মাকে কুপিয়ে হত্যা করলো চাকরি প্রত্যাশী ছেলে

ময়মনসিংহ সংবাদদাতাময়মনসিংহ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৬:০৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২৩

ময়মনসিংহে ছেলের কুড়ালের কোপে আকলিমা বেগম (৪৬) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ছেলে রকিবুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের সিমরাইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের অপর ছেলের দাবি, চাকরির জন্য দালালকে ৭ লাখ টাকা দেন রাকিব। চাকরি না হওয়ায় পালিয়ে যান দালাল। এরপর থেকেই রাকিব কিছুটা মানসিক রোগী।

নিহত আকলিমা বেগম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সিমরাইল এলাকার আব্দুর রশিদের স্ত্রী।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের অপর ছেলে রাহাত মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে মা ঘরের লাইট বন্ধ করে শুয়ে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে ছোট ভাই রাহুল ঘরে ঢুকে লাইট জ্বালিয়ে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দেয়। এ সময় পরিবারের অন্যরা ছুটে এসে মাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রাহাত মিয়া আরও বলেন, গ্রেপ্তার রকিবুল হক এইচএসসি পাস। দুই থেকে আড়াই বছর আগে বাড়ির জায়গা বিক্রি করে রকিবুল হক সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য ৭ লাখ টাকা দেন স্থানীয় এক দালালকে। চাকরি না হওয়ায় দালাল পালিয়ে যান। পরে ওই ৭ লাখ টাকা আর ফেরত পাননি রাকিব। এরপর থেকে রাকিব পাগলের মতো আচরণ করেন। এলোমেলো ঘোরাফেরা করেন। তার অনেক চিকিৎসা করালেও আর ভালো হননি।

Nagad

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, রাকিব কিছুটা মানসিক রোগী। সে আবোল তাবোল কথা বলছে। কখনও বলছে আদেশ হয়েছে তাই মাকে মেরে ফেলেছি আবার কখনও তার মাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা অস্বীকার করছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি মোস্তাছিনুর।

সারাদিন/০১ মার্চ/এমবি