বাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জি’র বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্বামীর

বিনোদন ডেস্কবিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

দেশে-বিদেশে বক্স অফিসে সাড়া ফেলেছে বলিউড সিনেমা ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’। সন্তানদের অধিকার ফিরে পেতে নরওয়ে প্রশাসনের সাথে একলা মায়ের লড়াইয়ের কাহিনি যখন মন ছুঁয়ে গেছে দর্শকের, ঠিক তখনই বিতর্কে বাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জি’।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ সিনেমাতে ভারতীয় অভিনেত্রী রানি মুখার্জি, অনির্বাণ ভট্টাচার্যের অভিনয় প্রশংসিত হচ্ছে সর্বত্র। সেই আবহে বাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জি’ সাগরিকা চক্রবর্তীর নামে গুরুতর অভিযোগ আনলেন তার স্বামী অনুরূপ ভট্টাচার্য।

তার বক্তব্য, বাস্তবের কাহিনি ভিন্ন। সিনেমাতে দেখানো হয়েছে, মিসেস চ্যাটার্জির উপর নির্যাতন করত তার স্বামী। রীতিমতো পারিবারিক হিংসার শিকার সে। সাগরিকার স্বামী অনুরূপের অভিযোগ কী?

অনুরূপ ভট্টাচার্য জানান, দেড় বছর ভারতে ছিলেন সাগরিকা। নরওয়েতে ফেরার ইচ্ছে ছিল না তার। অনেক অনুনয়-বিনয় করে তাকে ফিরিয়ে আনতে হয়েছিল। শুধু তাই নয়, অনুরূপ শুনেছিলেন, আমরি হাসপাতালে কাজ করার সময় ওখানকার চিকিৎসকদের সাথে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সাগরিকা।

অনুরূপ বলেন, “বিরাট নামে একজন অপরিচিত ব্যক্তির বাড়িতে সাগরিকা দিন তিনেক ছিল বলে জানি। বিরাট আমার পরিচিত নয়। সন্তানদের ফিরে পেতে বিরাট সাহায্য করেছিল সাগরিকাকে।” অনুরূপ জানালেন, সন্তানদের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন, কিন্তু ভারতে এলে গ্রেপ্তার হয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা তার। বললেন, “সব সময় ওদের মঙ্গল চাই। চাই, ভাল হোক ওদের।”

এখন নরওয়ের নাগরিক অনুরূপের দাবি, সেই দেশের আইন অনুযায়ী তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হলেও, ভারতীয় আইন অনুযায়ী তারা আলাদা হননি। কিন্তু অনুরূপের এসব দাবি নস্যাৎ করে দিলেন সাগরিকা।

Nagad

বাস্তবের ‘মিসেস চ্যাটার্জি’ জানান, এই গল্প তার একার। একাই লড়েছেন তিনি। স্বামী হিসাবে কোনও দায়দায়িত্ব অনুরূপ নেননি। তিনি বলেন, “আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে বললেই হল? কাগজপত্র দেখাক তো। ছেলে-মেয়ের জন্য এক পয়সাও পাঠায় না। এত বছরে এক দিনও ফোন করেনি।”

সাগরিকার দাবি, সিনেমায় এখন সত্যিটা প্রকাশ্যে এসেছে বলে এসব বলছেন তার স্বামী। অনুরূপের কথার প্রতিবাদ করে সাগরিকার মা শিখা চক্রবর্তীও মেয়ের পক্ষ নিলেন। জানালেন, তার মেয়ে বিয়ের আগে চাকরি করতেন বেসরকারি হাসপাতালে। এখন অনুরূপের কথার কোনও মানে খুঁজে পাচ্ছেন না। তার দাবি, “আমার মেয়েটা বেঁচে গেছে।”

সারাদিন/২২ মার্চ/এমবি