দিনে প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দরকার হয় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:১২ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৩

কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে গেল দেশের বৃহত্তম ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। সংগৃহীত ছবি

কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে গেল দেশের বৃহত্তম ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার একটি ইউনিট গত ২৫ মে বন্ধ হয়ে যায়। অপর ইউনিটটি আজ সোমবার (৫ জুন) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায়।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে এবারই প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হলো। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ জুলাই থেকে আবারও উৎপাদনে যাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এখানে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দরকার হয়। বৈশ্বিক মন্দায় চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত কয়লা আমদানিতে ৩৯ কোটি ডলার বকেয়া হয়। বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে কয়লা সংকটে পড়ে গত ২৫ মে বন্ধ হয় যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিটের উৎপাদন। ফলে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যায় এবং দেশব্যাপী শুরু হয় লোডশেডিং।

বিপিডিবির একজন কর্মকর্তা জাতীয় লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য উল্লেখ করে বলেছেন, এর অর্থ হলো পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কারণে দেশ আরও ৩৮৮ মেগাওয়াট অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ল।

তিনি বলেন, আজ দুপুর ১২টায় দেশে ১৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১২ হাজার ৯৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।

এনএলডিসির সন্ধ্যার পূর্বাভাস দেখায় যে দেশের চাহিদা ১৫ হাজার ৮০০ মেগাওয়াটে যাবে যখন উৎপাদন ১৪ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, কর্মকর্তারা বলেছেন যে সন্ধ্যার সর্বোচ্চ সময়কালে দেশটি সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হতে পারে।

Nagad

পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অপারেশন) শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, ‘সময়মতো কয়লা আমদানি করতে না পারায় আজ (৫ জুন) সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটেরও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও ডলার সংকটের কারণে আমাদের এলসি খুলতে একটু দেরি হয়েছে। এটি সাময়িক সংকট। আগামী ২৫ জুনের মধ্যে কয়লাবাহী জাহাজ আমাদের জেটিতে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। জাহাজ আসার তিন থেকে চার দিনের মধ্যে কয়লা আনলোড করে আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে ইউনিটগুলো চালু করতে পারব।’