আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৩

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
দুটি ধারা বাতিল, ৮টি সংশোধনের সুপারিশ
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর গত বছরের জুন মাসে সরকারের কাছে এই সুপারিশমালা পাঠায়।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সরকারের কাছে যে সুপারিশমালা পাঠিয়েছে, তাতে আইনটির দুটি ধারা (২১ ও ২৮) পুরোপুরি বাতিল এবং আটটি সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। এসব ধারার বেশির ভাগ বাক্‌স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আইনটি নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) সঙ্গে সরকারের আলাপ-আলোচনা চললেও দেখা যাচ্ছে, আইনটি সংশোধনের বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই। ওদিকে এই আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া এবং গ্রেপ্তার চলছেই।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত ২৯ মার্চ রমনা থানায় মামলা এবং একই মামলায় পরদিন সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো (৩ এপ্রিল জামিনে মুক্ত) হয়। গত ৩১ মার্চ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক আইনটি অবিলম্বে স্থগিত করা ও সেটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এর ধারাগুলোতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার আহ্বান জানান।বাংলাদেশে অনেকে আইনটি বাতিলের দাবি করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আইনটি কোনোমতেই বাতিল করা যায় না। এটির প্রয়োজন রয়েছে। তবে দরকার হলে এটি সংশোধন করা যেতে পারে। সূত্র: প্রথম আলো

ভর্তুকি লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানোর শর্ত দিয়েছে। তবে আগামী অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি প্রস্তাব করা হয়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের তুলনায় তা প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ ৮১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা।গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটির সভা হয়। ওই সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব চূড়ান্ত হওয়ার কথা। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আসছে বছরের বাজেটের আকার এখন পর্যন্ত সাত লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে। চলতি বাজেটের তুলনায় তা ১৩.৫ শতাংশ বেশি।অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকার চাইলেও আগামী বাজেটে ভর্তুকি খুব বেশি কমাতে পারবে না। কারণ চাপে থাকা অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি খাতে চাইলেও ভর্তুকি কমানো যাচ্ছে না। চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৩৩ শতাংশ, যা সাম্প্রতিক মাসগুলোর তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশ নির্ধারণ করতে চাইছে। আর প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭.৫ শতাংশ। সূত: কালের কণ্ঠ

সংসদ-সরকার মিলেমিশে একাকার
সরকারে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে দেশের আইনসভা বা জাতীয় সংসদ। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করাই সংসদের প্রধান কাজ হলেও রাষ্ট্রের এই দুই অঙ্গের কার্যক্রম এখন আর কার্যত আলাদা করে দেখা যাচ্ছে না। বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতিতে রাজনীতিবিদের সংখ্যা কমছে। ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে সংসদের কার্যক্রমে।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) হিসাবে, স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম সংসদে পেশায় সরাসরি ব্যবসায়ী এমন এমপি ছিলেন ১৭ দশমিক শূন্য ৫ ভাগ। বর্তমান সংসদে পেশাদার ব্যবসায়ী এমপি হলেন ৬১ দশমিক ৭৩ ভাগ। বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক শাসনের কালো অধ্যায় পেরিয়ে ১৯৯০ সালের পর থেকে ওয়ান-ইলেভেনের দুই বছর বাদে দেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে সংসদীয় রাজনীতি চালু রয়েছে। কিন্তু সংসদীয় রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া সম্ভব হয়নি। সংসদীয় কার্যক্রমে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও তা বেশিরভাগ সময় পালন করতে দেখা যায়নি। ১১টি সংসদে অর্ধেকের বেশি সময় বিরোধী দল ছিল নামকাওয়াস্তে। বাকি সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখনই বিরোধী দলে ছিল, তখনই তারা সংসদ বর্জনের পথ বেছে নিয়েছে। ফলে জনগণের মনোযোগ হারিয়ে গেছে সংসদের কার্যক্রম থেকে। ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল প্রথম সংসদের প্রথম দিনে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘এই সংসদের মর্যাদা যাতে রক্ষা পায়, সেদিকে আপনি (স্পিকার) খেয়াল রাখবেন। কারণ, আমরা যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছি, সে ইতিহাসে যেন খুঁত না থাকে। দুনিয়ার পার্লামেন্টারি কনভেনশনে যেসব নীতিমালা আছে, সেগুলো আমরা মেনে চলতে চাই। সঙ্গে সঙ্গে যেন এমন একটি পার্লামেন্টারি প্রসিডিউর ফলো করতে পারি, যাতে দুনিয়া আমাদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।’ সূত্র: সমকাল

বঙ্গবাজারে বারবার ‘রহস্যঘেরা’ আগুন
চতুর্মুখী স্বার্থে সর্বস্বান্ত ব্যবসায়ীরা
পোড়া মার্কেটের জায়গা বরাদ্দ পেতে আগে থেকেই তৎপর দুটি সংস্থা * ডিএসসিসি নির্মাণ করতে চায় বহুতল ভবন, এজন্য মাটির গুণগত মানও পরীক্ষা করা হয় * অবৈধ বাণিজ্য কবজায় রাখতে পাকা ভবন তৈরিতে বাধা ব্যবসায়ী নেতারা

Nagad

বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ব্যস্ততম বঙ্গবাজারে দৃষ্টি পড়েছে একাধিক গোষ্ঠীর। ওই জমিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) বহুতল মার্কেট তৈরি করতে চায়।
নিজস্ব সংস্থার নামে পুরো জায়গা বরাদ্দ পেতে অনেকদিন ধরেই তৎপর দুটি সংস্থা। আর ব্যবসায়ী নেতারা চান নিজেদের কবজায় যেমন আছে, তেমনই থাকবে বঙ্গবাজার।চতুর্মুখী এই স্বার্থের দ্বন্দ্বে বলি হচ্ছেন এখানকার হাজারো ব্যবসায়ী। এবার নিয়ে এখানে তিন দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। প্রতিবারই ধ্বংস হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। মার্কেটের আগুন নিয়ে প্রতিবারই ওঠে নানা প্রশ্ন। কিন্তু রহস্য উন্মোচিত হয় না। মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় লাগা আগুন সর্বগ্রাসী রূপ নেয়। লেলিহান শিখায় পুড়ে ছারখার হয়ে যায় বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সের ৫ হাজার দোকান। পুড়েছে আশপাশের মার্কেটের কয়েক শ দোকানও। টানা ১০ ঘণ্টা দাউদাউ করে জ্বলা আগুনের ঘটনাকে এবারও ‘রহস্যঘেরা’ বলছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। কেউ কেউ আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে আছে পরিকল্পিত ‘নীলনকশা।’ কারও মন্তব্য-‘ষড়যন্ত্রের আগুনে তাদের সর্বস্বান্ত করা হলো।’ এসব দাবি ও মন্তব্য করতে গিয়ে কিছু ক্লু তুলে ধরেছেন তারা। বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও বহুতল ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়ায় কারা লাভবান হবেন, তা সরকারকেই খুঁজে বের করতে হবে। এছাড়া এ জায়গা বরাদ্দ পেতে কোন কোন সংস্থা অনেক আগে থেকেই দৌড়ঝাঁপ করছে, তাও খতিয়ে দেখা দরকার। আবার হাজার হাজার ব্যবসায়ীকে ঝুঁকির মুখে রেখে কারা দীর্ঘদিন ধরে বহুতল ভবন নির্মাণে বাধা হয়ে ফায়দা লুটছে, নজরদারিতে আনতে হবে তাদের গতিবিধিও। তাহলেই আলোচিত এই মার্কেটে দফায় দফায় অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হতে পারে। যুগান্তরের অনুসন্ধান ও ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য। সূত্র: যুগন্তর

আগুন নেভানোর চ্যালেঞ্জে ঢাকা

চার বছর আগে রাজধানীর চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডে পানির সংকটে নিয়ন্ত্রণে আসছিল না আগুন, ৭১ জন মানুষ পুড়ে হয়েছিল কয়লা। মঙ্গলবার বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে আবারও ফুটে উঠল তীব্র পানি সংকটের মর্মান্তিক চিত্র। আশপাশে নেই এমন কোনো পুকুর বা খাল, যেখান থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভাতে পারে ফায়ার সার্ভিস। অবশেষে হেলিকপ্টারে দড়ি বেঁধে হাতির ঝিল থেকে পানি নিয়ে ছিটানো হয়েছে অগ্নিকুণ্ডে। সারা দেশে একের পর এক ঘটছে অগ্নিদুর্ঘটনা। রাজধানীতে অধিকাংশ সময় পানিস্বল্পতার কারণে আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়ছেন ফায়ার ফাইটাররা। সরু রাস্তায় পানি বহনকারী গাড়ি প্রবেশ করতে বাধছে বিপত্তি। ভরাটের দৌরাত্ম্যে উধাও হয়ে গেছে রাজধানীর খাল, পুকুর, জলাশয়। নগরীর রাস্তা, কারখানা, হোটেল, অধিকাংশ শপিং মলে নেই ফায়ার হাইড্রেন্টের ব্যবস্থা। এতে আগুনে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে যোগ হয়েছে উৎসুক জনতার ভিড়। ১৯৮৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত গত ৩৮ বছরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ঢাকার ১ হাজার ৯০০ সরকারি-বেসরকারি পুকুর ও জলাধার। ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) এক সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত সাড়ে তিন দশকে হারিয়ে গেছে ঢাকার ১০ হাজার হেক্টরের বেশি জলাভূমি, খাল ও নিম্নাঞ্চল। জলাশয় ভরাটের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৩১ সাল নাগাদ ঢাকায় জলাশয় ও নিম্নভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের ১০ শতাংশের নিচে নেমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, ১৯৭৮ সালে ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় জলাভূমির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৫২ হেক্টর এবং নিম্নভূমি ১৩ হাজার ৫২৮ হেক্টর। একই সময়ে খাল ও নদী ছিল ২ হাজার ৯০০ হেক্টর। রাজধানীর বৃষ্টির পানি এসব খাল দিয়েই পড়েছে নদীতে। ২০১৪ সালে ঢাকা ও আশপাশে জলাভূমি কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩৫ হেক্টরে, নিম্নভূমি ৬ হাজার ১৯৮ হেক্টরে এবং নদী-খাল ১ হাজার ২ হেক্টরে। অর্থাৎ জলাশয় কমেছে ৩৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ সময়ের ব্যবধানে নিম্নভূমি কমেছে ৫৪.১৮ এবং নদী-খাল ৬৫.৪৫ শতাংশ। মৎস্য বিভাগের পরিসংখ্যানমতে, ১৯৮৫ সালের দিকে ঢাকায় মোট পুকুর ছিল ২ হাজার। বেসরকারি হিসাবমতে, এ বছর পর্যন্ত তা এসে ঠেকেছে ১০০-তে, যদিও ঢাকায় পুকুরের প্রকৃত সংখ্যার হিসাব নেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

বায়ুদূষণে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকা, ‘বিপজ্জনক’ অবস্থানে থাইল্যান্ড

দূষিত শহরের তালিকায় বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ‘বিপজ্জানক’ অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে ৩৭১ স্কোর নিয়ে শহরটির অবস্থান শীর্ষে ছিল। তালিকায় ওই সময়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ভিয়েতনামের হ্যানয়। এ ছাড়া ভারতের কলকাতা তৃতীয়, চীনের শেনইয়াং চতুর্থ আর ১৫২ স্কোর নিয়ে রাজধানী ঢাকা ছিল পঞ্চম অবস্থানে।এ ছাড়া সবচেয়ে ভালো বায়ুর তালিকায় ৪ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে (৯৯) ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সল্ট লেক সিটি। একই স্কোর নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ৯৮ ও নরওয়ের অসলো ৯৭ অবস্থানে ছিল। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙতে যত বাধা

রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন কত তা জানে না কেউ। ভবনের ফিটনেস যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেসব চিহ্নিত করা হয়নি। তবে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এবং এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকৌশলগত পরীক্ষা করে কিছু ভবন, মার্কেট ও স্থাপনাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামো অপসারণও করা হচ্ছে না। কোনোটির ক্ষেত্রে আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। আর সিটি করপোরেশন ও রাজউকের ঠেলাঠেলিতেও আটকা পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ। দুই সিটি অপসারণের কথা বললেও কার্যত কেউ করে না।গত মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুনে সাতটি মার্কেট পুড়েছে। মাটির সঙ্গে মিশে গেছে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের চারটি মার্কেট। ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী, আট হাজার দোকান পুড়ে ক্ষতি হয়েছে হাজার কোটি টাকা। এ ঘটনার পর জানা যায়, ২০১৯ সালে ফায়ার সার্ভিস মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে। এরপর ১০ বার তারা নোটিস দিয়েছিল। সিটি করপোরেশন মার্কেট অপসারণ করে বহুতল মার্কেট করতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টে রিট করলে সেটা স্থগিত হয়ে যায়।এর আগে সাদেক হোসেন খোকা মেয়র থাকাকালে রাজধানীর আরেকটি বহুতল মার্কেট রায়েরবাজার পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেটিও অপসারণ করা যায়নি আদালতে মামলা করার কারণে। আদালতে মামলা করা ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণে যেসব বাধা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চিহ্নিত করা নিয়ে ঠেলাঠেলি। রাজউক যেহেতু ভূমি ব্যবহার, নকশা ও ভবন ব্যবহারের অনুমতি দেয় সে কারণে তাদের চিহ্নিত করার কথা। অন্যদিকে চিহ্নিত হলেও অপসারণ নিয়ে একে অন্যের দিকে দায়িত্ব ঠেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। চিহ্নিত করা কিছু স্থাপনা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অপসারণ করবে করবে বলেও করছে না। সূত্র: দেশ রুপান্তর

ইসির নীতিমালা: ভোটের দিন ছাড় পাবে সাংবাদিকের বাইক?
একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথমে সবার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিলেও শেষ মুহূর্তে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের দিন সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন; তবে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের কাজে মোটর সাইকেল ব্যবহার করা যাবে কি না, তার মীমাংসা এখনও হয়নি।ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, অনুমোদিত কার্ডধারীরা ভোটকেন্দ্রে ও ভোটকক্ষে কী করতে পারবেন, কী পারবেন না- সেসব বিষয় আগের মতই থাকছে। তবে ভোটের দিন মোটর সাইকেল ব্যবহারে ‘কড়াকড়ি’ আরোপের প্রস্তাব নিয়ে আরও পর্যালোচনা চলছে।জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “মঙ্গলবারের কমিশন সভায় ‘নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিক বা গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য নীতিমালা’র প্রস্তাবগুলো যাচাই বাছাই হয়েছে। অধিকাংশ প্রস্তাবই গত সংসদ নির্বাচনে যেমন ছিল তেমন থাকছে। তবে কয়েকটি বিষয় আরও পর্যালোচনা করে ইসি চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে।” তিনি জানান, ভোটের দিন পর্যাবেক্ষক ও সাংবাদিকরা ইসির অনুমোদিত স্টিকার লাগানো যানবাহন ব্যবহার করতে পারেন। শহর এলাকায় জনসাধারণের মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল গতবার। এবারও সেই ছাড় থাকবে কিনা, তা পর্যালোচনা করবে কমিশন।“নীতিমালাটি চূড়ান্ত হয়নি। অনেকগুলো সুপারিশ রয়েছে। ভোটের দিন নানা বিষয় পর্যালোচনা করে কোনো কিছুর যেন অপব্যবহার না হয়, কমিশন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে,” বলেন অশোক কুমার।ভোটের সময় সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিলে শাস্তি আরোপের বিধান করার একটি প্রস্তাবও কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন করেছে। সূত্র: বিডি নিউজ

বাংলাদেশে গত ৫০ বছরে যে ছয়টি আইন বেশি বিতর্কিত হয়েছে

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে গত পঞ্চাশ বছরের বেশি সময়ে এমন কিছু আইন এসেছে যেগুলো নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা সময়ে সমালোচনা ও বিতর্ক হয়েছে।

এসব আইন মানুষের মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে মানবাধিকার কর্মীরা সমালোচনা করেছেন। এরমধ্যে কয়েকটি আইন বাতিল হলেও অনেকগুলো আবার নানা সমালোচনা সত্ত্বেও বহাল রয়েছে। কী ছিল এসব আইন তা এক নজরে দেখে নেয়া যাক-বিশেষ ক্ষমতা আইন-বিশেষ ক্ষমতা আইনটি পাস করা হয়েছিলো ১৯৭৪ সালে। এই আইন অনুযায়ী, নির্বাহী কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য যে কাউকে আটক করতে পারতো।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে এই আইনটি পাস করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বিবিসি বাংলাকে বলেন, “যুদ্ধের পর পরই ওই সময়টাতে অনেকের হাতে অস্ত্র ছিল, পুলিশ বাহিনী সুসংগঠিত ছিল না, বামপন্থীরা রাতারাতি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতে শৃঙ্খলা ফেরাতেই এই আইনটি করা হয়েছিল।”আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ ১৯৭৪ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি আইনটি পাস করে। আইন পাশের পর আওয়ামী লীগ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। সমালোচকরা এই আইনটিকে ‘কালো আইন’ বলেও অভিহিত করে।যেসব কারণে আইনটির সমালোচনা করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আইনটির অধীনে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহভাজন যে কোন ব্যক্তিকে আটক করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল পুলিশকে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

পুলিশের নিয়ন্ত্রণে বঙ্গবাজার, পোড়া স্তূপ থেকে এখনো উঠছে ধোঁয়া

রাজধানীর বঙ্গবাজারের আগুনে পুড়ে যাওয়া এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ। যথাযথ কারণ ছাড়া কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না তারা।বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এনেক্সকো টাওয়ারের সামনে এবং হানিফ ফ্লাইওভারের নিছে ব্যারিকেড দিয়ে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। অর্থাৎ, আগুনে পুড়ে যাওয়া এনেক্সকো টাওয়ার, বঙ্গবাজার মার্কেট, বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট ও বঙ্গ হোমিও মার্কেটের সামনের যে রাস্তা সেটি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উৎসুক জনতা যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এবং ব্যবসায়ীদের মালামাল যাতে চুরি না হয় এজন্য আগুনে পুড়ে যাওয়া এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র এনেক্সকো টাওয়ারে ব্যবসায়ীদের তাদের মালামাল সরাতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে৷ তবে সেটিও দোকান মালিক সমিতি বলার পর।বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রাসেল বলেন, বুধবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে এলাকাটি পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নেয়। গত দুই দিন অনেক ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষ এখানে ঢুকে জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। তাই ব্যবসায়ীদের মালামাল রক্ষা করতে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেই এটি করা হয়েছে। এজন্য রাস্তার দুই পাশে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। সূত্র: বাংলানিউজ