ড. তাহের হত্যা: ২ আসামির ফাঁসি স্থগিতের রিট খারিজ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৩

সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ওই দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার (১৪ মে) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং অধ্যাপক ড. এস তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো: জাহাঙ্গীর আলম।

মরহুম অধ্যাপক ড. এস তাহেরের কন্যা ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাস্সুম আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেছেন অ্যাডভোকেট মো: তাজুল ইসলাম। অন্যদিকে, অধ্যাপক ড. তাহেরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম. সাঈদ আহমেদ রাজা। তার সাথে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, অ্যাডভোকেট সাকিলা রওশন ও অ্যাডভোকেট সেগুফতা তাবাস্সুম আহমেদ।

এর আগে গত ০৭ মে দুই আসামির ফাঁসির দণ্ড কার্যকর স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাবির সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের স্ত্রী ইশরাত রহমান এবং আরেক আসামি ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো: জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই মিজানুর রহমান এই রিট আবেদন করেন।

Nagad

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ০১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক ড. এস তাহেরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর ০৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

এরপর এই মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চার জনকে ফাঁসির আদেশ এবং দুই জনকে খালাস দেন।

দণ্ডিতরা হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসারের কেয়ারটেকার মো: জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সম্বন্ধী আব্দুস সালাম।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।

তারপর ২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম।

ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি হলেন- নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম।

সারাদিন/১৪ মে/এমবি