ঝিনাইদহে যৌতুকের বলি স্ত্রী, পাষণ্ড স্বামীর মৃত্যদন্ডাদেশ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২৩

ঝিনাইদহে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলায় স্বামী আব্দুল হালিমকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ (১৪ মার্চ) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

মৃত্যু দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী শৈলকুপা উপজেলার ছাত্তার মণ্ডলের ছেলে আবুদল হালিম পলাতক রয়েছে। তবে মামলার সাথে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় আসামীর বাবা ছাত্তার মণ্ডল ও ভাই দলিল মণ্ডল চার্জশীট থেকে বাদ দেয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার দেবীনগর গ্রামের আব্দুল হালিম ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ববিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ বাড়ির পাশের মেহগনি বাগানে ফেলে রাখে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ববিতা খাতুনের মা সালেহা বাদী হয়ে পরদিন ২০ ডিসেম্বর শৈলকুপা থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধান আসামী আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘবিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসামীকে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেন। সেই সাথে ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করেন। আসামী পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

ববিতা খাতুনের মা ও মামলার বাদী ষাটোর্ধ সালেহা বেগম জানান, আমার একমাত্র মেয়েকে নির্মমভাবে যে মারলো তার বিচার আল্লাহ করেছে। আমি খুব খুশি । তবে ঐ পিশাচকে দ্রুত পুলিশ ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে, আমি মরে যাওয়ার আগে দেখে যেতে চাই।

তিনি আরো বলেন, দিনের পর দিন মেয়েকে নির্যাতন করে আসছিল। ৪ লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় আমার মেয়ের জীবনটা চলে গেল।”সর্বশক্তিমানের কাছে সবসময় চেয়েছিলাম যেন ওই কসাইয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। আল্লাহ আমার কতা শুনেছে। আমার কলজেডা আজ ঠান্ডা হইছে।”

বাদী পক্ষের আইনজীবী ও সরকারী কৌঁসুলি এ্যাড. বজলুর রশীদ জানান, এ রায়ে আমরা খুশী। তিনি আরো জানান, এ রায়ের মাধ্যমে সমাজে এমন বার্তা পৌঁছে যাবে যে, অন্যরা এমন ঘৃণ্য অপরাধ করতে যেন সাহস না পায়।

Nagad