আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৩

অপরাধী শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার গুরুত্ব বাড়ছে
অজ্ঞাত লাশের পাশাপাশি পুড়ে অঙ্গার হওয়া লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে।

১৯৭৭ সালের কথা। ঢাকার একটি এতিমখানা থেকে পাঁচ বছর বয়সী কুলসুম ও তার তিন বছর বয়সী বোন সুমিকে দত্তক নেন সুইজারল্যান্ডের এক দম্পতি। এরপর দুই বোনের ঠিকানা হয় সুইজারল্যান্ডে। সেখানে কুলসুম এখন ম্যারিও সিমো ভ্যার্মো নামে পরিচিত। বিয়েও করেছেন সুইস নাগরিককে, হয়েছেন মা। তবে ৪৫ বছর পর ম্যারিও নিজের শিকড়ের সন্ধান শুরু করেন। দীর্ঘ চেষ্টার পর গত বছরের এপ্রিলে মা মাফিয়া বেগমকে খুঁজে পান ম্যারিও। মায়ের কাছেও ফিরেছিলেন তিনি। তবে মাফিয়া ও ম্যারিও যে সম্পর্কে মা-মেয়ে, সেটি নিশ্চিত হতে প্রয়োজন পড়েছে ডিএনএ (ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষার। তাঁদের ডিএনএ প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষজ্ঞরা মা-মেয়ের একত্র হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।এ ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ে সিআইডির উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর অন্যতম বলে মনে করেন কর্মকর্তারা। তাঁদের ভাষ্যমতে, বিভিন্ন মামলার বায়োলজিক্যাল আলামত থেকে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরির মাধ্যমে ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করছে সিআইডির ডিএনএ ল্যাব। অপরাধী শনাক্তে সাহায্য করাই এ ল্যাবের মূল কাজ। সূত্রবিহীন (ক্লুলেস) অনেক হত্যার ঘটনায় খুনি শনাক্ত হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার সূত্র ধরেই। অজ্ঞাতপরিচয় লাশের পাশাপাশি পুড়ে অঙ্গার হওয়া লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে। সূত্র: প্রথম আলো

সব বৈদ্যুতিক যান এক মডেলের হবে

বৈদ্যুতিক যেসব যান বর্তমানে সড়কে চলছে, সেগুলোকে একটি নির্দিষ্ট নিরাপদ মডেলে রূপান্তর করতে হবে। বৈদ্যুতিক মোটরযান নিবন্ধন ও চলাচল সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালায় এমন বাধ্যবাধকতা থাকছে।নীতিমালায় বৈদ্যুতিক মোটরযান বলতে বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অনিরাপদ যান প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে, বিদ্যমান অনিরাপদ ইলেকট্রিক মোটরযান কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরাপদ মডেলে রূপান্তর করতে হবে। অন্যথায় তা সড়কে চলাচল করতে পারবে না।বৈদ্যুতিক মোটরযান নিবন্ধন ও চলাচল সংক্রান্ত এই নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাটারিচালিত সাইকেল, রিকশা, রিকশাভ্যান বৈদ্যুতিক যান বলে বিবেচিত হবে না। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ধীরগতির বৈদ্যুতিক মোটরযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। খসড়ায় ধীরগতি বলতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার বেগে চলাচলকারী যানবাহনকে বোঝানো হয়েছে।
নীতিমালায় যানবাহনের বৈদ্যুতিক চার্জের দায়িত্ব বিদ্যুৎ বিভাগের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। চার্জিং স্টেশন কোথায় ও কতগুলো হবে, তা নির্ধারণ করবে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ জন্য বিদ্যুৎ বিভাগও আলাদা নীতিমালা করছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে সঠিক তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে ইউএসডিএর এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন মেগান ফ্রান্সিক। বাংলাদেশের কৃষি পরিস্থিতি, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার, বিভিন্ন খাতে ও প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা, বাংলাদেশ থেকে ইউএসডিএর তথ্য সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বদরুল আলম-বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখলেও এখনো ফসলের অনিশ্চিত ফলন এবং অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে এ দেশের কৃষি। আপনি কি মনে করেন এসব সীমাবদ্ধতা কৃষকের ক্ষমতাকে সীমিত করছে? কৃষি একটি খুব কৌশলগত বিষয়। কারণ এটি সম্পূর্ণ আবহাওয়া ও জলবায়ুর ওপর নির্ভর করে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও কখনো ভালো ফসল হয় তো কখনো জলবায়ু পরিবর্তন, খরা, বন্যা ইত্যাদির কারণে বলতে গেলে ফসলই হয় না। এটা ঠিক যে আমাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় কৃষিজাত পণ্য রফতানিকারকদের মধ্যে অন্যতম। তাই এখন আমাদের আরো অনেক কিছু করার আছে।বাংলাদেশ যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে আমি মনে করি প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারের মাধ্যমেই এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় পরিচালিত কিছু গবেষণা কেন্দ্র এবং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের পর এসব গবেষণা দেখে আমি সত্যি অভিভূত। তাই আমি মনে করি, যেসব গবেষণা চলমান, সেগুলোয় আরো সহায়তা জরুরি।সরকারি উৎস থেকে পাওয়া কৃষিসম্পর্কিত তথ্যের ওপর অনেক মানুষেরই আস্থা নেই। বাংলাদেশের কৃষি পরিসংখ্যানের মান নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
আমি কাজের প্রয়োজনে বাংলাদেশের আশপাশের অনেক ল্যাব ও জেলা পরিদর্শন করেছি। যে বিষয়টি আমাকে মুগ্ধ করেছে সেটি হলো মাঠ পর্যায়ের সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী। কেবল দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তারাই নন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থা এবং সরকারও তথ্য সংগ্রহ করছে। আমি শুধু একটি সুপারিশ করেছি, সেটি হলো তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। সূত্র: বণিব বার্তা।

২০২২ সালে পাওনা আদায় মামলা করে সরকারের রেকর্ড ১৮৫০০ কোটি টাকা আদায়

Nagad

সরকারি সংস্থাগুলোর দায়ের করা অর্থ আদায় মামলাগুলোর নিষ্পত্তি ত্বরান্বিত করার জন্য সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো ফল দিতে শুরু করেছে। ২০২২ সালে রেকর্ড প্রায় ১৩ হাজার মামলায় সরকারের প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাওনা আদায় হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর উইং সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তি বা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তির হার আগের বছরগুলোতে অনেক কম ছিল।২০২১ সালে বিভিন্ন আদালতে এরকম ৪ হাজার ৩২৬ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, যেখান থেকে সরকার আদায় করতে পেরেছে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মতো। ২০২০ সালে ৩ হাজার ৮৮৪ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়ে আদায় হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা। অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ২০১৯ সাল থেকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তাদের অধীনস্থ সংস্থা, অধিদপ্তর ও প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ আদায়-সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

জ্বালানি তেলের মজুত বাড়ানো হচ্ছে

বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বেশ খানিকটা কমে এসেছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের মজুত বাড়াতে চাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগ। ১৮ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় দেশ থেকে আনা হচ্ছে ২১ লাখ টন জ্বালানি তেল। আবার আগামী জুনে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ এ বিষয়ে সমকালকে বলেন, দেশে জ্বালানি তেলের মজুত কিছুটা কম থাকলেও তাতে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। ছয়টি দেশ থেকে জ্বালানি আমদানির করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। কিছু ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে। আর কিছু যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে আছে। তিনি বলেন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে মোট ২১ লাখ টন জ্বালানি তেল আনা হবে। এর মধ্যে ২০ লাখ ৪০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল ও ৬০ হাজার টন ডিজেল। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ের জন্য এ তেল কেনা হবে। সূত্র: সমকাল

নেপথ্যে দেশি-বিদেশি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট
পুরোনো ট্রান্সফরমার নতুন মোড়কে

বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার নিয়ে চলছে ভয়ংকর কারসাজি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রান্সফরমার চুরি করছে একটি শক্তিশালী চক্র। সেগুলো রিসাইক্লিং করে নতুন মোড়কে ফের বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে-এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।তাদের মতে, চুরি করা ট্রান্সফরমার ক্রয় করছে কতিপয় উৎপাদনকারী কোম্পানি ও রিপেয়ারিং ব্যবসার একটি সিন্ডিকেট। সঙ্গে আছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডসহ (আরইবি) কয়েকটি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা। এছাড়া এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত রয়েছে একটি বিদেশি চক্রও। দেশি-বিদেশি এসব সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটই মূলত ট্রান্সফরমার কারসাজির নেপথ্যে রয়েছে। যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন চঞ্চল্যকর তথ্য। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, চক্রটি চুরি করে আনা ট্রান্সফরমার প্রথমে ভেঙে এর ভেতরের অংশগুলো আলাদা করে নেয়। এর মধ্যে রয়েছে মূল্যবান কপার, ট্রান্সফরমার অয়েল, ট্রান্সফরমার বডিতে ব্যবহৃত স্টিল শিট, ট্রান্সফরমার উৎপাদনে ব্যবহৃত অন্যতম দামি উপাদান ‘কোর’।এরপর চক্রটি এগুলো কখনো আলাদাভাবে চড়া দামে বিক্রি করে দেয়। আবার কখনো এসব উপাদান দিয়ে নতুন করে ট্রান্সফরমার বানানো হয়। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নামে-বেনামে এরকম অর্ধশত অসাধু ট্রান্সফরমার উৎপাদন ও রিপেয়ারিং কোম্পানি গড়ে উঠেছে। এরাই নামে-বেনামে গ্রাহক ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে অপেক্ষাকৃত কমদামে বিক্রি করছে নিুমানের এসব ট্রান্সফরমার। সূত্র: যুগান্তর

চুরি সিস্টেম লসে ডুবছে বিদ্যুৎ খাত
♦ বিশ্বের গড় সিস্টেম লস ৮%, বাংলাদেশে প্রায় ১১% ♦ দিনে গায়েব ১৮ কোটি টাকার বিদ্যুৎ ♦ চুরির ক্ষতি যাচ্ছে সিস্টেম লসের খাতায় ♦ বিল বাড়িয়ে দায় চাপানো হচ্ছে গ্রাহকের ঘাড়ে

২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে মোট বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন (আমদানিসহ) হয়েছে ৮৫ হাজার ৬০৭ মিলিয়ন ইউনিট (কিলোওয়াট/ঘণ্টা)। এর মধ্যে ৮ হাজার ৯১২ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎই গচ্চা সিস্টেম লসের খাতায়। চুরির মাধ্যমে বিদ্যুৎ লুটপাট করে দেখানো হচ্ছে সিস্টেম লস হিসেবে। গ্রাহকের কাছে প্রতি ইউনিট বিক্রয়ের গড় মূল্য ৭ টাকা ৬২ পয়সা (ডিমান্ড চার্জ ছাড়া ডেসকোর বিক্রয় দর) ধরে অপচয় হওয়া বিদ্যুতের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৬ হাজার ৭৯০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। প্রতিদিন নষ্ট হয় ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ। এর সঙ্গে বেসরকারি অলস বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে দেওয়া বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি বিল্ডিং চার্জ ও অন্যান্য ভর্তুকি যোগ করলে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণ। দিন শেষে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ক্ষতি চাপছে গ্রাহকের ঘাড়ে। শুধু চুরি ঠেকাতে পারলেই বছরে অন্তত ২ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা বাঁচানো যেত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে গত ১ মার্চ নতুন দাম কার্যকর হওয়ায় দুই মাসের ব্যবধানে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ল তিনবার। ১৪ বছরে পাইকারি পর্যায়ে ১১ বার ও খুচরা পর্যায়ে ১৩ বার বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিকে বসিয়ে বসিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি বিল্ডিং চার্জ দিতে গিয়ে খালি হচ্ছে রাজকোষ। অন্যদিকে সিস্টেম লসের নামে সারা দেশে বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব চলছে। ক্ষতি পোষাতে বিদ্যুতের দাম এমন ঘন ঘন বৃদ্ধি। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ১৯৬০ সালে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণে বিশ্বের গড় সিস্টেম লস ছিল ৯ শতাংশ, যা ২০১৪ সালে কমে দাঁড়ায় ৮ শতাংশে। স্টাটিসটা ডটকমের তথ্যানুযায়ী, ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩ শতাংশ, জার্মানি ও জাপানে ৪ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়া ও চীনে ৫ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে ৬ শতাংশ ছিল সিস্টেম লস। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।

বাংলাদেশে নতুন উদ্ভাবিত ‘ডায়াবেটিক ধান’ সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে

বাংলাদেশের ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট উচ্চ ফলনশীল দুটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে যার মধ্যে একটি ধানের চাল বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলে দাবি করছে ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানী ও পুষ্টিবিদরা।আর অন্য জাতটি দক্ষিণাঞ্চলসহ জোয়ার ভাটা অঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী হবে বলে জানিয়েছে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট।জাতীয় বীজ বোর্ডও এ দুটি ধানকে অনুমোদন দিয়েছে। ফলে এখন দুটি জাতই মাঠ পর্যায়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।নতুন ধানের বৈশিষ্ট্যের কথা জনিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান ১০৫ ‘ডায়াবেটিক চাল’ হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে তারা আশা করছেন।কর্মকর্তারা বলেছেন তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে এ দুটি জাতের চাষ ও ফলন পরীক্ষা করেছে ব্রি। শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিক ফলন গ্রহণযোগ্য মনে করা হয় এবং দুটি জাতকেই অনুমোদন দিলো জাতীয় বীজ বোর্ড। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

ভালভ, স্ট্যান্টসংকটে ব্যাহত হৃদরোগের চিকিৎসা

হৃদরোগীদের জন্য অন্যতম বিশেষায়িত হাসপাতাল জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। হৃদরোগের চিকিৎসায় দেশের নানা প্রান্তের মানুষের ভরসার স্থল এই হাসপাতাল। কিন্তু সরকারি এই হাসপাতালেই এখন চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে ভালভ, স্ট্যান্টসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে। শুধু জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালই নয়, সরকারি-বেসরকারি আরও অনেক হাসপাতালেই চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকটে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে আসা মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের চিকিৎসা সরঞ্জামের ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। ঋণপত্র (এলসি) খোলা নিয়ে জটিলতায় চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ভুগতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এ ধরনের কোনো সংকট দেশের চিকিৎসাব্যবস্থায় নেই। মন্ত্রণালয়ের দাবি, সংকটের কথা যারা বলছেন, তারা সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না।গত বুধবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুড়িগ্রাম থেকে আসা এক ব্যক্তি বলেন, কয়েক মাস আগেই এখানকারই চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর হৃদযন্ত্রে সমস্যা। এর একমাত্র চিকিৎসা ভালভ প্রতিস্থাপন। কিন্তু কয়েকবার কুড়িগ্রাম থেকে এসেও স্ত্রীর সমস্যার সমাধান করা যায়নি। বরং দিন দিন পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। তিনি জানান, হাসপাতাল থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, এলসি জটিলতার কারণে ভালভ আমদানি করতে পারেনি হাসপাতালে যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। অসহায় কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে যদি যন্ত্রই না থাকে, তাইলে আর এহানে থাইক্যা কী হইব? বাড়িত ফিইরা যামু।’ সূত্র: দৈনিক বাংলা।

‘আতঙ্কে’ বমপাড়ায় জুমচাষের ‘ক্ষতি’
বান্দরবানে সশস্ত্র সংগঠন ‘বম পার্টি’ এবং নতুন জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের মধ্যে গহীন পাহাড় থেকে অনেক নৃ-গোষ্ঠীর পরিবার পাড়া ছেড়ে যায়। এর প্রভাব পড়েছে পাহাড়িদের বাৎসরিক জুম চাষে। নির্ধারিত সময় চলে গেলেও একমাত্র ফসলের জন্য জুমের প্রস্তুতি নিতে পারেনি অনেক বম পরিবার; ফলে খাদ্য সংকটের আশঙ্কার কথাও বলেছেন তারা। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসেই জুমচাষের জন্য কাটা হয়ে যায় পাহাড়ের ঢালু জঙ্গল। কাটা জঙ্গল ও গুল্মলতা কড়া রোদে শুকানো হয় মার্চ মাস ধরে। তারপর এপ্রিলে ছোট ছোট গর্ত করে লাগানো হয় জুম ধানের বীজ ও অন্যান্য ফসল।ধান ছাড়া জুমে এক সঙ্গে মিষ্টি কুমড়া, তুলা, তিল, লাউ, মরিচ, ভুট্টা ও মারফা অনেক সাথী ফসল রোপণ করা হয়। সাধারণত সেপ্টেম্বর মাস থেকে জুমের ধান কাটা শুরু হয়। জুম ধানের ওপর নির্ভর করে চলে পাহাড়ের দুর্গম এলাকার বাসিন্দারা। আবহাওয়া ভাল থাকলে সারা বছরের খোরাকি ধান পেয়ে যায় অনেকে। সূত্র: বিডি নিউজ