আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩, ২০২৩

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী
আইএমএফ’র পরামর্শ নেই

মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কিত, বাজেট গরিববান্ধব * দেশে কোনো অপ্রদর্শিত আয় নেই * জ্বালানি তেলের প্রাপ্যতা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, চুক্তি হয়েছে-স্থানীয় সরকারমন্ত্রী * গরিব মানুষের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়-এনবিআর চেয়ারম্যান
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আমি শঙ্কিত। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। যেসব কারণে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। শুক্রবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, দেশে কোনো অপ্রদর্শিত আয় নেই। কারণ সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও গত এক বছরে একজনও কালোটাকা সাদা করেননি। এজন্য আগামীতে এ সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্পষ্টভাবে বলতে চাই-আইএমএফ’র পরামর্শে আমি বাজেট করিনি। এ বাজেট গরিববান্ধব বাজেট।
জ্বালানি তেল প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্তি নিয়ে চিন্তা নেই। প্রধানমন্ত্রী কাতার সফরে গিয়ে জ্বালানি তেল নিয়ে চুক্তি করেছেন। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের কারণে জিনিসপত্র পাওয়াটা বড় বিষয় ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশ সফরের পর পণ্য পাওয়া নিশ্চিত হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

বাজেট ২০২৩–২৪
জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধনের সঙ্গে নির্মাণ ব্যয় বাড়বে
বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর ওপর কর আরোপের কারণে ফ্ল্যাট-জমি কেনা নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য আরও কঠিন হয়ে যাবে।

ঢাকায় ফ্ল্যাটের দাম আগে থেকেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন করে সিমেন্ট, ইট, পাথর, বৈদ্যুতিক সুইচ-সকেটসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর ওপর কর আরোপ করায় ফ্ল্যাটের দাম আরেক দফা বাড়বে। এমনকি ফ্ল্যাট ও জমির নিবন্ধনেও আগের চেয়ে বেশি অর্থ লাগবে। এতে ফ্ল্যাট বা জমি কেনা নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য আরও কঠিন হয়ে যাবে। আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন, নির্মাণসামগ্রীর উচ্চ মূল্য ও নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ) ভবন নির্মাণে উচ্চতা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আবাসন খাতের ব্যবসাকে জটিল করে তুলেছে। এর ওপর নতুন কর আরোপ করায় নির্মাণ খরচ বাড়বে। সেই সঙ্গে জমি নিবন্ধনের বিপরীতে ন্যূনতম কর বেঁধে দেওয়ার কারণেও ফ্ল্যাটের দাম আরেক দফা বাড়বে। সব মিলিয়ে সামনের দিনগুলোতে অনেকেই ফ্ল্যাট কেনার সক্ষমতা হারাবেন। সূত্র: প্রথম আলো

জ্বালানি সংকটে লোডশেডিং
♦ ডলার সংকটে মিলছে না জ্বালানি ♦ তাপমাত্রা না কমলে লোডশেডিংও কমবে না ♦ কয়লার অভাবে আজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে পায়রার দ্বিতীয় ইউনিট

তাপপ্রবাহের সঙ্গে দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও ডলার ও জ্বালানি সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। এর ফলে অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তাই দেশজুড়ে দিন-রাতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় গড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা আর গ্রামাঞ্চলে সাত থেকে সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলছে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ডলার সংকটে জ্বালানি তেল, এলএনজি ও কয়লা আমদানি কমায় চাহিদা মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। কয়লার অভাবে আজ দেশের সবচেয়ে বড় পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটও বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। এ ক্ষেত্রে লোডশেডিং পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডলার সংকট, জ্বালানি ঘাটতি ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় ৪৫ শতাংশই এখন অব্যবহৃত থাকছে। বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৩ হাজার ৩৭০ মেগাওয়াট। কিন্তু গত ২৪ থেকে ২৯ মে দেশে দিনে গড়ে ১১ হাজার ২০০ এবং সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে ১৩ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহে তীব্র লোডশেডিং হয়। মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় সাময়িক স্বস্তি মিললেও তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে আবারও লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। তীব্র গরমে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পার করছে নির্ঘুম রাত। গরমের কারণে অনেকে চার্জার ফ্যান ও এসি কিনছেন। বাসাবাড়ি ও অফিসে জেনারেটর চালাচ্ছেন কেউ কেউ। লোডশেডিংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীতে এখন ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় বিদ্যুৎ যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যে, গ্রামের মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে এখন রাজধানীতেও একাধিকবার লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। ঢাকার দুই বিতরণ সংস্থা বলছে, চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি সমন্বয় করতে এখন লোডশেডিং করতে হচ্ছে। আর গরম না কমা পর্যন্ত এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

নদী বন্ধক রেখে ব্যাংক ঋণ
নদীকে পুকুর বানিয়ে সেই জমি ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে নেওয়া হয়েছে ঋণ। নদীর জমি চলছে বেচাকেনা। দখলদারদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সীমাবদ্ধ সরকারি দপ্তরের চিঠি চালাচালিতে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার নদী রক্ষায় এমন ব্যর্থতার কারণ হিসেবে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও অবহেলাকে দায়ী করেছেন পরিবেশবিদরা। স্থানীয়রা জানান, এই নদীর প্রস্থ ছিল প্রায় এক কিলোমিটার, দৈর্ঘ্য ৫০ কিলোমিটার। ২৫ থেকে ৩০ বছর আগেও নদীটির পানি গিয়ে পড়ত ব্রহ্মপুত্রে। আশির দশকে দখলদারদের দৌরাত্ম্য বাড়তে থাকে। নদীর বুকে রাস্তা নির্মাণ করায় স্থবির হয়ে যায় প্রবাহ। এর পর বাঁধ দিয়ে চলে পুকুর তৈরির প্রতিযোগিতা। ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর ‘নদীতে নেতাদের পুকুর’ শিরোনামে সমকালে সংবাদ প্রকাশ হয়। চলতি বছর চাকিরপশার নদীর ইজারা বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করা হয়েছে। সর্বশেষ গত মার্চে ১৪১ একর জলাশয় উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কাগজপত্রে উন্মুক্ত থাকলেও নদীটি এখনও প্রভাশালীদের দখলে। পানিতে নামলে জেলেদের মারধর করা হচ্ছে। সূত্র: সমকাল

বড় সুযোগ বড় ব্যবসায়ীদের

বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে খানিকটা বেকায়দায় আছে দেশের অর্থনীতি। অর্থ সংকটে পড়েছে সরকার। প্রবাসী ও রপ্তানি আয়েও সুখবর নেই। রাজস্ব আদায়ে রয়েছে ঘাটতি। এমন পরিস্থিতিতে আয় বাড়াতে ব্যতিব্যস্ত অর্থমন্ত্রী, কর পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই না করেই কর বসিয়েছেন বিভিন্ন খাতে। এতে জীবনযাত্রা ব্যয় বাড়বে। ভোগান্তি বাড়বে সাধারণের। তবে সম্পদশালীদের কিন্তু ঠিকই ছাড় দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত অর্থবিল বিশ্লেষণ করে এমন হিসাব মিলেছে।অর্থবিলে ব্যাপকভাবে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছেন অর্থমন্ত্রী। কৌশলে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত কাঁচামাল প্রভাবশালীদের খোলাবাজারে বিক্রির সুযোগ করে দিয়েছেন। রাজস্ব কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানো, ভ্রমণ কর ও গাড়ির ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। সারচার্জ ছাড় দেওয়া হয়েছে। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ালেও ন্যূনতম কর দেওয়ায় বাধ্য করলেন। পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর দেশ রূপান্তরকে বলেন, বেশির ভাগ মানুষ মূল বাজেট বক্তৃতা লক্ষ করেন। সেখানে কী আনা হয়েছে আর হয়নি তা খতিয়ে দেখেন। অর্থবিল সাধারণত অর্থনীতির ভাষায় লেখা হয়। তাই কিছুটা জটিল হয়ে থাকে। সমালোচনা এড়াতে কিছুটা কৌশল করে প্রায় প্রতি অর্থবছরেই বাজেট বক্তৃতায় অনেক কিছু না এনে অর্থবিলে উল্লেখ করেন। এবারও তা-ই করেছেন। অর্থবিল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ব্যাপকভাবে সম্পূরক শুল্ক আরোপ রাখা হয়েছে; যা আমদানি সময় দিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে আমদানি খরচ বাড়বে। ফলে বাজারে দাম বাড়বে। অন্যদিকে অর্থবিলে অনেক বিষয়ে রাজস্ব কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বহাল রেখে ভোগান্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে ভ্রমণ কর, গাড়ি ব্যবহারের খরচ বাড়ানো হয়েছে। তবে ধনীদের সুযোগ ঠিকই রাখা হয়েছে। এসব করা হয়েছে সরকারের আয় বাড়াতে । সূত্র: দেশ রুপান্তর

বাজেট পাসের আগেই পণ্যের দাম বেড়ে গেছে
২০২৩-২৪ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব পণ্যের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, তার মধ্যে ব্যবসায়ীরা বেশ কিছু পণ্যের দাম আগেভাগে বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে খেজুর, কাজুবাদাম ও সিগারেট রয়েছে। ক্রেতারা বলছে, বাজারে এমনিতেই নিত্যপণ্যসহ সব ধরনের জিনিসের দাম তাদের নাগালের বাইরে। এর মধ্যে নতুন করে দাম বাড়লে কেনার আর উপায় থাকবে না তাদের।তবে বাজেটে কী আছে কী নেই, এ বিষয়ে দেশের বেশির ভাগ স্বল্প আয়ের মানুষের অনাগ্রহ। তাদের চাওয়া একটাই, নাগালে থাক দ্রব্যমূল্য।গতকাল শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুস্বাস্থ্যের জন্য কাজুবাদাম অনেকের কাছে প্রিয়। বাজেটে দাম বাড়ার আভাস পেয়ে কাজুবাদামের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সামষ্টিক অর্থনীতির সবচেয়ে বড় ঝুঁকি বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ঊর্ধ্বগতি
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে খাদ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুতে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ ছিল ৪০ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। টাকার অবমূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সংশোধিত বাজেটে এ বরাদ্দ আরো বাড়িয়ে করা হয় ৫০ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ভর্তুকির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট ৬৬ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকে ভর্তুকি হ্রাসের চাপ থাকলেও এ বরাদ্দ ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে টাকার বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধির কথা বলছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের সময় সহায়ক প্রকাশনা হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামষ্টিক অর্থনীতি অনুবিভাগ থেকে ‘‌মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি’ প্রকাশ করা হয়। সেখানেই মন্ত্রণালয়ের এমন পর্যবেক্ষণ উঠে আসে। সূত্র: বণিক বার্তা।

মূল্যস্ফীতির চোখ রাঙানির মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য কমার আশা অর্থমন্ত্রীর

চড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ে সরকার শঙ্কিত হলেওতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয় বলে গতকাল উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেসব কারণে মূল্যস্ফীতি হয়, সেগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। যেসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কর না নিলে মানুষ উপকৃত হবে, সরকার সেখানে কর নেবে না। এছাড়া, বাজারে স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার সহজভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তবে তিনি এ-ও বলেন যে, মূল্য সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না, কারণ এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা।অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যেহেতু পণ্যমূল্য কমছে, তাই দেশের বাজারেও দাম কমবে।
সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

প্রচন্ড গরম বা তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ হিসেবে গ্রহণের এখনই সময়?

গত কদিন ধরেই প্রচন্ড গরম চলছে বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই। গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুরে। এছাড়া দুদিন আগে থেকেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস, যা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে পূর্বাভাসে।এই মূহুর্তে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি রাজধানী ঢাকা আর উত্তরবঙ্গের দিকে। সে তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কম চট্টগ্রাম অঞ্চলে।তবে এই মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলমান থাকতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।বাইরে কাঠফাটা রোদ আর ঘরে লোডশেডিং মানুষের জীবনকে করে তুলেছে বিপর্যস্ত। তৈরি হচ্ছে নানান স্বাস্থ্যঝুঁকি। কিন্তু তারপরও ঝড়, বন্যার মতো তাপদাহকে সেভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে যেন দেখা হয় না। “মানুষ সাইক্লোন, বজ্র এগুলো যেভাবে নেয়, তাপপ্রবাহকে সেভাবে নেয় না।”— নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছিলেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে মনে করেন এ বিষয়ে সার্বিকভাবে সবার সচেতনতার অভাব আছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা ্