ইকুয়েডর-পেরুতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ১৪
ইকুয়েডর ও পেরুতে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের ফলে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, ইকুয়েডরের উপকূলীয় গুয়াস অঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। গুয়াস প্রদেশের বালাও শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ৬৬ দশমিক ৪ কিমি গভীরতায় আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। অনেক স্কুল, অফিস, ঘর-বাড়ি ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠলে ঘর থেকে পথে খোলা জায়গায় নেমেছে আসে বহু মানুষ।


জানা গেছে, ভূমিকম্পের ফলে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, মেডিকেল সেন্টার ও স্কুল ঘর ধসে গেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে সুনামির শঙ্কা নেই।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘ভূমিকম্পের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা যাচাই করার জন্য আমরা এলাকায় রয়েছি। আমি নিশ্চিত করতে চাই আমি আপনার সঙ্গে আছি। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার সংহতি ও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি।’
দেশটির প্রেসিডেন্সির যোগাযোগ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৮০ জনেরও বেশি মানুষ। হতাহতদের মধ্যে বেশির ভাগই এল ওরো প্রদেশের।
ওই সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ৪৪টি বাড়ি ধসে পড়েছে। আরও ৯০টির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ৫০টিরও বেশি স্কুল ঘর এবং ৩০টিরও বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে বেশ কয়েকটি এলাকায় ভূমিধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সান্তা রোসা বিমানবন্দরের সামান্য ক্ষতি হয়েছে, তবে কার্যক্রম চলছে।
ইকুয়েডরের সেক্রেটারিয়েট অব রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজুয়ে প্রদেশেও একটি গাড়ির ওপর দেওয়াল ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য প্রদেশেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো আরও বলেন, “ভূমিকম্পটি জনগণের মধ্যে ভীতি তৈরি করেছে তাতে সন্দেহ নেই। ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়কে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
সূত্র: রয়টার্স