প্রবল বর্ষণ: মুহুরী নদী রক্ষা বাঁধে ভাঙন, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
প্রবল বর্ষণে বান্দরবানের মাতামুহুরী ও সাঙ্গু নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ফেনীর ফুলগাজীতে মুহুরী নদী রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে লোকালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।ইতোমধ্যে লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, থানচিসহ জেলা শহরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়াও জেলা সদরের সঙ্গে লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে এই দৃশ্য দেখা যায়।
এদিক রোববার (৬ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের বরইয়া গ্রামের এনাম মিয়ার বাড়ির পাশে এ ভাঙন দেখা দেয়। এতে লোকালয়ে বন্যার পানি ঢুকে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট, বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি ও মাছের ঘের। পার্শ্ববর্তী ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদ ও কাঁচা বাজার পানির নিচে ঢুবে গেছে।
জানা গেছে, ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া জেলা শহরে নদীর তীরবর্তী, অফিসার্স ক্লাব, ইসলামপুর, আর্মিপাড়া এলাকাসহ নিচু এলাকাসমূহে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের কারণে পর্যটকবাহী গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও জেলা শহরের অবস্থা করছেন।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, বান্দরবানের বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে নিরাপদে সরে গিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে বান্দরবান জেলায় সর্বমোট ১৯৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে ফুলগাজীর মুহুরী নদী রক্ষা বাঁধে এবং পরশুরামের কহুয়া নদী রক্ষা বাঁধে ভাঙনে নিঃস্ব হয় কৃষক। কিন্তু এর জন্য স্থায়ী কোনো সমাধান নেওয়া হচ্ছে না।