হিটস্ট্রোকে মারা গেলো চাষির ৪৩৫৬ মণ মাছ

পাবনা সংবাদদাতাপাবনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

পাবনার ফরিদপুরে ১৭ জন চাষির ৪৮৪টি খাঁচার সব মাছ হিটস্ট্রোকে মারা গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ফরিদপুর উপজেলায় বড়াল নদীতে স্থাপন করা এসব খাঁচার সব মাছ মারা গেছে।

এতে চাষিদের প্রায় দুই কোটি ৬১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা। মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, অতিরিক্ত গরমে খাঁচাগুলোতে প্রচুর গ্যাস জমে অক্সিজেন কমে যায়। এতে হিটস্ট্রোকে মাছ মারা গেছে।

জানা গেছে, ফরিদপুর উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়নের আগপুঙ্গলী এবং দত্তপুঙ্গলী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদ মাষ্টার, সুকুমার হলদার, বিউল ইসলাম, রকিবুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, দত্তপুঙ্গলী গ্রামের কবির হোসেন, কামরুল হোসেনসহ ১৭ জন মাছচাষি বড়াল নদীতে মাছ চাষ করেন। গত প্রায় ৭-৮ বছর ধরে তারা খাঁচায় মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ চাষ করে আসছেন।

গত ২১ এপ্রিল থেকে হঠাৎ করে খাঁচার মাছ মারা যেতে থাকে। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত তাদের সব খাঁচার সব মাছ মরে গেছে। ৪৮৪টি খাঁচার মাছ মারা যাওয়ায় বড়াল নদীর এক বিশাল এলাকা জুড়ে পানিও ফেনাযুক্ত দুর্গন্ধ হয়ে গেছে।

খাঁচায় মাছচাষ সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস গণমাধ্যমকে বলেন, প্রায় ৭-৮ বছর ধরে এভাবে মাছচাষ করে আসছি। কিন্তু এত বড় সর্বনাশ হয়নি। আমরা ১৭ জন মাছচাষি সবাই ফরিদপুর বাজার থেকে বাকিতে ওষুধসহ খাবার নিয়ে থাকি। এতে জনপ্রতি ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা দেনা রয়েছে। এখন এই দেনা পরিশোধ করা কঠিন হবে।

সমিতির সম্পাদক কবির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি খাঁচা থেকে ৮ থেকে ১০ মণ মাছ পাওয়া যায়। এই হিসাবে ৪৮৪টি খাঁচার প্রতিটি থেকে গড়ে ৯ মণ করে ধরলে ৪৩৫৬ মণ মাছ পাওয়া যেত। প্রতি মণ মাছের স্থানীয় বাজার মূল্য ৬ হাজার টাকা করে মোট মূল্য হবে প্রায় ২ কোটি ৬১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

Nagad

পাবনার ফরিদপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন গণমাধ্যমকে জানান, এই পদ্ধতিতে মাছচাষ করতে পানি প্রবাহমান থাকতে হয়। বেশ কিছুদিন পানি বদ্ধ থাকায় এবং অতিরিক্ত গরমে খাঁচাগুলোতে প্রচুর গ্যাস হয়ে অক্সিজেন কমে গিয়েছিল। ফলে হিটস্ট্রোকে মাছগুলো মারা গেছে। এতে মাছ চাষিদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

সারাদিন/২৭ এপ্রিল/এমবি