আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর
সরকারের ঋণ
কত টাকা ছাপাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ডলার কেনার কারণে বেশির ভাগ ব্যাংকের হাতে এখন টাকা নেই, সেই টাকা চলে গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে। তাই সরকারকেও চাহিদামতো ঋণ দিতে পারছে না বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া মানে টাকা ছাপানো, বাজারে নতুন টাকা সরবরাহ করা। মাত্রাতিরিক্ত টাকা ছাপালে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। তবে সরকারের টাকা ধার নেওয়া এখনো লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক কী পরিমাণ টাকার জোগান দেয়, তা বোঝা যায় ‘রিজার্ভ মানি বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রার’ হিসাব থেকে। বাজারে যে অর্থপ্রবাহ রয়েছে, সেটিই রিজার্ভ মানি হিসেবে পরিচিত। গত মে মাস পর্যন্ত রিজার্ভ মানির পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ১১ কোটি টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। ব্যাংকগুলো থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে যে পরিমাণ টাকা গেছে, সরকার ঋণ নিয়েছে তার চেয়ে কম। কিন্তু ব্যাংকব্যবস্থা থেকে বেশি অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলে আসায় বাজারে রিজার্ভ মানির প্রবাহ কমে গেছে। সূত্র: প্রথম আলো


বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ
প্রাণঘাতী দাবদাহের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনই দায়ী
চলতি জুলাই মাসে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও চীনে বয়ে যাওয়া তীব্র দাবদাহের জন্য মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন অনস্বীকার্যভাবে দায়ী। গতকাল মঙ্গলবার বিজ্ঞানীদের একটি পর্যালোচনায় এই দাবি করা হয়েছে। জুলাই মাসে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে পৃথিবীজুড়ে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ ইউরোপে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে।এর ফলে দাবানল, পানিসংকট ও উচ্চ তাপমাত্রায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মাত্রাও বেড়েছে। কয়েক দিন আগে দাবদাহের কারণে সৃষ্ট দাবানল থেকে বাঁচতে গ্রিসের রোডস দ্বীপ থেকে হাজার হাজার পর্যটককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ
কী হবে ২৭ জুলাই
টানটান উত্তেজনা, নাশকতার আশঙ্কা বিএনপির, শক্ত অবস্থানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিশৃঙ্খলা দেখলেই ব্যবস্থা, আওয়ামী লীগ থাকবে রাজপথে
আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার সমাবেশ ঘিরে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি। রাজপথ দখলে রাখতে দুই দলই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে জনমনে। অজানা আশঙ্কা এখন সর্বমহলে। সবার কাছে এখন প্রশ্ন, কী ঘটতে যাচ্ছে ২৭ জুলাই।পুলিশ বলছে, তারাও প্রস্তুত। বিশৃঙ্খলা দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের এমন কঠোর ঘোষণার পরও নাশকতার আশঙ্কা করছে বিএনপি। তবে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগ বলছে, যে কোনো মূল্যে রাজপথ দখলে রাখা হবে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই উত্তাপ বাড়ছে। সাংগঠনিক শক্তির জানান দিচ্ছে প্রধান দুই দল। একই দিনে প্রধান দুটি দলের সমাবেশের জন্য রাজধানী ঢাকা কতটা উপযুক্ত সে বিষয়টি ভাবার দাবি রাখে। সবকিছু ছাপিয়ে তাদের প্রত্যাশা, রাজধানীকে নিরাপদ রাখতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা দক্ষ হাতে সবকিছু মোকাবিলা করবে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রীতিমতো যুদ্ধের দামামা বাজতেছে। উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে দুই দলের মাঝেই। তাদের এমন আচরণে বোঝা যাচ্ছে, সংঘাত অপরিহার্য। তবে এসব উত্তাপ-উত্তেজনা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করতে পারে। জনগণের স্বার্থে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এসবের সমাধান করা উচিত। নইলে পরিস্থিতি যেভাবে-যেদিকে অগ্রসর হচ্ছে জীবন-জীবিকা চরম হুমকির মধ্যে পড়বে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।
মাদক কারবার, নিয়োগ বাণিজ্যে কোটিপতি আ’লীগ নেতা মর্তুজা
ছিলেন বাসের সুপারভাইজার। পাশাপাশি করতেন মাদক ব্যবসা। পরে হয়ে যান আওয়ামী লীগ নেতা। এ পরিচয়েই পাল্টে যায় ভাগ্য। নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। শহরে বানিয়েছেন তিনতলা বাড়ি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ফেনসিডিল পাচার মামলায় দণ্ডিত হয়ে এখন কারাগারে বন্দি তিনি। তাঁর এ পরিণতিতে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। তাঁর নাম গোলাম মর্তুজা। তিনি ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রামের বাসিন্দা। টানা প্রায় ১৫ বছর ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এলাকার মানুষ জানান, গরিবের ঘরের সন্তান মর্তুজা ১৫ বছর আগে স্ত্রী-সন্তানের মুখে দু’বেলা খাবার তুলে দিতে হিমশিম খেতেন। ২০০৮ সালে জয়পুরহাট-ঢাকা রুটের একটি যাত্রীবাহী বাসের সুপারভাইজার পদে চাকরি নেন। এ সময় জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার (ভারতীয় সীমান্তবর্তী) হিলি থেকে নিজ গাড়িতে অভিনব কায়দায় ফেনসিডিল পাচারে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৮ সালের ১২ জুলাই ৮০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ তাঁকে র্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। এ-সংক্রান্ত মামলায় সুপারভাইজার মর্তুজা ও হেলপার মুনজুরুল হককে আসামি করা হয়। গাড়ির ভেতর একটি বিশেষ বাক্স বানিয়ে তারা এ মাদক পরিবহন করতেন। সূত্র সমকাল
আওয়ামী লীগ-বিএনপির শোডাউন কাল
ঢাকার নিয়ন্ত্রণই টার্গেট
বিএনপিকে মোকাবিলায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পাহারা বসাবে ক্ষমতাসীনরা * সারা দেশের বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকর্মী এখন ঢাকায়
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতি। নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় দেশের বড় দুই দল-আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তাদের অনড় অবস্থানে সমঝোতার ন্যূনতম সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বিপরীতমুখী অবস্থানে রাজনীতি এখন রাজপথে। মাঠ নিজেদের দখলে রাখতে পালটাপালটি কর্মসূচি পালন করে আসছে তারা।এবার দল দুটির টার্গেট ঢাকাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা। এ লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সরকারের পদত্যাগে ২৭ জুলাই রাজধানীতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীদের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকায় আসতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। সরকার পতনের আন্দোলনে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো দখলে রাখতে চায় তারা। অন্যদিকে বিএনপিকে প্রতিহত করে ঢাকার রাজপথে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া ক্ষমতাসীনরা। সূত্র: যুগান্তর
আশঙ্কাজনক নারীমৃত্যু
দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ দেখা দিয়েছে নারীদের মৃত্যুর সংখ্যায়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, নারীদের তুলনায় পুরুষরা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হলেও, পুরুষের চেয়ে নারীর মৃত্যু ১৪ শতাংশ বেশি। এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের ৬৪ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ শতাংশ নারী। কিন্তু মৃত্যুতে ঠিক এর উল্টো। মোট মৃত্যুর ৫৭ শতাংশ নারী ও ৪৩ শতাংশ পুরুষ। বিশেষ করে দেশের শিশু, কিশোর ও তরুণ বয়সী নারীরা সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুঝুঁকিতে রয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে ১৬-৪০ বছর বয়সী নারীরা। এখন পর্যন্ত এ বয়সী নারীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৮৪ জন, যা মোট নারী আক্রান্তের ৫৫ শতাংশ এবং মারা গেছেন ৫৮ জন, যা মোট নারী মৃত্যুর ৫১ শতাংশ। এরপর সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে ০-১৫ বছর বয়সী কন্যাশিশুরা, যা মোট আক্রান্তের ২৩ শতাংশ। এ বয়সী কন্যাশিশুদের মৃত্যু হার ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে আক্রান্তের দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও মৃত্যুতে এগিয়ে ৫৬-৭০ বছর বয়সী নারীরা। এ বয়সী নারী আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩০ জন, যা মোট নারী আক্রান্তের ৭ শতাংশ, কিন্তু মারা গেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ জন, যা মোট নারী মৃত্যুর ২০ শতাংশ। এমনকি গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে যে ১৬ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছে, তাদের মধ্যে ৯ জনই নারী। এমন অবস্থায় গতকাল রাজধানীতে দুই অন্তঃসত্ত্বা নারী ও এক মেডিকেল ছাত্রীর মৃত্যু নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে সবাইকে। নারীদের দুজনই আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং মেডিকেল ছাত্রী এমবিবিএস শেষ বর্ষে পড়তেন। এ তিন নারীর মৃত্যুতে শোকবিহ্বল হয়ে পড়েছেন তার সহকর্মী ও সহপাঠীরা। সূত্র; দেশ রুপান্তর
জাবির গণরুম: পড়ার সঙ্গী মশার কামড়, ঘুমের সঙ্গী ছারপোকা
জানালার গ্রিলে ঝুলছে জামাকাপড়। মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তেলচটচটে বিছানা। কক্ষের এক পাশ থেকে অন্য পাশে এসব বিছানা মাড়িয়ে যেতে হয়। যেখানে তোশক নেই, সেখানে রাখা ব্যাগ, নিত্যব্যবহারের সামগ্রী। এটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্র সংসদ কক্ষ। সাধারণত নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিদের নানা কার্যক্রম চলার কথা এই ছাত্র সংসদ কক্ষে। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (জাকসু) নির্বাচন নেই দীর্ঘদিন। ফলে পড়ে থাকা কক্ষটিই থাকার জায়গা বানিয়ে ফেলেছেন হলে আসন না পাওয়া শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ছাত্র সংসদ কক্ষের পাশাপাশি ডাইনিং, টিভি, কমন রুমগুলোতে গাদাগাদি করে থাকছেন ৪০-৫০ জন বা তার বেশি শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বর্ষে উঠলেও অনেকে নির্দিষ্ট আসন পান না। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীরা গণরুম থেকে মুক্তির দাবিতে উপাচার্যের ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এতে গণরুম বিলুপ্তি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। ছাত্রীদের এ দুই হল ছাড়াও ছেলেদের নয়টি আবাসিক হলেও বিভিন্ন পরিসরে গণরুম আছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।
অনাবৃষ্টিতে শঙ্কায় আবাদ
আমনের উৎপাদন খরচ বাড়বে সেচ, সার ও কীটনাশকে
দেশে বোরোর পর চালের সবচেয়ে বড় জোগান আসে আমন থেকে। বোরো সেচনির্ভর হলেও আমন পুরোটাই বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। আবাদে তাই খরচ কম লাগে। সাধারণত আষাঢ়-শ্রাবণ কিংবা জুলাইয়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এ সময়টা সামনে রেখে আমন রোপণের প্রস্তুতি নেন কৃষক। তবে এ বছর জুলাই প্রায় শেষ হতে চললেও বৃষ্টির দেখা নেই। উল্টো তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ। মাঝেমধ্যে কোনো কোনো এলাকায় সামান্য বৃষ্টি ঝরলেও খুব বেশি উপকারে আসছে না। আবাদি জমিগুলো প্রায় পানিশূন্য। প্রখর রোদে নষ্ট হচ্ছে বীজতলা। নিরুপায় অনেকে বিকল্প ব্যবস্থায় এখন সেচের পানিতে রোপণ করছেন আমনের চারা। কৃষিবিদরা বলছেন, সাধারণত দেরিতে আবাদ করলে ফসলে রোগবালাই বেশি হওয়ার শঙ্কা থাকে। বেড়ে যায় কীটনাশকের ব্যবহার। এর মধ্যে সেচ খরচ যুক্ত হলে সার্বিকভাবেই বৃষ্টিনির্ভর আমনে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। এ মাসের বাকি সময়েও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হলে আমন ধান আবাদ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হবে বলে জানান তারা। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জুন থেকে সেপ্টেম্বর—চার মাসে বছরের প্রায় ৭১ ভাগ বৃষ্টিপাত হয়। জুলাইয়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা থাকলেও চলতি মাসের এখন পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে ৫৯ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। মাস শেষেও সে হার প্রায় ৪৫-৫০ শতাংশ কম হতে পারে। এর আগে জুনেও প্রায় ১৭ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়েও স্বাভাবিকের চেয়ে ৫৮ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছিল। সূত্র: বণিক বার্তা।
‘১৩ দেশের মিশন প্রধানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব’
বণিকবার্তার শিরোনাম, ১৩ দেশের মিশনপ্রধানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব। এই খবরটিতে বলা হয়েছে, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলমের (হিরো আলম) ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি দেয়ার জেরে আজ ১৩ দেশের মিশনপ্রধানকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, মিশনপ্রধানদের কাছে মূলত সরকারের পক্ষ থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হবে। তাদের জানানো হবে, বাংলাদেশ যৌথ বিবৃতির ঘটনা পছন্দ করছে না। ডেকে অসন্তোষ জানানোর পর মিশনপ্রধানদের পক্ষ থেকেও প্রতিক্রিয়া আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবিষয়ে আরেকটি পত্রিকা মানবজমিনকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ১৩ দূতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সত্য, তবে তা তলব নয়। বরং তাদেরকে সেদিনের ঘটনার আদ্যোপান্ত জানানো এবং বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
নয়া দিগন্ত পত্রিকার শিরোনামে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসবে : যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারী যে কারো ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ’ কারিগরি নিরীক্ষায়
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটার, দল, প্রার্থী, প্রতীক, ছবি, ভোটকেন্দ্রের তথ্য জানানোসহ একগুচ্ছ সেবা দিতে ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ’ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।এই অ্যাপটি সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই চালু করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান মঙ্গলবার বলেন, “(অ্যাপটি) একাধিকবার দেখে প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। …নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপ ডেভেলপ হয়ে গেছে অলরেডি। দেশীয় প্রতিষ্ঠানই করছে।”তিনি জানান, সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় যাতে এটি কার্যকর থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে মনোনয়নপত্র জমার সুযোগও থাকবে। বর্তমানে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা কার্যক্রম পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে। কারা, কী সেবা পাবে-নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জানান, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা অ্যাপে ভোটার, দল, প্রার্থী, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসারসহ সাধারণ মানুষেরও প্রবেশাধিকার থাকবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধু ইসি, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অ্যাকসেস থাকবে। এখানে নির্বাচনী প্রার্থীদের দলীয় পরিচয়, প্রতীক, হলফনামা- সবই থাকবে। সূত্র : বিডি নিউজ
জুয়েলারি ব্যবসায় প্রতারণার ফাঁদ, ঠকছেন ক্রেতারা
জুয়েলারি ব্যবসায় প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এই ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছ থেকে ক্যাডমিয়াম গহনার মূল্য নিয়ে ক্রেতাদের দিচ্ছেন নিম্নমানের গহনা। এমনকি নিম্নমানের গহনা সাধারণ জুয়েলারি ব্যবসায়ীদেরও সরবরাহ করা হচ্ছে। আবার ডায়মন্ডের নাম করে ক্রেতাদের দেয়া হচ্ছে ‘মেসোনাইড’, ‘সিভিডি’, ‘ল্যাব মেইড/ম্যান মেইড’ এবং ‘এডি’ পাথরের মতো নকল ডায়মন্ড। একটি কিনলে একটি ফ্রি অথবা এ ধরনের নানা অফারের মাধ্যমে ক্রেতাদের সঙ্গে এ ধরনের প্রতারণা করা হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা নিজের অজানতেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কারণ, খালি চোখে সাধারণ ক্রেতার পক্ষে যেমন নকল ডায়মন্ড চেনা সম্ভব নয়, তেমন নিম্নমানের সোনাও চেনা সম্ভব নয়।ক্রেতাদের সঙ্গে কিছু ব্যবসায়ীর এ ধরনের প্রতারণার তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এজন্য সোনা এবং ডায়মন্ড কেনাবেচার ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাজুস। সোনায় নীতিমালা মেনে হলমার্ক নিশ্চিত করে গহনা বিক্রি, বিপণন, প্রস্তুত ও সরবরাহ করতে বলেছে দেশে সোনার দাম নির্ধাণের দায়িত্ব পালন করা এই সংগঠনটি। সেই সঙ্গে ডায়মন্ডের অলংকার বিক্রির সময় বাধ্যতামূলক ক্যাশমেমোতে গুণগত মান নিদের্শক উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। সূত্র: জাগো নিউজ