আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
স্বপ্নের মালয়েশিয়া গিয়েও ফিরতে হচ্ছে দেশে
মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তির আওতায় দেশটিতে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে। তারই আওতায় গত ৩০ জানুয়ারি ১৭ জন শ্রমিককে কলিং ভিসায় দেশটিতে পাঠানো হয়। সেখানে একটি কম্পানিতে ভবন নির্মাণকাজে এই শ্রমিকদের পাঠায় বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনাল (আরএল-১৩২৭)। কিন্তু ভিসার মেয়াদ না থাকায় এক দিন পরই ১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। একইভাবে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ (আরএল-৪০) নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ার আরেকটি কম্পানিতে ২৯ জন কর্মী পাঠায়। এর মধ্যে ১০ জন শ্রমিককে গ্রহণ করে বাকি ১৯ জনের ইমিগ্রেশন সার্ভারে ডাটা না পাওয়ায় তাঁদেরও ফেরত পাঠানো হয়।প্রথম দফায় ফেরত আসা ১৭ জন শ্রমিকের একজন জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার বালিজুড়ি ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম। ধানি জমি বিক্রি, আর বাড়ি বন্ধক রেখে মালয়েশিয়ায় যেতে চার লাখ ১০ হাজার টাকা জোগাড় করেন তিনি। সেই টাকা দেন রিক্রুটিং এজেন্সি ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনালকে। ওই এজেন্সি গত ৩০ জানুয়ারি কলিং ভিসায় তাঁকে মালয়েশিয়া পাঠায়। সূত্র: কালের কণ্ঠ


অগ্নিকাণ্ড ও পুনর্বাসন
গুলিস্তান হকার্স মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্তরা দোকান পাননি, আশ্বাসেই ১৮ বছর পার
বঙ্গবাজারের মতোই ২০০৪ সালে ভয়াবহ আগুনে পুড়েছিল গুলিস্তানের পুরান বাজার হকার্স মার্কেট। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা যায়নি।
বঙ্গবাজারের মতোই ভয়াবহ আগুনে ১৮ বছর আগে পুড়ে গিয়েছিল রাজধানীর গুলিস্তানের পুরান বাজার হকার্স মার্কেট। ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসের সেই অগ্নিকাণ্ডে জীবিকার সম্বল হারিয়েছিলেন ওই মার্কেটের (বিপণিবিতান) ১ হাজার ৬৪৬ জন ব্যবসায়ী। তখন সিটি করপোরেশন থেকে ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, টিনের তৈরি দ্বিতল ওই পোড়া মার্কেটের জায়গায় ১২ তলা ভবন নির্মাণ করে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিস্তিতে প্রায় ৫০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। টিনের তৈরি দ্বিতল পুরান বাজার হকার্স মার্কেটে (মূলত পোশাক বিক্রি হতো) অগ্নিকাণ্ডের ১৮ বছর পরও নতুন মার্কেট ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। গত প্রায় দুই দশকে সেখানে মাত্র চারটি তলার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পুরো ১২ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হতে আর কত বছর লাগবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। তখন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন ছিল। মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকা। অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যবসায়ীরা নাশকতার অভিযোগ করেছিলেন।
পুরান বাজার হকার্স মার্কেটের যে জায়গায় নতুন ভবন হচ্ছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার। তবে স্থানীয় জনগণের কাছে এটি পোড়া মার্কেট নামেই পরিচিত। জায়গাটি গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের দক্ষিণ–পূর্ব পাশে। এই জমির বর্তমান মালিক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের থেকে প্রথমে টাকা তুলেছিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ। সূত্র; প্রথম আলো
১৮ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ, বাড়তে পারে তীব্রতা
টানা ১৫-২০ দিন ঝড়বৃষ্টির পর অবশেষে স্বরূপে ফিরেছে চৈত্র। তিন দিন আগে দেশের পাঁচ জেলায় যে মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছিল, এখন সেটি ১৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। বেলা একটু গড়ালেই রোদের তাপ যেন প্রখর হয়ে উঠতে শুরু করে। দুপুরে যা পরিণত হয় কাঠফাটা রোদে।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী এক সপ্তাহ গরমের তীব্রতা কমার সম্ভাবনা নেই। বরং দেশের বিভিন্ন স্থানে যে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তার তীব্রতা বেড়ে মাঝারি থেকে তীব্রে পরিণত হতে পারে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোথাও কোথাও হালকা বাতাস বইলেও তাতে গরমের তীব্রতা কমছে না। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুর ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মেঘ-বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে কয়েকটি এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হলেও তা কম সময় স্থায়ী হবে। ফলে গরমের তীব্রতা রয়ে যেতে পারে। সূত্র: সমকাল
আন্দোলন দমানো জমানোর অঙ্ক
দুটোতেই পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ
সরকারবিরোধী আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানো ও সরকারে থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবিলায় বরাবরই আওয়ামী লীগকে সফল বলা যায়। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যেমন সফলতার সঙ্গে করেছে আওয়ামী লীগ, তেমনি বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ওই সরকারের পতন ঘটিয়েছে দলটি।অবশ্য নব্বইয়ের আন্দোলনে সফলতার অগ্রভাগে আওয়ামী লীগ থাকলেও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের বিএনপিসহ অন্য দলেরও কৃতিত্ব রয়েছে স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে। দলটির এমন সাফল্যের পেছনে তৃণমূল সম্পৃক্ততা অন্যতম কারণ বলে মনে করেন নেতারা। বিশিষ্টজনরা মনে করেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে দলের নেতৃত্বে ছিলেন, সে দল সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হবে এটাই স্বাভাবিক।স্বাধীনতার পর ১৯৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগে বিপর্যয়ে পড়ে। দল বিভক্ত হয়ে যায়। ১৯৮১ সালে ১৭ মে দেশে ফিরে দলের দায়িত্ব তুলে নেন শেখ হাসিনা। এরপরই দলটি মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করে। প্রথমেই সারা দেশে ঘুরে ঘুরে তৃণমূল আওয়ামী লীগকে চাঙ্গা করে তোলেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময়ে দলের স্বার্থে কখনো অনমনীয় থেকেছেন, কখনো নমনীয় হয়েছেন। আন্দোলন করা, আন্দোলন মোকাবিলা ও ক্ষমতায় টিকে থাকার যে আত্মবিশ্বাস দলটির ভেতরে দানা বেঁধেছে সেটা শেখ হাসিনাকে ঘিরেই। ক্ষমতার রাজনীতিতে আন্দোলন করা ও আন্দোলন মোকাবিলা করায় আওয়ামী লীগ অন্য অনেক দল থেকে আলাদা কেন এ প্রশ্নে দেশের বিভিন্ন মহল ও রাজনীতিবিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল। আগে বিভিন্ন সময়ে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অভিজ্ঞতাও দলটিকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। তবে আন্দোলন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগকে কখনো আগে বাড়তে হয়েছে, আবার পিছু হটতেও হয়েছে।সূত্র: দেশ রুপান্তর
বাংলাদেশের রূপান্তরে এনজিও যুগের পরিসমাপ্তি কি
এনজিও—ননগভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন বা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। দেশী-বিদেশী উৎস থেকে পাওয়া তহবিল কাজে লাগিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নানা কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো। স্বাধীনতার পরের কয়েক দশকে দেশের উন্নয়ন অর্থনীতিতে সংস্থাগুলো বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু গত এক দশকে সংস্থাগুলোয় বিদেশ থেকে তহবিল আসা এক প্রকার বন্ধ হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে কমেছে এনজিওগুলোর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতা। টিকে থাকতে এখন বাণিজ্যিক রূপান্তরের পথ বেছে নিতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এখন আর তহবিলের জোগান দিতে চাইছে না বিদেশী দাতারা। এছাড়া কভিডকালীন বিপত্তি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির চলমান দুঃসময়ও এখানে বড় একটি ভূমিকা রেখেছে। স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক এনজিও। এগুলোর মধ্যে রেড ক্রস/রেড ক্রিসেন্ট, কেয়ার, কারিতাসের মতো বিদেশী কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখানে সক্রিয় পাকিস্তান আমল থেকেই। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এনজিওর সংখ্যা ও কার্যক্রম বেড়ে যায়। ১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও সত্তরের দশকের বড় কয়েকটি দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত এবং মানবিক সংকটে পতিত হয় বাংলাদেশ। সূত্র: বণিক বার্তা।
মধ্য থেকে উচ্চ-আয়ের পথে যাত্রা: বাংলাদেশ যেভাবে এ বাধা জয় করতে পারে
কোভিড-১৯ মহামারি আঘাত হানার আগে ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে চমৎকারভাবে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মহামারির কারণে গত এক দশকের টেকসই উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও অন্যান্য অর্জন স্থবির হয়ে পড়ে। মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা শুরু করতেই নতুন করে আবারও বাধা আসে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে — ওলটপালট হয়ে যায় পরবর্তী অর্থবছরের বাজেট বইয়ে ভারসাম্যের হিসাব ও উন্নত প্রবৃদ্ধি অর্জনের কৌশলগত প্রচেষ্টা।আগামী বাজেট এলডিসি থেকে উত্তরণের বছরের আগে শেষ বাজেটের আগের বাজেট। বছর শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথাও রয়েছে। মহামারি ও যুদ্ধের কারণে দুইবার ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের দুর্বল আর্থিক সক্ষমতা দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে মহামারিপূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে আগামী বাজেট তৈরি করা সরকারের জন্য একটি নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ হবে। এ কাজটা ভয়ংকর কঠিন, তবে একেবারে অসম্ভব কিছু নয়। যেটা দরকার তা হলো, অর্থনীতির সব খাতে বড় একটা ধাক্কা — যেমনটা করে দেখিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশের প্রায় ৪৫ বছর লেগেছে। স্বাধীনতার সাড়ে পাঁচ দশক পরে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার পথে রয়েছে এখন বাংলাদেশ। দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনায় বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে। এ মাইলফলক অর্জন করতে হলে বাংলাদেশকে দুই দশকের কম সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নির্ধারিত ৮ শতাংশের ওপরে ধরে রাখতে হবে এবং মাথাপিছু আয় বর্তমানের ২ হাজার ৮২৪ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৩ হাজার ডলারে নিয়ে যেতে হবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
বান্দরবানে আতঙ্কের নাম কুকি চিন
দুই দশকেরও বেশি সময় শান্ত থাকার পর ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবান। আর এর নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন দল ও সংগঠনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব। স্থানীয়রা বলছেন, জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), জেএসএস সংস্কার, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ), ইউপিডিএফ সংস্কার, মগ পার্টি ও কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) মতো সংগঠনগুলোর দ্বন্দ্বের কারণে আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে বান্দরবান। বিশেষ করে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় কেএনএফের দৌরাত্ম্য সবচেয়ে বেশি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
থানচির তিন ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামে অধিবাসী ১২ হাজারেরও বেশি। তারা অভিযোগ করেছেন, কেএনএফ সদস্যরা রাস্তায় গাছ ফেলে বা সেতুর পাটাতন ভেঙে যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। ফলে পাহাড়ে কৃষিজমি ও বাজারসহ অন্যান্য গন্তব্যে যাতায়াত, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা, এমনকি হাসপাতালে যাতায়াতও বিঘ্নিত হচ্ছে। মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে পর্যটন। কেএনএফের ভয়ে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এক কথায়, তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পার্বত্য মন্ত্রীর প্রতিনিধি ও থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অংপ্রু ম্রো বলেন, ‘তাদের (কেএনএফ) কারণে আমার ইউনিয়নের ১০-১৫টি গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ ভয়ের মধ্যে দিনযাপন করছে। জনজীবন একেবারে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে আমরা কেএনএফের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথা কানে তোলেনি।’স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে খবর পেয়ে গত অক্টোবর থেকে পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। এরপর থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। এখনো সে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।
জরুরি পরিষেবায় ধর্মঘট ‘বেআইনি বা দণ্ডনীয়’ ঘোষণার প্রস্তাবে উদ্বেগ
বাংলাদেশে অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন করার উদ্যোগ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে শ্রমিক সংগঠন, ইউনিয়ন ও নাগরিক সংগঠনগুলো। সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত একটি বিলে অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতে বেআইনি ধর্মঘটের জন্য জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।এ ছাড়া বলা হয়েছে, যেসব পরিষেবা বিঘ্নিত হলে জনগণের অসহনীয় কষ্ট হতে পারে সেগুলোকে সরকার অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা করতে পারবে।এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে শ্রমিক সংগঠন, ইউনিয়ন ও নাগরিক সংগঠনগুলোর দিকে থেকে।শ্রমিক সংগঠন ও ইউনিয়ন নেতারা বিলটির সমালোচনা করে বলেছেন এটি প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেবে এবং ‘মালিক বা কর্তৃপক্ষের দৌরাত্ম্য’ আরও বাড়িয়ে তুলবে।”ধর্মঘট করলে জেল-জরিমানার আইন করার প্রস্তাব মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী,” বলেছেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান।বৃহস্পতিবার শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ নামের ওই বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।
আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের সমন্বয়ক সোহেলের স্ত্রী গ্রেপ্তার
ঢাকার আদালত চত্ত্বর থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল সমন্বয়ক জেল পলাতক জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী শিখা ও তার আশ্রয়দাতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন জানান, আদালত চত্ত্বর থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল সমন্বয়ক জেল পলাতক জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী শিখা ও তার আশ্রয়দাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারদের সঙ্গে নিয়ে পলাতক জঙ্গি গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে সিটিটিসি। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।গত ২০ ডিসেম্বর দুপুরে দুই জঙ্গিকে একটি মামলায় ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ সদস্যরা তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এই দুই জঙ্গি দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। সূত্র: বাংলানিউজ
বঙ্গবাজারে পোড়া বরিশাল প্লাজায় ফের অগ্নিকাণ্ড
বঙ্গবাজারে চার দিন আগে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বিপণি বিতান বরিশাল প্লাজায় ফের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। শনিবার সকালে সেখানে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪ ইউনিট গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনে।মূল বঙ্গবাজারের পশ্চিম পাশের রাস্তার ওপারের বরিশাল প্লাজার চতুর্থ তলায় সকাল ৮টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার।তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল পৌনে ৯টার দিকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।পোড়া ওই মর্কেটে কীভাবে নতুন করে আগুন লাগল, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।গত ৪ এপ্রিল যে ভয়াবহ আগুন বঙ্গবাজারে পুড়েছিল, সেই আগুন বরিশাল প্লাজায়ও ছড়িয়েছিল। ওই অগ্নিকাণ্ডে ৫ হাজারের মতো দোকান পুড়ে যায়।আগুন সম্পূর্ণ নেভানোর একদিন বাদেই আবার অগ্নিকাণ্ড ঘটল একই এলাকায়। সূত্র: বিডি নিউজ