এরপর তিনি সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে যান। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেন সেনা সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতির নামে এ সেনানিবাসটি উদ্বোধন করেন তিনি।
মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসটি রাষ্ট্রপতির বাড়ির পাশে ঘোড়াউত্রা নদীর চরে নির্মিত।
এর আগে কয়েক ঘণ্টার সফরে কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে উৎসবের অঞ্চলে পরিণত হয়েছে পুরো কিশোরগঞ্জ জেলা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাঁচটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে তিনি এ উপলক্ষে বেলুন ওড়ান। তারপর সেনা সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন সরকার প্রধান।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলায় মিঠামইনে নব প্রতিষ্ঠিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস হাওর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি। তাছাড়া, দেশের উত্তর-পূর্বাংশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও জোরদার হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘রাষ্ট্রপ্রতি একজন সফল মানুষ। তাঁকে যখন যেখানে দিয়েছি তিনি সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি চেয়েছেন এখানে একটা সেনানিবাস হোক। তাঁর চাওয়া আজ পূর্ণ হয়েছে।’
বিকেলে মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে তিনি উপজেলার কামালপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের জন্মস্থান পরিদর্শন করবেন। বিকেলেই ঢাকার উদ্দেশে কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সারাদিন. ২৮ ফেব্রুয়ারি