পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত ৫০

পটুয়াখালী সংবাদদাতাপটুয়াখালী সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৬:১৬ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত জনসমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে।

শনিবার (২০ মে) সকাল ১০টার দিকে শহরের কলেজ রোড সড়কে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টার পরে শহরের বনানী এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পূর্বনির্ধারিত জনসভা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। জনসভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। শুক্রবার রাতে তিনিসহ কেন্দ্রীয় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা পটুয়াখালী যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে শহরে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার নেতাকর্মীরা। এদিকে, সকালে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা কর্মীরা। এ সময় হঠাৎ দুইপক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় মুসলিমপাড়া মোড় থেকে বনানী পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মশিউর রহমান বাবলু ও সময় টিভির ক্যামেরা পারসন সুজন দামসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু গণমাধ্যমকে বলেন, “সকাল ১০টার কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় পথে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাথে পুলিশও বাধা দেয়। তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশস্থল ও এর আশপাশে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। নেতাকর্মীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে।” তিনি আরও বলেন, “সরকার জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। তারা এদেশে কোনো দল থাকতে দেবে না। অবৈধ ও অনিবার্চিত সরকারকে কোনোভাবেই ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ।”

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আজ জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ছিল। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সেখানে যোগ দেওয়ার পথে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমাদের সাত থেকে আট জন আহত হয়েছে।

Nagad

পটুয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহম্মদ সাজেদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল থেকেই আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন ছিল। বিএনপি জনসমাবেশ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। বিএনপি সমাবেশ শুরুও করেছিল। কিন্তু বিএনপির কিছু উশৃঙ্খল নেতাকর্মী উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তিনটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহম্মদ সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এখানে কিছু বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি হয়েছে। দুই-একটি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আমাদের জানামতে সেরকম কোনো ইনজুরির (আহত) খবর নেই।

সারাদিন/২০ মে/এমবি