ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদনে সময় বাড়লো

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২৩

কাগুজে নথি জমা দিয়ে নয়, ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ সব নথি ডিজিটাল মাধ্যমে জমা দিতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি প্রতিষ্ঠানও আবেদন করেনি। তাই সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এই ডিজিটাল ব্যাংক প্রচলিত ব্যাংক থেকে আলাদা। এখানে কোনো শাখা, উপশাখা, এটিএম বুথ থাকবে না। পুরোপুরি প্রযুক্তি নির্ভর চলবে ‘ডিজিটাল ব্যাংক’। থাকবে না সশরীরে লেনদেনের কোনো ব্যবস্থা। মোবাইল আর ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহারে গ্রাহকদের দেবে ব্যাংক সেবা।

এই ব্যাংক-এর লাইসেন্সের জন্য লাগবে ১২৫ কোটি টাকা, পরিচালক হতে লাগবে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা। নতুন ধারার এ ব্যাংক চালু করতে আগ্রহীদের আবেদন নিতে নতুন ওয়েব পোর্টালও খোলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি প্রতিষ্ঠানও আবেদন করেনি। তাই সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রোববার (৩০ জুলাই) অনলাইন মাধ্যমে আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সপ্রাপ্তির আবেদনের লক্ষ্যে আবেদনকারীর পূর্ণাঙ্গ ও মানসম্মত প্রস্তাবনা তৈরি এবং বিভিন্ন দলিলাদি সংগ্রহের বিষয়টি বিবেচনা করে আবেদনপত্র দাখিল করা যাবে। এ লক্ষ্যে আবদেন দাখিলের সময় আগামী ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

গত জুনে বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন আহ্বান করেছিল। অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে আলাদা পেজ খোলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগ্রহীরা সেখান থেকে আবেদন জমা দিতে পারছেন। তবে আবেদন ফি বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংককে অফেরতযোগ্য ৫ লাখ টাকা জমা দিতে হবে।

Nagad

প্রতিটি ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে ন্যূনতম মূলধন লাগবে ১২৫ কোটি টাকা। প্রচলিত ধারার ব্যাংক করতে যেখানে প্রয়োজন হয় ৫০০ কোটি টাকা, সেখানে ডিজিটাল ব্যাংকের প্রত্যেক উদ্যোক্তাকে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে।

লাইসেন্স দেওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে ডিজিটাল ব্যাংককে দেশের পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ছাড়তে হবে। ব্যাংক স্থাপনে উদ্যোক্তাদের অর্ধেককে হতে হবে প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং, উদীয়মান প্রযুক্তি, সাইবার আইন ও বিধিবিধান বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। বাকি অর্ধেক হতে হবে ব্যাংকিং, ই-কমার্স এবং ব্যাংকিং আইন ও বিধিবিধান বিষয়ে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। ডিজিটাল ব্যাংককে কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রচলিত ব্যাংকের মতো সময়ে সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ন্যূনতম নগদ জমা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) বজায় রাখতে হবে।

তবে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তার পরিবারের কোনো সদস্য ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ কতজন পরিচালক হবেন, তা ঠিক হবে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী। ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) ব্যাংকিং পেশায় কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

গত ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ‘ডিজিটাল ব্যাংক’ চালুর অনুমোদন দেয়। ১৫ জুন এ বিষয়ে নীতিমালা জারি করে।