আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪০ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২৩

কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যোগাযোগ ও ব্যবসায় ক্ষতি
গ্রীষ্মে কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন জায়গায় পানি কমছে। এতে নদীকেন্দ্রিক যোগাযোগ, ব্যবসা–বাণিজ্য, মৎস্য উৎপাদন ও পর্যটনে ক্ষতির পাশাপাশি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদন কমেছে। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় দূষণের সঙ্গে বেড়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানি পরিশোধন খরচও। বর্ষার ভরা বৃষ্টিতে হ্রদের পানি সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছায়। আর গ্রীষ্মে পানি কমতে থাকে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের হিসাবে, গতকাল মঙ্গলবার কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ৭৩ দশমিক ৮২ ফুট এমএসএল (মিন সি লেভেল)। অথচ রুলকার্ভ অনুযায়ী (সময়সূচিভিত্তিক পানি ওঠানামার মাপ) থাকার কথা ছিল ৭৯ দশমিক ১৫ ফুট। ১৯৭০ সালে জাইকার সমীক্ষায় কাপ্তাই হ্রদের পানির সর্বোচ্চ স্তর পাওয়া যায় ১১৮ ফুট এমএসএল।
হ্রদ ভরাট হয়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে মৎস্য উৎপাদনে। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ সালে রাঙামাটির মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে হ্রদ থেকে মোট মাছ পাওয়া যায় ৮ হাজার ৫৬৩ মেট্রিক টন। ২০২১-২২ সালে পাওয়া যায় ৬ হাজার ৫২৩ টন।সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পানি কমার এমন চিত্র আশঙ্কাজনক। গত এক দশকের মধ্যে হ্রদটির পানি এবারই সবচেয়ে বেশি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে তাঁদের অভিমত।জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, নাব্যতা কমে যাওয়ার প্রভাব সবখানে পড়েছে। এতে যাতায়াত সমস্যা যেমন হচ্ছে, তেমনি ভোগ্যপণ্য পরিবহন খরচ বেড়েছে। সেখানে উৎপাদিত ফলমূল জেলা সদরে আনার ব্যয়ও বেড়ে গেছে। হ্রদ থেকে পানি যাচ্ছে না বলেই সমুদ্রের লবণপানি মোহরা পানি শোধনাগার পর্যন্ত চলে আসছে। সূত্র: প্রথম আলো

বৈষম্য বাড়ার প্রভাব
স্বল্প-মধ্যম আয়ের মানুষ প্রবৃদ্ধির সুফলবঞ্চিত
উন্নয়ন হলে বৈষম্য বাড়বেই এটি ভ্রান্ত ধারণা -ড. মোস্তফা কে. মুজেরী * সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ব্যাপক সংস্কার দরকার -ড. জাহিদ হোসেন

শেওড়াপাড়ায় শামিম সরণি মোড়ে রিকশা নিয়ে বসে ছিলেন চালক মো. সুজন মিয়া। জানতে চাইলাম ইনকাম কেমন হচ্ছে? প্রথমে প্রশ্ন শুনে হকচকিয়ে উঠলেন।পরে বললেন, ভাই কী আর কমু, যা আয় করি তার চেয়ে খরচ বেশি হয়ে যাচ্ছে। আগে আয় কম হলেও কিছু টাকা জমাতে পারতাম। এখন আয় বেশি হয়। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে, এতে আর কুলানো যায় না। বৈষম্য কাকে বলে, সেটি না বুঝলেও তিনি নিজের অবস্থার বর্ণনা দিলেন এভাবেই। একই মন্তব্য কুড়িগ্রামের কৃষক (গৃহস্ত) মো. নিজাম উদ্দিনের।তিনি বলেন, আগে ধানচাষে যে খরচ হতো, এতে ৫০০ টাকা মন বিক্রি করেও পোষাত। এখন এক হাজার থেকে ১২শ টাকা মন বিক্রি করেও লাভ আসে না। একই অবস্থা বিরাজ করছে দেশের স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের মধ্যে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নয়নের একটি পর্যায়ে বৈষম্য বাড়াটাই স্বাভাবিক-এ মত পুরোনো এবং এটা ভ্রান্ত ধারণা। কেননা আয়বৈষম্য আমাদের নিয়তি নয়, এটা সমাধান সম্ভব। এজন্য সরকারিভাবে আলাদা নীতিমালা নেওয়াটা জরুরি। তা না হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের সুফলবঞ্চিত হবেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমন মন্তব্য পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, বুধবার খানা আয় ও ব্যয় জরিপের ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশে দারিদ্র্য হারে উন্নতি হলেও বেড়েছে বৈষম্য। অর্থাৎ কারও আয় অনেক কম, আবার কারও আয় অনেক বেশি। সূত্র: যুগান্তর

ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ
শুধু ব্যবসায়ীদের বক্তব্যকেই আমলে নিচ্ছে কি ট্যারিফ কমিশন?

বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিনিময় হার ওঠানামা করছে ১০৭ টাকার আশপাশে। যদিও ভোজ্যতেলের সর্বশেষ মূল্য নির্ধারণের সময় ব্যবসায়ীরা আমদানিতে ডলারের বিনিময় হার ধরেছেন ১১১ টাকা। ২০ শতাংশ শুল্কসহ প্রতি টন সয়াবিন তেলের আমদানি দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৫০ টাকা। এর সঙ্গে উৎপাদন পর্যায়ের ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করলে মূল্য দাঁড়ায় ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬২ টাকা। উৎপাদন খরচ, মোড়কজাত, অপচয় (প্রসেস লস), মুনাফা ও ডিলার কমিশন মিলিয়ে আরো ১৫ শতাংশ যুক্ত করে সবচেয়ে রক্ষণশীল হিসাব করেও দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৩ টাকা ৫০ পয়সার বেশি হওয়ার কথা নয়। যদিও ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদন নিয়ে বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৯ টাকায়।
ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক রেয়াতের মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ এপ্রিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। ব্যবসায়ীদের এ দাবিকে আমলে নিয়ে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্যারিফ কমিশন। এরপর গত ৫ মে সর্বশেষ দফায় বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১২ টাকা বাড়িয়ে লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা, পাম অয়েলের দাম লিটারপ্রতি ১৮ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ৯ টাকা বাড়িয়ে ১৭৬ টাকা নির্ধারণের ঘোষণা দেন ভোজ্যতেলের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা। সূত্র: বণিক বার্তা।

জ্বালানি খাত নিয়ে বড় দুশ্চিন্তা
নতুন কোনো এলসি খুলতে রাজি হচ্ছে না সরকারি ব্যাংকও!

Nagad

ডলার সংকটে বড় ধরনের বিপদের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। তেল সরবরাহকারী বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় চুক্তি অনুযায়ী শিডিউলে থাকা তেল সরবরাহ করতে রাজি হচ্ছে না তারা। এরই মধ্যে তেল সরবরাহের একটি চালান বাতিল করেছে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। চলতি মাসে ৩০ হাজার টন ডিজেল সরবরাহের কথা ছিল তাদের। কিন্তু বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বিপিসিকে চিঠি দিয়ে তেল সরবরাহের কার্গো বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে তারা। আগামী জুনে তিনটি কার্গো চালানে ৯০ হাজার টন ডিজেল ও আরেকটি কার্গো চালানে ২৫ হাজার টন ফার্নেস অয়েল সরবরাহের কথা রয়েছে। বকেয়া না পেলে সেই চারটি চালানও সরবরাহ দেবে না বলে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে ভিটল। বিপিসির কাছে তাদের বকেয়া পাওনা ১০০ দশমিক শূন্য ৪ মিলিয়ন ডলার। প্রতি ডলার ১০৬ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১০৬০ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শুধু ভিটলই নয়, বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় জ্বালানি তেল সরবরাহ করবে না বলে চিঠি দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বুমি সিয়াক জাপিন (বিএসপি) ও ভারতে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনসহ (আইসিএল) অন্যান্য তেল সরবরাহকারী কোম্পানি। পরিশোধিত তেল সরবরাহ করে থাকে এসব কোম্পানি। এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় তেল সরবরাহকারী কোম্পানি পেট্রোচায়না সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিপিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা। সূত্র: সমকাল

পরিবার পরিকল্পনার সেবা পাচ্ছে না কেউই

গাইবান্ধার গ্রামাঞ্চলের নারীরা সরকারিভাবে ‍বিদ্যমান বিনা মূল্যের পরিবার পরিকল্পনা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ছাড়া সব ধরনের পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত থাকছেন কিশোরীসহ গর্ভবতীরাও। প্রতি মাসে স্যাটেলাইট প্রোগ্রাম, দলগত উঠান বৈঠক, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাউন্সেলিং বা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার কথা থাকলেও এসবের কোনোটিই করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ রয়েছে জেলার সাত উপজেলায় এলাকাভেদে তিন থেকে আট বছর ধরে বিনা মূল্যের এসব সরকারি সেবা ও কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। এর ফলে সরকারি এসব সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নিম্ন আয়ের এক বিশাল জনগোষ্ঠী। আর জনবলের সংকটকেই এসব সেবা দিতে না পারার কারণ হিসেবে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্য ও পছন্দ অনুযায়ী, নারীদের জন্য সরকারিভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি হিসেবে প্রচলিত রয়েছে খাবার বড়ি, ইনজেকশন, ইমপ্ল্যান্ট (হরমোন সমৃদ্ধ অস্থায়ী দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি), আইইউডি (জরায়ুতে স্থাপন উপযোগী অস্থায়ী দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণ) ও লাইগেশন (বন্ধ্যাকরণ) এবং পুরুষের জন্য রয়েছে এনএসভি (পুরুষ বন্ধ্যাকরণ পদ্ধতি) ও কনডম। তবে গাইবান্ধার স্থানীয় নারী ও একাধিক নবদম্পতির অভিযোগ, এসবের কোনোটিই তারা পাচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, দুয়েকটি পদ্ধতি ছাড়া বাকিগুলো সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই নেই। সূত্র: দৈনিক বাংলা ।

টাঙ্গাইলে রেল লাইনে কিশোর-কিশোরীর লাশ, পুলিশ বলছে `আত্মহত্যা’

টাঙ্গাইলের বাসাইলে রেল লাইন থেকে দুই কিশোর-কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, পরিবার ‘প্রেমের সম্পর্ক’ মেনে না নেওয়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন এই যুগল।বুধবার ভোরে উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের রেল লাইনের জোড়বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশের এএসআই ফজলুল হক জানান।নিহতরা হলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গড়াশিন মধ্যপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে হাবিল মিয়া (১৭) ও একই উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের ময়শানন্দনাল গ্রামের মনজুরুল ইসলামের মেয়ে রিতা আক্তার (১৫)।তারা দুজনেই ভাতকুড়া এলাকায় আলাউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডে শ্রমিকের কাজ করতেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এএসআই ফজলুল জানান, একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে হাবিল ও রিতার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। কিন্তু সম্পর্কটি মেনে নেয়নি তাদের পরিবার। সূত্র: বিডি নিউজ

নতুন বাঁকে ভোটের রাজনীতি

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাস সাতেক। কিন্তু বিএনপির অনড় অবস্থান, বিদেশিদের দেনদরবার এবং ক্ষমতাসীনদের সংবিধান মেনে নির্বাচন করার পক্ষে অবস্থান মিলিয়ে এক ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে নতুন ইঙ্গিত মিলেছে। এর আগে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যেও এ ধরনের ইঙ্গিত ছিল। পাশাপাশি বিএনপিকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার বিষয়টিও ছিল। এমন অবস্থায় ভোটের রাজনীতি এক নতুন বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় দিলে তারা নির্বাচনে আসবে কি না, সেটা তাদের জানাতে হবে। যদিও ওবায়দুল কাদেরের ছুড়ে দেওয়া ওই বক্তব্য সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির মহাসচিবসহ একাধিক নেতা বলেছেন, তারা কোনোভাবেই এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না। এই বিতর্কের দুদিন পরই গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন। তবে সেটি সংবিধান অনুযায়ী হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার হলে সংবিধান অনুযায়ী সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলের সদস্যদের নিয়েই। সেখানে বিএনপির কোনো সুযোগ নেই। সূত্র: দেশ রুপান্তর

শেখ হাসিনা কেন আমেরিকার সমালোচনায় সরব হলেন?

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বেশ কিছুদিন যাবত আমেরিকার সমালোনায় সরব হয়েছেন। শেখ হাসিনা যেভাবে দৃঢ় কন্ঠে ক্রমাগত আমেরিকার সমালোচনা করছেন, তাতে অনেকে বেশ অবাক হচ্ছেন। প্রকাশ্যে এই সমালোচনার সূত্রপাত হয়েছিল এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেবার সময়। সর্বশেষ লন্ডনে বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারেও তিনি আমেরিকার সমালোচনা করতে পিছ-পা হননি। আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধারাবাহিক সমালোচনা দেশে-বিদেশে অনেকের মাঝে ব্যাপক কৌতুহল তৈরি করেছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য এবং সরাসরি সমালোচনার বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল যে দুই দেশের মধ্যে হয়তো কিছু ‘অস্বস্তি’ তৈরি হয়েছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বর্তমান সরকারের এই টানাপোড়েন শুরু হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে, যখন বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‍্যাব ও তার কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমেরিকা।শেখ হাসিনা আমেরিকার সমালোচনায় মুখর হবার আগেও ক্ষমতাসীন দলের কিছু সিনিয়র নেতাদের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে।ঢাকার নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নানা তৎপরতা নিয়ে ক্ষমতাসীনদের মাঝে অসন্তুষ্টি তৈরি হয়েছিল আগেই। মি. হাস যখন নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল হক সুমনের ঢাকার শাহীনবাগের বাসায় যান তখন ক্ষোভ চেপে রাখেননি আওয়ামী লীগ নেতারা। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী
হয়তো যুক্তরাষ্ট্র চায় না কাজ অব্যাহত থাকুক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তাঁকে ক্ষমতায় চায় না বলেই বাংলাদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফরের সময় বিবিসির সাংবাদিক ইয়ালদা হাকিমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি গতকাল (১৬ মে) বিবিসির অনলাইনে প্রচার করা হয়। বিবিসির পক্ষ থেকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাবকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি না, হয়তো তারা আমার কাজ অব্যাহত থাকুক তা চায় না। আমি বাংলাদেশের জন্য যেসব উন্নতি করেছি, তা তারা হয়তো গ্রহণ করতে পারছে না। এটা আমার অনুভূতি। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে ১৪ বছর ধরে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায় দেশে অসাধারণ উন্নয়ন হয়েছে। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ, বিচারবহির্ভূত হত্যা, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, গণতন্ত্র এবং রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে বাংলাদেশে অটোক্রেসি বা একনায়কতন্ত্রের ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ নাকচ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৪ বছর ধরেই শুধু দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে। তাই আমরা উন্নতি করতে পারছি।প্রসঙ্গ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা : র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিবিসির প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যে বাহিনীর ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা তাদের পরামর্শেই ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাদের সব প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছিল। যেভাবে তারা বাহিনীটিকে তৈরি করেছে, তারা তো সেভাবেই কাজ করছে বলে আমার বিশ্বাস। তাহলে কেন তারা এ নিষেধাজ্ঞা দিল? এটা আমার কাছেও বিরাট এক প্রশ্ন। তাহলে কেন তারা এটা করেছে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা কমানোর, মোবাইল হ্যান্ডসেটে ভ্যাট বসানোর পরিকল্পনা

২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ের প্রস্তুতি হিসেবে সরকার রপ্তানিকারকদের নগদ সহায়তা বা প্রণোদনা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবার পর ডব্লিউটিও-র নিয়মানুসারে প্রণোদনা দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। আগামী অর্থবছরে বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তার হার ০.৫ শতাংশীয় পয়েন্ট থেকে ২ শতাংশীয় পয়েন্ট পর্যন্ত কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।বিষয়টি সম্পর্কে জানেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন একজন সিনিয়র সচিব বলেন, ‘ডব্লিউটিওর নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ধীরে ধীরে নগদ সহায়তা প্রত্যাহার করা হবে।’
তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে সহায়তা অব্যাহত রেখে মসৃণ উত্তরণ নিশ্চিত করার জন্য এই কৌশলগত পন্থা নেওয়া হয়েছে। গত তিন দশক ধরে নগদ সহায়তা পেয়ে উপকৃত হচ্ছে বিভিন্ন খাত।সার্বিক নগদ সহায়তা কমানোর পরিকল্পনা হলেও, ম্যানমেইড ফাইবারসহ নতুন কয়েকটি খাত আগামী অর্থবছর থেকে প্রণোদনার আওতায় আসতে পারে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুবিধার্থে।স্থানীয় শিল্পের মধ্যে যেসব শিল্পের সক্ষমতা বেড়েছে, তাদেরকে দেওয়া কর সুবিধা কমানোর অংশ হিসেবে মোবাইল হ্যান্ডসেটে উৎপাদন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। একইসঙ্গে মোবাইল ফোন সংযোজনে (অ্যাসেম্বলিং) ভ্যাটের হার বিদ্যমান ৩-৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫-১০ শতাংশকরা হতে পারে আসন্ন বাজেটে। এর অর্থ, মোবাইলফোন কেনার খরচ বাড়তে পারে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যন্ডার্ড।