গ্যাস চোরাকারবারি মকবুল এখন অস্ত্র চোরাকারবারি

সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস চোরাকারবারি হিসেবে পরিচিত মকবুল হোসেন ওরফে মেম্বার মকবুল এখন অস্ত্র ব্যবসায়ী। সম্প্রতি অস্ত্রসহ তার দুই সহযোগী গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

মকবুল হোসেন ওরফে মেম্বার মকবুল (৫৫) আশুলিয়ার ধনাইদ ইউসুব মার্কেট এলাকায় ইউসুব আলীর ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মকবুল হোসেন এলাকার একজন চিহ্নিত অবৈধ গ্যাস চোরাকাবারি। তিনি নিজের বসতবাড়িতে যেমন অবৈধভাবে গ্যাং সংযোগ নিয়েছে। তেমনি ইউসুব মার্কেটের বিভিন্ন বাড়িতে সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এতে করে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে বৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত গ্যাস পাচ্ছে না। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও করেন তিতাস গ্যাস ডিস্টিবিউশন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগও রয়েছে। তিনি মূলত তার এলাকায় একটি অপরাধের সমরাজ্য তৈরি করেছেন।

গত ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার আশুলিয়ার ধনাইদ দক্ষিণপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ সজিব হোসেন (৩০) ও ফজলে আহমেদ গাজী (২৯) নামের দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মকবুল হোসেন ওরফে মেম্বার মকবুল উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি বিক্রয়ের জন্য তাদেরকে দিয়েছেন। পরে মকবুল হোসেন সহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় মকবুল এখন জামিনে আছে বলে জানা যায়।

অস্ত্রসহ দুই সহযোগী গ্রেপ্তারের ব্যাপারে জানতে চাইলে মকবুল হোসেন ওরফে মেম্বার মকবুল বলেন, তারা আমার ভাড়াটিয়া, নাম বলতেই পারে। নাম বললে কি করা যাবে। আমার নামে মামলা হয়েছে, আমি জামিনে নিয়েছি।

গ্যাসের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্যাসের দুই মামলা খালাস। এখন আর কোনো গ্যাসের মামলা নেই।

Nagad

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ বিপুল হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র সহ দুইজনকে আটক করা হয়েছিল। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি বিক্রয়ের জন্য তাদেরকে দিয়েছে মকবুল হোসেন। পরে তিনজনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা অপারেশন স্যার।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জামাল সিকদার বলেন, আটককৃত দুইজনকে এক দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছিল৷ এই মামলার অন্য আসামী মহামান্য হাইকোর্ট থেকে পাঁচ সপ্তাহের জামিনে আছে।