রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো যাত্রী টিকিট পাবেন না: রেলমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৩

রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো যাত্রী টিকিট পাবেন না মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে আন্তঃনগরে এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে এটি বিস্তৃত করা হবে।’

আজ বুধবার (১ মার্চ) সকাল ৯টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ট্রেনের টিকেট কেনা যাবে না। অন্যের এনআইডি কার্ড দিয়ে কেনা টিকেটে কেউ ভ্রমণ করলে বিনাটিকেটের যাত্রী হিসেবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রেও এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য আমরা একাধিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এতদিন টিকেট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে অভিযোগ ছিল, তা থেকে বের হওয়ার জন্য ‘টিকেট যার ভ্রমণ তার’ কার্যক্রম শুরু করেছি, যা আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে।’

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘যাত্রীরা যাতে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে এবং কোনো প্রকার কালোবাজারি ছাড়াই নিজের টিকেট নিজে কাটতে পারে, সেটির জন্যই আমরা টিকেটে জাতীয় পরিচয়পত্র সংযোজন করেছি। এটিই শেষ নয়, প্রয়োজনে আমরা যাত্রীসহ সবার মতামত নিয়ে আরও সংস্কার করব।’

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘মূল বিষয় হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকেট ক্রয় করা যাবে না এবং কেউ বিনা টিকেটে ভ্রমণ করতে পারবে না। এখন শুধু আন্তঃনগর ট্রেনে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে, পর্যায়ক্রমে লোকাল ট্রেনেও এটি কার্যকর করা হবে।’

Nagad

টিকিট সংগ্রহ ও ফেরত দেওয়ার বিষয়ে নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘অনলাইনে যে কোনো জায়গা থেকে যাত্রী টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই টিকিটের টাকা ফেরতও নিতে পারবেন, কাউন্টারে আসতে হবে না। গত ১৫ দিনে চার লাখ মানুষ অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘৫০ শতাংশ অনলাইনে এবং ৫০ শতাংশ কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু কোনোক্রমে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকিট পাওয়া যাবে না। আগে টিকিট হলেই একজন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারতেন, এখন আপনার টিকিটে আপনাকে ভ্রমণ করতে হবে। টিকিট থাকলেই ভ্রমণ করা যাবে না। এর আগে সুযোগ ছিল পাঁচটা বা দশটা টিকিট কেটে কালোবাজারি করে বিক্রি করা যেত। অন্যের টিকিট নিয়েই অনেকে ভ্রমণ করতে পারতেন। এখন সেটা পারবেন না। আর বিনা টিকিটে কেউ ভ্রমণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘দেশের মানুষের শিক্ষা ও আইটি জ্ঞান কম থাকায় শতভাগ সফলতা আসতে বিলম্ব হতে পারে। যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার লক্ষ্য ও সহজলভ্য করার উদ্দেশে এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করছে রেলওয়ে। প্রয়োজনে যাত্রীদের মতামত নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,’ যোগ করেন রেলমন্ত্রী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এনআইডির তথ্য পাচারের কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করেছি। যতটুকু দরকার ততটুকু তথ্যই আমরা নেব এবং মূল সার্ভারের সঙ্গে তথ্যগুলো যুক্ত থাকবে।’

পরে মন্ত্রী ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় বাংলাদেশ রেল‌ওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) সরদার শাহাদাত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।