ভেসে আসা ট্রলারে ১০ মরদেহের বেশির ভাগই হাত-পা বাঁধা, লাশ পচা
কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নাজিরারটেক পয়েন্টে ভেসে আসা ট্রলার থেকে উদ্ধার করা ১০ মরদেহের বেশিরভাগই ছিল হাত-পা বাঁধা ও অর্ধগলিত অবস্থায়। মরদেহগুলো পচে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস।
রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খান খলিলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


স্টেশন অফিসার খান খলিলুর রহমান জানান, রোববার দুপুরে ভেসে আসা ট্রলারটি থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগই মরদেহের হাত-পা বাঁধা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর মাছ রাখার যে ফ্রিজ বা বিশেষ যে চেম্বার ট্রলারে রয়েছে, সেখানে ঢুকিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়। ইতোমধ্যে উদ্ধারকৃত মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লাশবাহী ওই ট্রলার উপকূলে কীভাবে এসেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘লাশগুলো কোথা থেকে কীভাবে এসেছে, এখন পর্যন্ত তা জানা যায়নি। এমনকি, কারও পরিচয়ও শনাক্ত করা যায়নি।’
ওসি আরও বলেন, ‘যেহেতু লাশ পচে গেছে, তাই কোনোভাবে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। সাগরে যাদের আত্মীয়-স্বজন নিখোঁজ আছে, এমন বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যরাও এসেছিলেন শনাক্ত করতে, কিন্তু তারা কোনোভাবে শনাক্ত করতে পারেনি।’
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, স্থানীয় ছেলেরা গভীর বঙ্গোপসাগরে ওই ট্রলারটি দেখতে পান। শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদের দিন রাতে জেলেরা ট্রলারটি টেনে নাজিরারটেক পয়েন্টে নিয়ে আসেন। পরে সেখানে এনে রোববার সকালে ট্রলারের ভেতর থেকে গলিত বেশ কয়েকটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে মহেশখালী থেকে ১৬ জন জেলে নিখোঁজ ছিল। এসব মরদেহ তাদের কারও কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।