স্ব-গৌরবে যাত্রা শুরু করলো হ্যাপী জেনারেল হাসপাতাল

সাভার প্রতিনিধি:সাভার প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২৩

নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ও সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে নতুন করে স্ব-গৌরবে যাত্রা শুরু করলো আশুলিয়ার হ্যাপী জেনারেল হাসপাতাল ।

বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ সাইদুল ইসলাম ও উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোজাম্মেল হোসাইন উপস্থিত থেকে হাসপাতালের তালা খুলে দেন।

এর আগে গত শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাগণ।

হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা জানায়, আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা মান ভালো হওয়ার দিন দিন জনপ্রিয়তায় বেড়েই চলছিল। হঠাৎ একটি কুচক্রী মহল আমাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আমাদের হাসপাতালটি বন্ধ করে দেন। পরে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে তা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আজ হাসপাতালটি খুলে দেন তারা। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া থানায় উপ পরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র রায়। হাসপাতালের ম্যানেজার লেবুবুর রহমান লেবু, মার্কেটিং ম্যানেজার স্বপন ও সাংবাদিক বশির আহমেদ সহ নার্স ও স্টাফগন।

এ সময় ডা. রাশিদা বিনতে রিয়াজ হ্যাপী বলেন, আমি বিগত ২০১১ সাল থেকে আশুলিয়া এলাকায় আপনাদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছি। আমি দীর্ঘদিন বিজিএমই হেলথ কমপ্লেক্স জামগড়াতে ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। সেই সুবাদে গার্মেন্টস কর্মীদের সাথে আমার সখ্যতা গড়ে উঠে। আমি খুব কাছে থেকে তাদের জীবন-জীবিকা উপলব্ধি করতে পারি। এখান থেকেই আমার ইচ্ছা জাগে আমি একটি হসপিটাল করে এই নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা করবো। যে হেল্প সেন্টার আছে সেখানে আমি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। সেই ইচ্ছা থেকে হাসপাতালটি শুরু করি। এবং প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বল্প খরচে চিকিৎসার জন্য চারদিকে আমার হসপিটালটি সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।

Nagad

তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে আমাদের হসপিটালে ফ্রি ক্যাম্পেইন করে থাকি। নিম্ন আয়ের যে মানুষগুলো আছে তাদের জন্য সব সময় সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকি। এবং এখানে প্রচুর রোগী আসতে শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ করে একটি কুচক্রী মহল আমার হসপিটালটির নামে মিথ্যা অভিযোগ আনলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আমার হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেন। পরে তারা বিভিন্নভাবে অভিযোগ খতিয়ে দেখে হাসপাতালটির নামে কোন ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আজ হাসপাতালের কার্যক্রম পুনরায় চালানো অনুমতি দেন। তাই আমি বলতে চাই আমার হ্যাপি জেনারেল হাসপাতাল গরিবের হাসপাতাল।

ডা. হ্যাপী আরও বলেন, আমি আরো জানাতে যাচ্ছি যে, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার বলেছেন দেশে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। সেই হিসেবে আমি একজন নারী উদ্যোক্তা। আমার ৬২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে। অথচ ষড়যন্ত্র করে আমার এই ৬২জন লোককে কর্মহীন করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সত্যের জয় অনিবার্য। তাই আমরা মিথ্যার ব্যাড়া জাল ভেঙে জয়ী হয়েছি।