শৈলকুপায় স্বামীর দেয়া আগুনে ঝলসে গেছে ঋতুর শরীর

ঝিনাইদাহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদাহ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১১:২১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২৩

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১৫ তারিখ দুপুর থেকে আগুনে পুড়া ক্ষত নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে ঋতু(১৮) নামের এক নারী৷ সংসার ভাঙার ভয়ে এতদিন কাউকে কিছুই বলেনি ঋতু। দিনের পর দিন ক্ষত ড্রেসিং করার একপর্যায়ে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়ে।

আহত ঋতুর বাড়ি একই উপজেলার ছোট ধল্লা গ্রামে। স্বামী জিল্লুর রহমান এর বাড়িও একই গ্রামে।

ঋতু ও তার মায়ের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানা যায় ৩ মাস আগে ছোট ধল্লা গ্রামের ফুপোত ভাই জিল্লুর রহমান এর সাথে বিবাহ হয় ঋতুর। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে ঋতুর উপর নির্যাতন চালাতে থাকে স্বামী জিল্লুর রহমান।

ঋতু বলেন, গত ১৪তারিখ রাতে টিভিতে লাটারি খেলা দেখে বাড়িতে আসার পর রাত আনুমানিক ১২ টার সময় স্বামীর সাথে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে স্বামী জিল্লুর রহমান গ্যাস লাইট দিয়ে তার জামাই আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় ঋতুর চিৎকার চেচামেচিতে সবাই চলে আসলে স্বামী জিল্লুর রহমান পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন৷ তবে ঋতু এত কিছুর পরও তার স্বামীর সংসার করার জন্য এত দিন ভয়ে মুখ খুলেনি। গতকাল বুধবার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় ডাক্তার, নার্স ও ঋতুর মায়ের কাছে ঋতু বলেন তার স্বামী আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে তাকে । গত ১৩ দিন ধরে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিলেও স্বামী একদিনের জন্যে খোজ নিতে হাসপাতালে আসেনি। ঋতুর শাশুড়ী ২ দিন আসলেও অল্প সময় পর বাড়িতে চলে গেছে৷ তার পর সেও কোন খোজ খবর নেইনা।

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ডাক্তার সুজায়েত হোসেন বলেন, তার বুকের দুই পাশে ও উপরের ৫০% পুড়ে গেছে। ঋতুর সুস্থ হতে এখনো সময় লাগবে।

এই বিষয়ে অভিযুক্তের স্বামী জিল্লুর রহমান ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের কাওকে পাওয়া যায়নি৷ তবে প্রথম দিকে জিল্লুর রহমান গ্রাম বাসীদের নিকট বলেছিলেন যে ঋতু নিজের শরীর নিজেই পুড়িয়েছে৷

Nagad

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা আমরা এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।