বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে ভারত হয়ে মোংলায় ‘এমভি সেজুতি’

সংগৃহীত ছবি-

বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে রুশ জাহাজ নিষেধাজ্ঞার কারণে আবারও ভারত হয়ে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে এসেছে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি সেজুতি।

এর আগে সাতটি জাহাজ কোম্পানির ৬৯ জাহাজে রাশিয়ার পণ্য পরিবহনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের জন্য আমদানিকৃত মালামাল খালাস হয় ভারতে। এরপর সেখান থেকে থেকে এসব মালামাল আনা হয় বাংলাদেশে।

জাহাজটির বাংলাদেশি শিপিং এজেন্ট আল সাফা শিপিং লাইসেন্সের পরিচালক এইচ এম দুলাল বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫২৫ প্যাকেজের ১ হাজার ২৪৯ দশমিক ১৬ মেট্টিক টন মেশিনারি পণ্য ভারত ট্রানজিট হয়ে মঙ্গলবার মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।

তিনি জানান, আজ দুপুর থেকেই জাহাজ হতে মালামাল খালাস শুরু হয়। এরপর সড়কপথে এ সকল মালামাল যাবে রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া-ভারত-বাংলাদেশ ট্রানজিটের এটি তৃতীয় চালান।

এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এমভি সেজুতি ও ২৩ ফেব্রুয়ারি এমভি অপরাজিতা রুশ পণ্য নিয়ে ভারত ট্রানজিট হয়ে মোংলা বন্দরে আসে। আজ ট্রানজিটের তৃতীয় চালান এসেছে।

Nagad

জানা যায়, সাতটি জাহাজ কোম্পানির ৬৯টি জাহাজে রাশিয়ার পণ্য পরিবহনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে রাশিয়া থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা পণ্য খালাস হয় ভারতে। এরপর সেখান থেকে এসব পণ্য বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে আনা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে রূপপুরের মালামাল নিয়ে রাশিয়া থেকে মোংলা বন্দরে ছেড়ে আসা এমভি উসরা মেজরকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওই জাহাজটি ২৪ ডিসেম্বর মোংলা বন্দরে ভিড়ার কথা ছিল। পরে ওই জাহাজটি পণ্য খালাসে ভারতে গেলে সেখানেও পণ্য খালাস করতে না পারায় ফেরত যায় উসরা মেজর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়া, বাংলাদেশ ও ভারতসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।