নওগাঁয় বাস ধর্মঘট চলছে
নওগাঁয় এক চালকের মুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস ধর্মঘট চলছে। মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) সকাল থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন।
বুধবার (০৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, টার্মিনাল থেকে জেলার অভ্যান্তরীণ রুটে কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে বিভিন্ন পরিবহনের রাজশাহী, বগুড়া, ঢাকাসহ আন্তঃজেলা বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।
জেলা শহর থেকে সাপাহার, নজিপুর, মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর, পোরশাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বাসস্টান্ডে এসে অনেককেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা বাস ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। তারা বলছেন, ধর্মঘটকে পুঁজি করে অটো ও ইজিবাইকের চালকেরা যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত টাকা লুটে নিচ্ছে।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, গত ০১ জুলাই নওগাঁ-সাপাহার রুটে চলাচলকারী একটি বাসের ব্রেক ফেল করায় চালক গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে নওগাঁ শহরের জলিল পার্ক এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসটির সাথে দুটি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রী ছাড়াও পার্কে ঘুরতে আসা বেশ কয়েকজন দর্শনার্থীও আহত হন। ওই ঘটনায় অন্তত ২০ জন মানুষ আহত হন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়।
ওই মামলার বাসের চালক ইমরান হোসেন গত ১৭ জুলাই আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। গত রোববার পরবর্তী শুনানিতেও আদালত ওই চালকের জামিন নামঞ্জুর করেন।
নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের একজন বাস চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার পর আমরা নিজ থেকে তাকে আদালতে উপস্থিত থেকে জামিনের জন্য আবেদন করতে বলি। কিন্তু বিচারক জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এভাবে পরপর তিনবার তার জামিন নামঞ্জুর করা হয়। তার মুক্তির জন্য শ্রমিকরা এখন কর্মবিরতি শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, বাদীপক্ষের সাথে আপোষনামা করে আগামী রোববার আবারও আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করা হবে। জামিন না হলে শ্রমিকদের এই কর্মবিরতি চলতেই থাকবে।
সারাদিন/০৯ আগস্ট/এমবি