আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২৩

ঠিকানা পাল্টে ব্যবসা বাঁচানোর চেষ্টায় বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা

ঈদের আগে রাজধানীর বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা চৌকিতে বসে অস্থায়ীভাবে দোকান করার সুযোগ পেলেও প্রচণ্ড রোদের কারণে তাঁদের ব্যবসা জমেনি। অর্ধেক চৌকিই ছিল খালি। এদিকে সামনে যখন-তখন ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। আর ব্যবসায়ীরা উন্মুক্ত স্থানেইবা ঠিক কত দিন ব্যবসা করতে পারবেন, সেই নিশ্চয়তাও নেই। ফলে ব্যবসায়ীদের বড় অংশ এখনো দিশাহারা। তবে সামর্থ্যবান কোনো কোনো ব্যবসায়ী দোকানের ঠিকানা বদলানোর কথা ভাবছেন। তাঁরা আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটে জায়গা খুঁজছেন বলে জানা গেছে। বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের অস্থায়ীভাবে চৌকিতে বসানোর সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানিয়েছিল যে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা সেখানে দোকান করতে পারবেন। এরপর স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু স্থায়ী পুনর্বাসনের ধরন কেমন হবে, তা এখনো খোলাসা করা হয়নি। ব্যবসায়ী কিংবা ব্যবসায়ী নেতারাও জানেন না পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের জায়গায় কবে আবার মার্কেট গড়ে উঠবে। সে জন্য সার্বিক অনিশ্চয়তার কথা ভেবে কিছু ব্যবসায়ী আশপাশের মার্কেটে দোকান নিয়ে ব্যবসা টেকানোর চেষ্টায় আছেন। ঠিক কতজন ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে ব্যবসা সরিয়ে নিয়েছেন বা নেবেন, সেই তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বঙ্গবাজারের আশপাশে বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তনের ব্যানার লাগিয়েছেন কিছু ব্যবসায়ী। এসব ব্যবসায়ীর বেশির ভাগই ফুলবাড়িয়া এলাকার সিটি প্লাজা, বরিশাল প্লাজা ও গোল্ডেন প্লাজায় দোকান নিয়েছেন। যাঁরা গার্মেন্টসের স্টক লটের ব্যবসা করেন, তাঁরা মিরপুরের দিকে গেছেন। সূত্র: প্র্রথম আলো

সরবরাহ লাইন ঝুঁকিপূর্ণ সব বদলাতে চায় তিতাস
রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশে জালের মতো ছড়িয়ে থাকা তিতাস গ্যাসের ৬০ শতাংশের বেশি পাইপলাইনের কারিগরি মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এসব বিতরণ লাইন এখন গ্যাসের বাড়তি চাপ নিতে পারছে না। পাইপলাইন ছিদ্র হয়ে গ্যাস বেরিয়ে যাচ্ছে। এতে গ্যাসের অপচয়ের সঙ্গে দুর্ঘটনার শঙ্কা এবং জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে। দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের সংশ্লিষ্ট কারিগরি সূত্র জানায়, এই সরবরাহ লাইনগুলোর মেয়াদ ছিল ৩০ বছর। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ওই সব পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করতে হচ্ছে। নতুন পাইপলাইন বসানো হচ্ছে না।গত বছর তিতাসের জরুরি নিয়ন্ত্রণকক্ষে ছয় হাজার ৮৬২টি অভিযোগ আসে। এর মধ্যে গ্যাসের পাইপলাইনে ছিদ্রের অভিযোগ ছিল চার হাজার ৮৯১টি।একই বছর ঢাকার এক হাজার ৬৮২ কিলোমিটার পাইপলাইনের মান কোন পর্যায়ে আছে, তা জানতে জরিপ চালায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এতে পাইপলাইনের ওপরে ৯ হাজার ৯২৬টি স্থানে গ্যাসের উৎস (মিথেন) শনাক্ত হয়, যার মধ্যে ৪৫৯টি ছিদ্র ধরা পড়ে। পাইপলাইনের ওপর দিয়ে এক ধরনের যন্ত্র চালিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়। ছিদ্রগুলো সংস্কার করা হয়েছে বলে তখন জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

শীর্ষ ঋণখেলাপিরা চট্টগ্রামের
৫৫ কোম্পানির খেলাপি প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা, উদ্বেগ ব্যাংকপাড়ায়

ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকা ফেরত দিচ্ছেন না চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় চট্টগ্রামের ৫৫ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। ঋণের ২০ হাজার কোটি টাকা মেরে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন অন্তত ৩৩ জন ব্যবসায়ী। টাকা ফেরত না দেওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ব্যাংকপাড়ায়।ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, ব্যাংক পরিচালক-উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ঋণগ্রহীতাদের সম্পর্ক থাকায় ঋণ দিতে বাধ্য করা হয়েছে কর্মকর্তাদের। ফলে এসব ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়মনীতি অনুসরণ করেনি ব্যাংক। এভাবে ঋণ নিয়ে অনেকেই আত্মসাৎ করে ব্যাংকগুলোকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। অর্থ আদায়ে ঋণদাতা ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, চট্টগ্রামের ১৫ ব্যবসায়ী গ্রুপের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সীতাকুণ্ডের শাহ আমানত আয়রন মার্টের গিয়াস উদ্দিন কুসুমের খেলাপি ঋণ ৬০০ কোটি টাকা। লিজেন্ড হোল্ডিংয়ের এস এম আবদুল হাইয়ের খেলাপি ঋণ ৫২৫ কোটি টাকা। বাদশা গ্রুপের মোহাম্মদ ইসা বাদশার কাছে আট ব্যাংকের পাওনা ৫০০ কোটি টাকা। ন্যাম করপোরেশনের কর্ণধার আবদুল আলিম চৌধুরীর কাছে সাত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা ৫০০ কোটি টাকা। নাজমুল আবেদীনের কাছে চার ব্যাংকের পাওনা ৪০০ কোটি টাকা। আলম অ্যান্ড কোংয়ের শাহ আলমের কাছে আট ব্যাংকের পাওনা ৩০০ কোটি টাকা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন
সরকারবিরোধীরা এক দফায়

Nagad

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অভিন্ন দাবিতে রাজপথে নামছে সরকারবিরোধীরা। রাজনীতির মাঠে মত-পথ এবং আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও এই অভিন্ন দাবিতে অনেকটাই এখন তারা কাছাকাছি অবস্থানে।দলীয় সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত সামনে রেখে যার যার অবস্থান থেকে বিরোধীদলগুলো যুগপৎভাবে রাজপথ উত্তপ্ত রাখার কৌশল গ্রহণ করেছে। এই আন্দোলনকে তারা ক্রমান্বয়ে এক দফা দাবি আদায়ের বৃহত্তর আন্দোলনে পরিণত করতে পর্দার আড়ালে আলাপ-আলোচনাও অব্যাহত রেখেছে। সে অনুযায়ী একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে।বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের মতে, যেকোনো মূল্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সব মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত। দেশের মানুষও চায় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে। নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে। মানুষের রায়ে যারা ক্ষমতায় আসবে, আসুক। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে মানুষের এই চাওয়া পূরণ হবে না। তাই নির্দলীয়-নিরপেক্ষ এবং তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া আর কেনো বিকল্প তাদের হাতে নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অতীতের মতো এবারও সংবিধানের ভেতরে থেকেই নির্বাচনকালীন দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান দিয়েছে। তাদের শরিক জোট ১৪ দলের সদস্যরা এবং জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিরও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে আপত্তি নেই। তবে জাতীয় পার্টি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা যেকোনো মূল্যে আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। এই দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই সংসদে এবং সংসদের বাইরে বেশ সোচ্চার এবং সরব জাতীয় পার্টি। সূত্র; যুগান্তর

দুই পাউন্ড গাঁজা পাচারের দায়ে সিঙ্গাপুরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

গাঁজা পাচারের দায়ে সিঙ্গাপুরে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বুধবার সকালে চাঙ্গি কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হওয়া ওই ব্যক্তির নাম তাঙ্গারাজু সুপিয়াহ (৪৬)। তিনি ২.২ পাউন্ড গাঁজা পরিবহনের চেষ্টা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
তাঙ্গারাজু সুপিয়াহর পরিবার সিএনএনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। কারাগার থেকে পরিবারের হাতে একটি মৃত্যু সনদ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঙ্গারাজুর বোন লীলাবতী সুপিয়াহ।সেন্ট্রাল নারকোটিকস ব্যুরোর (সিএনবি) বিবৃতি অনুসারে, এক কেজির বেশি গাঁজা পাচারে জড়িত থাকায় ২০১৮ সালে তাঙ্গারাজুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে তার আপিল খারিজ করে দেন আদালত। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদনও ব্যর্থ হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা ও মানবাধিকার কর্মীরা তার ক্ষমার জন্য জনসমক্ষে আবেদন করেছিলেন। সূত্র: সমকাল

আইএমএফের শর্তপূরণে জুনে আবারো বাড়ানো হবে বিদ্যুতের দাম

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতে – আগামী জুনের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা কার্যকর হলে- চলতি বছরে চতুর্থবারের মতো বিদ্যুতের দাম বাড়বে।এতে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে; ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে জীবনধারণে যাদের হিমশিম অবস্থা। তারপরও, আইএমএফ ঋণ প্যাকেজের শর্ত মেনে – ভর্তুকির চাপ কমাতে বাধ্য হয়েই কঠিন এ সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে সরকারকে। এছাড়া, সেপ্টেম্বর থেকে জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে বলেও আইএমএফ এর পর্যালোচনাকারী প্রতিনিধি দলকে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।তবে রিজার্ভ হিসাবের পদ্ধতি নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিমত রয়েছে, যা আগামী দফার আলোচনায় সুরাহা হবে বলে তারা আশা করছেন।৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তির শর্তগুলো বাস্তবায়ন পরিস্থিতি প্রথমবারের মতো পর্যালোচনা করতে ঢাকা সফর করছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এসব অগ্রগতির বিষয়ে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেন। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ঢাকার বায়ু সহনীয়

ঈদের ছুটি শেষ হলেও রাজধানী ঢাকায় চিরচেনা সেই কর্মচাঞ্চল্যতা এখনো ফিরেনি। যার ফলে যানবাহন চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কম।এর প্রভাব পড়েছে বায়ুতেও। ঢাকার বায়ু আজ বুধবার ‘সহনীয়’। সকাল সাড়ে ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৯৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান ১৩তম। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করেছে। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। এ তালিকায় ১৮৪ একিউআই স্কোর নিয়ে শীর্ষে স্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি; ১৮০ নিয়ে দ্বিতীয় পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয় স্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন স্কোর ১৫৮, চতুর্থ স্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর স্কোর ১৫৪ এবং পঞ্চম স্থানে থাকা তাইওয়ানে কাওশিউংয়ের স্কোর ১৫৪। সূত্র: দেশ রুপান্তর

৮ মাসে এসেছে সাড়ে ৩ বিলিয়ন
বিদেশি বিনিয়োগে আশার আলো

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) সবশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আশার কথা বলা হয়েছিল। গত বছরের ৯ জুন প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট (ডব্লিউআইআর)-২০২২’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ২০২১ সালে ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারতের পর দ্বিতীয় শীর্ষ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের হালনাগাদ যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে আঙ্কটাডের ওই প্রতিবেদনের প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ঈদের ছুটির আগে বিদেশি বিনিয়োগের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ৩৫০ কোটি ৪০ লাখ (৩.৫০ বিলিয়ন) ডলারের এফডিআই পেয়েছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরের এই আট মাসে ৩১৩ কোটি ১০ লাখ (৩.১৩ বিলিয়ন) ডলারের এফডিআই এসেছিল বাংলাদেশে। সুত্র: দেশ রুপান্তর

গ্যাসের গন্ধে আতঙ্ক, সরবরাহ লাইনের লিকেজ দুর্যোগ ডেকে আনতে পারে

তিতাস কর্তৃপক্ষ বলেছে, ঈদের ছুটিতে গ্যাসের চাহিদা কমে যাওয়ায় সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে চাপ বেড়ে যায়। যার ফলে বিভিন্ন লিকেজ দিয়ে গ্যাস বের হতে থাকে। পরে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেওয়া হলে রাতের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। তাই আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও একসাথে এতোগুলো এলাকায় গ্যাস লিক হওয়ার ঘটনায় যেকোন মুহূর্তে আগুনের সংস্পর্শে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।এই গ্যাস জনস্বাস্থ্যের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে তারা জানিয়েছেন।গ্যাস লিক হওয়ার পেছনে তারা মেয়াদোত্তীর্ণ পাইপলাইন প্রতিস্থাপন বা সংস্কার না করা, অবৈধ সংযোগ বন্ধ করতে না পারা, গ্যাসের চাপ ও লিকেজ শনাক্তে স্বয়ংক্রিয় কোন ব্যবস্থা না থাকাকে দায়ী করছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বাণিজ্যিকভাবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পেল ভারত

বাণিজ্যিকভাবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে ভারত। ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সই হওয়া একটি চুক্তির আওতায় এতদিন পরীক্ষামূলকভাবে বন্দর দুটি ব্যবহার করেছে দেশটি। ২৪ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জারি হওয়া স্থায়ী আদেশের মাধ্যমে সব ধরনের বাণিজ্যিক কাজে এ বন্দর ব্যবহার করতে পারবেন ভারতীয় আমদানি-রফতানিকারকরা। ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ বেশি লাগে। এ প্রেক্ষাপটেই ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে ‘এগ্রিমেন্ট অন দি ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু অ্যান্ড ফ্রম ইন্ডিয়া’ চুক্তি হয়। এর আওতায় ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্যের পরিচালন পদ্ধতির মান (এসওপি) সই হয় ২০১৯ সালে। এরপর ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট বিধিমালা জারি হয় ২০২১ সালে। যার আলোকেই সবশেষ ২৪ এপ্রিল জারি হয়েছে স্থায়ী আদেশ।স্থায়ী আদেশে মোট নয়টি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে পণ্যের ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট-সংক্রান্ত সংজ্ঞা থেকে শুরু করে গোটা প্রক্রিয়া অনুসরণে করণীয় ও বাধ্যবাধকতার বিষয় উল্লেখ রয়েছে। ট্রানজিট অপারেটর হিসেবে তালিকাভুক্তি-সংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউজের তালিকাভুক্তির মাধ্যমেই কেবল চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য চালান করা যাবে। সূত্র: বণিক বার্তা্