রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১১.৫৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২৩

এবার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা গতবছরের চেয়ে ১১.৫৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে-বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে সরকার। যার মধ্যে পণ্য খাতে ৬২ বিলিয়ন এবং সেবা খাতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (১২ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কাঁচা মরিচের কথা এসেছে মাঝে, সেটিতেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কথা বলা হচ্ছে। এখন ঝড়-বৃষ্টিতে যদি কাঁচা মরিচ পচে যায় তাহলে আমি বাণিজ্যমন্ত্রী বা আমাদের সচিব করবেটা কী? কাঁচা মরিচ এক হাজার টাকা কেজির যে কথা বলা হচ্ছে, সেটি কিন্তু এক বা দুদিনের কথা। কাঁচা মরিচ আমাদের কন্ট্রোলে নেই, কিন্তু দায়টা আমাদের ঘাড়েই আসে।

টিপু মুনশি বলেন, যেদিন কয়দিন আমাদের এখানে দাম বেড়েছিল সে কয়দিন গুগল খুলে দেখুন, কলকাতায় বাজারে দাম কেমন ছিল। আমি তো কলকাতার বাণিজ্যমন্ত্রী না, তাহলে সেখানে দাম বাড়লো কেমন করে?

ভোজ্যতেলের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) তেলের দাম (বোতলজাত সয়াবিন তেল) লিটারে ১০ টাকা কমানো হয়েছে। তেলের দাম বৈশ্বিক বাজারে কমায় দেশেও দাম কমানো হয়েছে।

চিনির দামে কোনো সুখবর আসবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিনির ব্যাপারেও আমরা বারবার বসছি। বৈশ্বিক বাজারে চিনির যে দাম, ভারত থেকে আনতে পারলে ভালো হয়। আমারা সে চেষ্টা করছি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা চিনির সাশ্রয়ী দাম রাখার চেষ্টা করছি। তবে দেশের সব জায়গায় তো আমাদের যাওয়া সম্ভব নয়।

Nagad

টিপু মুনশি জানান, ২০২৩ সালের শেষ পর্যায়ে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ঘটবে বলে বিভিন্ন সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছে। এই পূর্বাভাস ঠিক থাকলে এসময়ে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৮ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত যেসব পূর্বাভাস দিয়েছে, তা বিবেচনায় নিলে চলতি বছরের মন্দা অবস্থা বছরের শেষ দিকে কাটতে শুরু করবে এবং আগামী বছরে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরায় প্রবৃদ্ধির ধারায় ফেরত আসবে।
বিগত অর্থবছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্যখাতে ৫৮ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৫.৮ শতাংশ এবং পূর্ববর্তী ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ৬.৬ শতাংশ বেশি। পণ্য ও সেবাখাত মিলে ৬৭ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬৪.৫৫ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে যা, লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৬.৩ শতাংশ এবং পূর্ববর্তী ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ৫.৮ শতাংশ বেশি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সঞ্চালনায় সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার প্রতিনিধি এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।