‘বাংলাদেশ রাষ্ট্র দিবস’ হিসেবে পালন করা গেলে দিনটির তাৎপর্য বৃদ্ধি পাবে’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্র দিবস’ হিসেবে পালন করা গেলে দিনটির তাৎপর্য এবং স্থানটির মাহাত্ম্য বৃদ্ধি পাবে।

বক্তরা বলেন, বিগত কয়েক শতকের মধ্যে আমাদের চির গৌরবের অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম। মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা, যার বর্তমান নাম মুজিবনগর। স্বাধীনতার স্থপতি এবং জাতির জনকের প্রতি পরম শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় ও চিরকৃতজ্ঞতায় ভরা এই জাতি বৈদ্যনাথতলার নাম রেখেছে মুজিবনগর। এই মুজিবনগরে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ শপথ গ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার তথা প্রথম প্রবাসী সরকার।

বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্ত যায় এক আম্রকাননে; পলাশীতে-জানিয়ে বক্তরা বলেন, টানা ২১৪ বছরের স্বাধীনতার পর আরেক আম্রকাননে সূর্য উঠে স্বাধীনতার; মেহেরপুরের সেই বৈদ্যনাথতলায়। বাস্তবে সেই স্থানটির মহিমা ও ভূমিকা অশেষ। বর্তমানে দিনটিকে মুজিবনগর দিবস হিসেবে পালন করা হয়। নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় এই উদ্যোগ। দিনটিকে ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্র দিবস’ হিসেবে পালন করা গেলে দিনটির তাৎপর্য এবং স্থানটির মাহাত্ম্য বৃদ্ধি পাবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সম্প্রতি নগরীর চেরাগি পাহাড়স্থ চট্টলবন্ধু এস.এম জামাল উদ্দিন মিলনায়তনে সংগঠনের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির জেলা আহ্বায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।

অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য দীপংকর চৌধুরী কাজল, হাবিব উল্লাহ চৌধুরী ভাস্কর, সাংবাদিক আহমেদ কুতুব, অ্যাডভোকেট মোঃ সাহাব উদ্দিন, কানিজ ফাতেমা, সংগঠনের আকবার থানা শাখার আহ্বায়ক মো. সাহাব উদ্দিন আওরঙ্গজেব, বাঁশখালী শাখার সভাপতি লায়ন শেখর দত্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন, মো. জামশেদুল ইসলাম প্রমুখ।

সারাদিন. ৯ মে