বানারীপাড়ায় ঝিনুকে মুক্তা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

বরিশালের বানারীপাড়ায় মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে ও দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প অর্থায়নে বেকার যুবক – যুবতী, উদ্যোক্তাদের মাজে ঝিনুকে মুক্তা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।

রবিবার (১১জুন) সকাল ৯টায় উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে ও দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলার ২৫ জন উদ্যোক্তা ও বেকার যুবক যুবতীদের মাঝে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এ প্রশিক্ষন থেকে জানা গেছে, মুক্তা জীবন্ত ঝিনুকের দেহের ভেতরে জৈবিক প্রক্রিয়ায় তৈরি এক ধরনের রত্ন। মুক্তা সৌখিনতা ও আভিজাত্যের প্রতীক। মুক্তার প্রধান ব্যবহার অলংকার হলেও কিছু কিছু জটিল রোগের চিকিৎসায় মুক্তা ও মুক্তা চূর্ণ ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে মুক্তার চাহিদা যেমন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি ভাবে অভ্যন্তরীণ বাজারেও মুক্তার চাহিদা উল্লেখযোগ্য। মুক্তা চাষ একটি পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি। কেননা ঝিনুকে প্রক্রিয়া জলাশয় কে পরিষ্কার রাখে। মুক্তা চাষের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বরিশাল বিভাগের উপ পরিচালক আনিচুর রহমান তালুকদার।

উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ঝিনুক চাষ বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। ঝিনুক থেকে পাওয়া যায় মহামূল্যবান মুক্তা। তাই এই খাতে নজর দেয়া গেলে দেশের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মেরিন ফিশারিজ অফিসার প্রতুল জোদ্দার, মেরিন ফিশারিজ সহকারী হুমায়ুন কবির, গননাকারী প্রসেনজিৎ বড়াল, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ সহায়ক কর্মী সুমন হাওলাদার, এনামুল কবির, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্র সহকারী নির্ঝর কবির, গোপালগঞ্জ মৎস্য চাষী সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান শিপলু।

এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশীয় সম্পদ ব্যাবহার করে দেশীয় রত্নের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে অনেক বেকার যুবক- যুবতীর কর্মসংস্থানের যোগান সম্ভব। স্বল্প খরচ, অনুকূল পরিবেশ, কাঁচা মালের প্রাচুর্যতা সব মিলিয়ে ঝিনুকে মুক্তা চাষ হতে পারে হাজার বেকার কর্মসংস্থানের পথ।

Nagad