১৭ বছর পর রানা হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লা সংবাদদাতাকুমিল্লা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

১৭ বছর আগে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় শ্রমিক রানা হত্যা মামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে রায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্তদের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৮ জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন। এই মামলার রায়ে ১৬ জন আসামির মধ্যে চারজন বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

সরকারি সহকারী কৌশলী (এপিপি) মো: রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চম্পকনগর এলাকার মো: মোর্শেদ, মো: জুয়েল, মো: আলাউদ্দিন, মো: রিপন, মো: শিপন, শুভ হাসান ও মো: কাজল।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো: বাদল মিয়া, ইকবাল হোসেন, জহিরুল ইসলাম, আনোয়ার হেসেন ও মো: সোহেল মিয়া। তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এদের মধ্যে বাদল ও ইকবাল পলাতক।

এই মামলা থেকে খালাস পাওয়ারা হলেন- মো: সোহাগ, মো: শরিফ, মো: রনি ও ইসহাক মিয়া।

Nagad

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত মোট ১৬ জন আসামির মধ্যে চারজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় প্রদানের সময় মোট ৯ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা বলে জানান তিনি। তারা সবাই মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক চক্রের সাথে জড়িত ছিল বলেও জানান আইনজীবী রফিকুল ইসলাম।

মামলার নথির বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়া নিয়ে বিরোধে ২০০৬ সালের ১ মে রাতে আদর্শ সদর উপজেলার চম্পকনগর এলাকার স্যানিটারি মিস্ত্রি রানাকে যৌনাঙ্গ ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পরদিন রানার বাবা জাহাঙ্গীর খান ৬ জনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্তে আরও ১০ জনকে আসামি করে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা।

১৭ বছর পর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য আমলে নিয়ে রোববার (১৮ জুন) দুপুরে এই রায় দেন ঘোষণা করেছেন আদালত।

সারাদিন/১৮ জুন/এমবি