উপকূল অতিক্রম করলেও মোংলায় পড়েনি মোখা’র প্রভাব

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করলেও মোংলায় এর কোন প্রভাব পড়েনি।

গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনিভূত হয়ে আরও শক্তি সঞ্চার করে ঘূর্ণিঝড় মোখা’য় রুপ নিয়েছে। এরই মধ্যে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর হুশিয়ারি সতর্ক সংকেত থেকে ৪নং সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। তবে এতে আতংকের ছিটেফোঁটাও নেই সুন্দরবন উপকূলীয় মোংলার জনপদে।

রবিবার (১৪ মে) সকাল থেকে এ উপজেলায় মাঝে মাঝে হালকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। বিকেল সাড়ে ৪ পর্যন্ত মোখার কোন প্রভাব লক্ষ করা যায়নি। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহন করে রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র। এরমধ্যে ছয়টি ইউনিয়নে ৮৪ টি এবং পৌরসভায় ১৯টি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপংকর দাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা’ মোকাবিলায় তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এখানে সিপিপির ৬৬টি ইউনিটের প্রায় ১ হাজার ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দূর্গত জন্য পর্যাপ্ত খাবারও মজুদ করে রাখা হয়েছে। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিদের নিয়ে জরুরি সভা করে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।

সুন্দরবন করমজলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখায় আমরাই বেশী আতংকে ছিলাম। কেননা এখানে বিভিন্ন রকমের পশু পাখি রয়েছে। তবে এখানে পানি সাভাবিক রয়েছে। মাঝে মধ্যে হালকা বাতাস হচ্ছে।

মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এখনো পর্যন্ত মোংলা বন্দরে মোখা’র কোন প্রভাব পড়েনি। আকাশ মেঘলা থাকার পাশাপাশি হালকা হালকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে।

Nagad

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, বন্দরে অবস্থানরত জাহাজে পণ্য খালাস ও বোঝাই চলছে। তবে ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে এসব জাহাজের কাজ বন্ধ করে রাখা হবে।

সারাদিন. ১৪মে