প্রেমঘটিত বিষণ্ণতায় কনস্টেবল রনি আত্মহত্যার করতে পারে: গুলশানের ডিসি

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:০৯ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০২৩

কনস্টেবল আশরাফ উজ জামান রনি, ছবি- সংগৃহীত

গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো: শহিদুল্লাহ বলেছেন, প্রেমঘটিত কারণে বিষণ্ণতা থেকে কনস্টেবল আশরাফ উজ জামান রনি (২২) আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, নিজের পিস্তল দিয়ে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করা কনস্টেবল আশরাফ উজ জামান রনি প্রেমঘটিত কারণে বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। এটি তার আত্মহত্যার কারণ হতে পারে।

পুলিশ বলছে, ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত যেসব কনস্টেবল চেকপোস্টে ডিউটি করেন তারা পিস্তল ব্যবহার করতে পারেন। অনেক আগে থেকেই সব চেকপোস্টে ডিউটিতে থাকা কনস্টেবলরা পিস্তল ব্যবহার করে থাকেন।

পুলিশের কোনো কনস্টেবল পিস্তল ব্যবহার করতে পারে কি না- এমন প্রশ্নে ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, “ডিএমপি সদরদপ্তর থেকে সিদ্ধান্ত হয় চেকপোস্টে যে কনস্টেবলরা ডিউটি করবেন তারা নিজেদের সুবিধার্থে পিস্তল ব্যবহার করবেন। অনেক আগে থেকেই সব চেকপোস্টে পিস্তল ব্যবহার করেন কনস্টেবলরা।”

রনির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “কনস্টেবল রনির সাথে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা মোবাইলে বেশিরভাগ সময় কথা বলতেন। গত বুধবার রাতের বেশিরভাগ সময় তারা মোবাইলে কথা বলেন। সকালে ডিউটিতে আসার আগেও কথা হয় তাদের দুজনের মধ্যে।”

ডিসি শহিদুল্লাহ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহতের মোবাইল ফোন চেক করে দেখা গেছে, প্রেমঘটিত কোনো বিষয় নিয়ে কনস্টেবল রনির তার প্রেমিকার সাথে কোনো ঝামেলা চলছিল। এ কারণেই তিনি নিজের পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে এ বিষয়ে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।

Nagad

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বনানী ১১ নম্বরে চেকপোস্টে ডিউটি ছিল রনির। সকালে স্বাভাবিকভাবে তিনি ডিউটিতে আসেন। সাথে আরও পুলিশ সদস্য ছিল। সকাল ৬টা ৪৯ মিনিটের দিকে চেকপোস্টের পাশেই বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে নিজের পিস্তল দিয়ে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করেন কনস্টেবল রনি। ওসি আরও জানান, পরে সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।

সারাদিন/২৫ মে/এমবি