এবার বিভাগীয় পর্যায়ে হচ্ছে ‘বিপিও সামিট’ শুরু হচ্ছে ২৩ মে

বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩-এর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কনন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন। ছবি: শাহজালাল রোহান

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)র উদ্যোগে ও বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সার্বিক সহযোগিতায় এবার বিভাগীয় পর্যায়ে শুরু হচ্ছে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩’। যেটি শুরু হবে-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আগামী ২৩ মে থেকে শুরু হবে এই সামিট। ২৪ মে নাটোরে এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

রোববার (২১মে) ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কনন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ২০ জুলাই পর্যন্ত সাতটি বিভাগে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিপিও সামিট শেষ হবে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে ঢাকা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাক্যের উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয়ে ধারাবাহিকভাবে ২০১৬-২০১৮ ও ২০১৯ সালের দ্বিতীয় শিল্পের শীর্ষ ও সর্ববৃহৎ আয়োজন দ্বিতীয় সাবমিট বাংলাদেশ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে বরাবরই প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেছেন প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।

সফলতার সাথে আয়োজিত এ সামিট সমূহ দেশ এবং দেশের বাহিরে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, উদীয়মান বিপিও বা আউটসোর্সিং খাত এর অবস্থান বুঝতে এই সমিতি অংশ নিয়েছিলেন অসংখ্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শীর্ষস্থানীয় আইসিটি বিশেষজ্ঞ, গবেষক, সহকারী নীতি নির্ধারক, শিক্ষার্থী এবং বিপিও খাতের অভ্যন্তরীণ নেতৃবৃন্দ। এই শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের বিপিও শিল্পের চ্যালেঞ্জগুলি সনাক্ত করার জাতীয় স্তরে নীতিমালা আরও উন্নত করা এবং এই শিল্পের জন্য একটি দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির সুযোগ হয়েছিল ত্বরান্বিত।

শুধু রাজধানীতে নয় এবার প্রথমবারের মতো বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩- আয়োজিত হচ্ছে বিভাগীয় পর্যায়েও জানিয়ে তিনি বলেন, সাতটি বিভাগে পর্যায়ক্রমে আলাদা আলাদাভাবে উদযাপনের পর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চূড়ান্তভাবে আয়োজিত হবে ‘কেন্দ্রীয় বিপিও সামিট’। এ আয়োজনের মাধ্যমে আইসিটি শিল্প বিকাশে আইসিটি পণ্য ও সেবা প্রদর্শনী, বিপিওখাতের অর্জন সাফল্য/সাফল্য ও সম্ভাবনা উপস্থাপন, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন, ই- গভর্নেন্স, ই-কমার্স অবকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে দেশের অর্জিত সাফল্য বিশ্ববাসী সহ বাংলাদেশের জনগণের নিকট তুলে ধরা হবে। এছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অংশ হিসেবে থাকছে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস এক্টিভিশন, তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকরির মেলা, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশন, স্থানীয় অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত পলিসি ডিসকাশন ইত্যাদি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের অন্তর্ভুক্ত শিল্প গুলোর মধ্যে অন্যতম বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) যা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে সেবা রপ্তানির মাধ্যমে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আহরণকারী এক নিয়ত বন্ধশীল শিল্পক্ষেত্র। বিপিও শিল্পে বর্তমানে কর্মরত জনসম্পদের সংখ্যা ৭০ হাজার। যাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই নারী।

Nagad

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) নির্বাহী কর্মকর্তা মীর ফয়সাল খান, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির মহাসচিব মো. কামরুজ্জামান ভূইয়া, বিপিও জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. আবুল খায়ের, সহ-সভাপতি তানভীর ইব্রাহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তানজিরুল বাসার, অর্থ সম্পাদক পরিচালক আমিনুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিপিও খাতের ৩৫ শতাংশ কাজই হয় বিদেশী বাজারের জন্য। আর ৬৫ শতাংশ হয় দেশীয় বাজারের জন্য। এই বাজারের যোগ্য কর্মী গড়ে তুলতে বিপিও খাতে ৭ লাখ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে আইসিটি পরিবারের সংগঠনগুলোর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হয়। যেখানে রয়েছে, বিসিএস, বেসিস, আইএসপিএবি, উই, বিআইজেএফ, টিএমজিবি, ই-ক্যাব, বিএফডিসি, বিডাব্লিউআইটি।

সারাদিন. ২১মে. আরএ