আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২৩

দেরিতে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে দেরিতে ভর্তির কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এ বছর ডেঙ্গুতে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের ৮০ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির এক থেকে তিন দিনের মধ্যে। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৫০ জনের তথ্য পর্যালোচনা করে এটা জানতে পেরেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা। পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, মৃতদের বড় অংশ কর্মক্ষম। আর বেশি মারা যাচ্ছেন নারীরা। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ঢাকায় নতুন ভর্তি হয়েছেন ২২৪ জন। আর ঢাকার বাইরে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৮৫ জন। এই প্রথম দেখা যাচ্ছে, ঢাকার বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। সূত্র: প্রথম আলো

পাঁচ মহানগরে নেতাদের মধ্যে রেষারেষি বেড়েছে

দেশের পাঁচ বিভাগীয় শহরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে রেষারেষি বেড়েছে। এসব মহানগরে কোথাও শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, কোথাও থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের বিবাদে নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এই পাঁচ মহানগর হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর। এসব জায়গায় বিবাদের কারণে সংঘর্ষ, রক্তপাতের ঘটনাও ঘটছে।কেন্দ্রীয় শীর্ষ পর্যায় থেকে একাধিকবার তাগিদ দিলেও কোন্দল নিরসন হচ্ছে না।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, দলের সভাপতি শেখ হাসিনা কোন্দল নিরসনে বারবার তাগিদ দিলেও বিভাগীয় শহরগুলোর নেতারা কার্যকর উদ্যোগ নেননি। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এই পরিস্থিতি আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। সূত্র; কালের কণ্ঠ

অস্থির জুলাইয়ের রাজনীতি

চলতি জুলাই মাস থেকে একদফার আন্দোলন শুরু করতে চায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর এ আন্দোলন মোকাবিলায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে এ মাসে ঢাকা সফরে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদলও এ মাসে ঢাকা সফরে আসতে পারে। তারা নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মতামত দেবেন। তাদের মতামতের ওপর নির্ভর করবে ইইউ’র নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি। তাই সরকার ও বিরোধী দলের শোডাউন এবং সংকট নিরসনে বিদেশি কূটনীতিকদের এই দ্বিমুখী চাপে অস্থির হয়ে পড়তে পারে জুলাইয়ের রাজনীতি। বিশ্লেষকদের মতে, ভূরাজনৈতিক কারণে এ মাস থেকে নানামুখী আরও চাপ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ রোববার যুগান্তরকে বলেন, ‘ঈদের পরে আন্দোলনে যাবে-এই ধরনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি কয়েকটি ঈদ পার করেছে। এবার তারা কতদূর পারবে জানি না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, তারা মাঠের দখল ছাড়বে না। তাই দিন যত যাবে পরিস্থিতি ততই উত্তপ্ত হতে থাকবে। অতীতের মতো সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। আগামী কয়েকটা মাসে অনেক খেলা হবে।’ মার্কিন প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফরে সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমঝোতার সম্ভাবনা একেবারেই শূন্য। সূত্র: যুগান্তর

Nagad

পর্যটকবাহী হাউস বোটের ওয়াশরুমে গোপন ক্যামেরা

টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী একটি হাউস বোটের ওয়াশরুমে গোপন ক্যামেরা ধরা পড়েছে। স্বপ্ন নামের একটি হাউস বোটে এই গোপন ক্যামেরা শনাক্ত করেন একজন পর্যটক। এ ঘটনায় হাউস বোটে হাওর ঘুরতে আসা পর্যটকরা ক্ষোভ জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম থেকে হাওর ঘুরতে আসা পর্যটক সাজিদুর রহমান জানান, শনিবার তিনি স্বপ্ন নামে হাউস বোটে টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরতে বের হন। এ সময় তিনি ওয়াশরুমে গেলে ভেতরে পুরোনো কাপড়ে মোড়ানো একটি বস্তু দেখতে পান। বিষয়টি তাঁর কাছে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তিনি কাপড়ের ভাঁজ খুলে গোপন ক্যামেরা দেখতে পান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী পর্যটক জানান, নারী পর্যকটদের ব্ল্যাকমেইল করতে হাউস বোটগুলো গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করছে। এ বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারিতে আনা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। পর্যটক বাবরুল হাসান বাবলু বলেন, হাউস বোট মালিকরা এ ধরনের অপকর্ম করলে টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নেবেন। সূত্র: সমকাল

রেল কর্মীদের কারসাজি
অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে লাখ টাকার বাণিজ্য

মৌলভীবাজারে বাড়ছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের সংখ্যা। বিদ্যুতের প্রধান সঞ্চালন লাইন থেকে অবৈধ সংযোগ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়। এ ছাড়া রেলওয়ের বিদ্যুৎ লাইন থেকেও দেয়া হচ্ছে অবৈধ সংযোগ। এসব সংযোগের বাড়তি বিল বহন করতে হচ্ছে রেলওয়েকেই। অথচ অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন রেলওয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী।অনুসন্ধানে জানা যায়, রেলস্টেশনের আশপাশের বাসাবাড়ি ও দোকানপাটগুলোতে বাতি, পাখা, এলইডি টিভি, ফ্রিজ এমনকি রান্নার হিটারও চলছে অবৈধ সংযোগে। এসব বাসা ও দোকানপাটে অবাধে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হলেও মিটার না থাকায় তাদের ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণ জানারও কোনো উপায় নেই। আর মাস গেলে তাদের বিল দিতে হচ্ছে মাত্র ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলের কর্মচারীরা নিজেদের নামে বিদ্যুতের মিটার নিয়ে একাধিক ভাড়াটিয়াকে অবৈধভাবে সংযোগ দেন। এভাবে তারা বছরের পর বছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীরাও এর সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ের কয়েকটি স্টেশন বন্ধ থাকায় সেখানকার জায়গা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভাড়া দিয়েছেন বহিরাগতদের। এসব জায়গা থেকেও অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে তারা আদায় করছেন লাখ লাখ টাকা। আর অবৈধ সংযোগের জন্য বড় অঙ্ক গুনতে হচ্ছে রেলওয়েকে। সূত্র; দৈনিক বাংলা।

সংসদ নির্বাচন বাকি ৬ মাস
ভোটের রোডম্যাপে ব্যস্ত ইসি
♦ আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট ♦ সব আসনেই ব্যালটে, চলছে কেন্দ্র নির্ধারণ ♦ সুযোগ অনলাইনে মনোনয়ন দাখিলের

আগামী বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে সব কাজ এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে জানুয়ারির শুরুতে ভোট করতে চলতি বছরের নভেম্বরেই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দুই ধরনের পরিকল্পনা থাকবে ইসির। প্রথমত, নভেম্বরের মাঝামাঝি তফসিল দিয়ে আগামী বছরের (২০২৪ সালের) জানুয়ারিতে ভোট গ্রহণ। দ্বিতীয়ত, নভেম্বরের শুরুতে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভোট অনুষ্ঠান।
ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএম ছাড়া ব্যালট পেপারে ৩০০ আসনে ভোট করতে রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে; নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কার্যক্রম চলতি মাসের মধ্যে শেষ হবে। নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ঢেলে সাজানো হচ্ছে। চলছে ভোট কেন্দ্র নির্ধারণের কার্যক্রম। এ জন্য একটি নীতিমালাও করা হচ্ছে। সেই নীতিমালার আলোকে মাঠ কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এ ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ ক্ষেত্রে এমপি প্রার্থীদের সশরীরে রিটার্নিং অফিসার বা নির্বাচন অফিসে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে না। শুধু অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেই চলবে। মনোনয়নপত্রের হার্ডকপি রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে না। প্রার্থী যে কোনো স্থানে থেকেই অনলাইনে সম্পূর্ণ মনোনয়নপত্র দাখিল ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটি নির্বাচন নিরুত্তাপভাবে শেষ হলেও কোনো গোলযোগ না হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্র; বিডি প্রতিদিন্

পরিচালন মুনাফা কমেছে অনেক ব্যাংকের

দেশের ব্যাংকগুলোর আয়ের বড় একটি অংশ আসে বৈদেশিক বাণিজ্য থেকে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) দেশের প্রায় সব ব্যাংকেরই মুনাফার এ উৎস সংকুচিত হয়েছে। বিপর্যস্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থেকেও মুনাফা তুলতে পারেনি ব্যাংক। উল্টো তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোর তহবিল সংগ্রহ ব্যয় (কস্ট অব ফান্ড) আগের তুলনায় বেড়েছে। একই সময়ে বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণও। নানামুখী এসব সংকটের বিরূপ প্রভাব পড়েছে ব্যাংকগুলোর মুনাফায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশের বেশির ভাগ ব্যাংকেরই পরিচালন মুনাফা কমেছে। আয় থেকে ব্যয় বাদ দিয়ে যে মুনাফা থাকে, সেটিই কোনো ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা। এটি কোনো ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। এ মুনাফা থেকে খেলাপি ঋণ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) সংরক্ষণ এবং সরকারকে কর পরিশোধ করতে হয়। প্রভিশন সংরক্ষণ ও কর-পরবর্তী মুনাফাই হলো একটি ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট মুনাফা। ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ২৭ জুন থেকে দেশের ব্যাংকগুলো বন্ধ ছিল। এ কারণে চলতি বছরের অর্ধবার্ষিকের আয়-ব্যয়ের হিসাব চূড়ান্ত করতে ব্যাংকগুলোকে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ছুটি শেষে গতকাল ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খুললেও কিছু ব্যাংক গতকালও তাদের অর্ধবার্ষিকের হিসাব চূড়ান্ত করতে পারেনি বলে জানা গেছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

একযুগেও চালু হয়নি দুর্গম পাহাড়ের ৩ ছাত্রাবাস
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মাণ করা তিনটি ছাত্রাবাস এক যুগেও চালু হয়নি। এতে একদিকে যেমন পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে; অন্যদিকে অযন্ত-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ছাত্রাবাসের অবকাঠামো। এদিকে জনবল সংকটের কারণে ছাত্রবাসগুলো চালু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১১ সাল দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুবিধার্থে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি দ্বিতীয় পর্যায়ের (পিডিইপি-২) আওতায় লক্ষ্মীছড়িতে একটি ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়।
জেলা সদর থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরে দুর্গম এলাকায় নির্মাণ করা এ ছাত্রাবাসটি এখন পর্যন্ত চালু করা হয়নি বলে জানান লক্ষ্মীছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার চাকমা। সূত্র: বিডি নিউজ

‘জামায়াত নিয়ে পর্দার আড়ালে কূটরাজনীতি’

জামায়াত নিয়ে পর্দার আড়ালে কূটরাজনীতি এমন শিরোনাম করেছে সমকাল। এতে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী কারসঙ্গে-তা নিয়ে রাজনৈতিক সক্রিয় মহলে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। আওয়ামী লীগ বলছে, জামায়াত বিএনপির সঙ্গী। বিএনপি নেতারা জামায়াত তোষণের অভিযোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের দিকে। যদিও খোদ জামায়াতে ইসলামী বলছে, বিএনপি জোট ভেঙ্গে দেওয়ার পর তারা একা পথ চলছে।এই খবরটি নিয়ে নিউ এইজ পত্রিকার শিরোনাম, ‘AL, BNP accuse each other of jamaat link.’ এতে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং প্রধান বিরোধীদল বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দুদলই পরস্পরকে জামায়াত-ই-ইসলামী সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দুষছে। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের পরই এই অভিযোগ আসছে। শুক্রবার ঠাকুরগাঁওয়ে নিজের গ্রামের বাড়িতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগের সাথে জামায়াতের সম্পর্ক এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, জন্ম থেকেই জামায়াতের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে বিএনপি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বিএনপি চায় রাজপথেই একদফার ফয়সালা
জনগণকে ব্যাপক হারে সম্পৃক্ত করাই লক্ষ্য

এবার একদফার আন্দোলনে যাচ্ছে ১০ দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও এর শরিকরা। ঈদুল আজহার মধ্যে বিএনপি একদফা আন্দোলনের প্রস্তুতি সেরেছে। চলতি জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে এই আন্দোলন মাঠে গড়াতে পারে। ঈদের আগে স্থায়ী কমিটির একাধিক বৈঠক এবং শরিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এই একদফা আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। বর্তমান সরকারের পদত্যাগই মূলত একদফার মূল বিষয়। তবে এর সঙ্গে আরও কয়েকটি দাবি যুক্ত থাকবে। আর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার চলবে এই আন্দোলন। শোকের মাস আগস্টেও থাকবে কর্মসূচি। তবে সেই কর্মসূচি পালন করা হবে শোক দিবসের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির চূড়ান্ত লক্ষ্য সেপ্টেম্বর-অক্টোবর। মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও চাপ কাজে লাগিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগেই রাজপথে চূড়ান্ত ফয়সালা করতে চায় দলটি। এ লক্ষ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। তবে এ ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনের আচরণ দেখে কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস হতে পারে। অবশ্য বাধ্য না হলে সাংঘর্ষিক কোনো কর্মসূচিতে যাবে না বিএনপি। সূত্র: কালবেলা